নির্বাচন বিরোধী লিফলেট ও নির্বাচন ঠেকানোর জন্য লিফলেট বিতরণের অভিযোগে শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মঙ্গলবার (২ জানুয়রি) বিকালে সদর উপজেলার চরপক্ষিমারী ইউনিয়নের হরিণধরা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
তবে আটক অন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম জানা যায়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায, সদর উপজেলার চরপক্ষিমারী ইউনিযনের বিভিন্ন গ্রামে চলমান নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য লিফলেট বিতরণ করছিল বিএনপি নেতারা। পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে পরোয়ানাভুক্ত আসামি হযরত আলীকে আটক করা হলে উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
আরও পড়ুন: ইউনূসের বিরুদ্ধে গণভবনের 'নির্দেশিত রায়ে' গোটা জাতি লজ্জিত: বিএনপি
পরে পুলিশ পাল্টা শর্টগানের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ।
ডিবি’র ওসি আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম জানান, বিকালে পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে গেলে পুলিশের উপর ককটেল হামলা চালান বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৭ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি, ৩ রাউন্ড টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। আটক করা হয় ৯ জনকে।
শেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ যেন ভোট না দেয় সেই প্রচারণার জন্য লিফলেট বিতরণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। তার আগেই রাস্তায় দলের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী সহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সেখানে ককটেল বিস্ফোরণের কোন ঘটনাই ঘটেনি। নেতাকর্মীদের হাতে লিফলেট ছাড়া আর কোন কিছুই ছিল না বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: বিএনপি