%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
দিনাজপুরে ২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে তজিমদ্দিন হত্যা মামলার ২৬ বছর পর তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দীর্ঘ ২৬ বছর পর দিনাজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামি হলো- চিরিরবন্দরের দক্ষিণ শুকদেবপুর গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের দুই ছেলে আফজাল হোসেন ও আব্দুল লতিফ এবং উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের কাচুয়া শাহের ছেলে শামসুল হক।
এদিকে কাফী নামে আরেক অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল জানান, ১৯৯৭ সালের ৩১ জুলাই বিকালে তজিমউদ্দিন বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজের দুইদিন পর চিরিরবন্দরের দামুয়া পুকুরের কাচুরিপানার ভিতর থেকে তজিমুদ্দিনের লাশ পাওয়া যায়।
ওই ঘটনার পর চিরিরবন্দর থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী আরজিনা। এছাড়া হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে চিরিরবন্দর থানা পুলিশ।
২৬ বছল ধরে মামলা চলাকালে তথ্য প্রমাণাদি এবং ১৯ জনের স্বাক্ষ্য বিবেচনায় দোষী প্রমাণিত তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে আ.লীগের ৩৫০ জনেরও বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
খাগড়াছড়িতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাড়ে তিন শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রবিবার খাগড়াছড়ি মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন জেলা বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক রতন কুমার ত্রিপুরা।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম ইসমাইল হোসেনসহ ১০৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে আ.লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির ৫ নেতাকর্মী আহত
অ্যাডভোকেট বেদারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন এবং খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান জানান, এ বিষয়ে তিনি এখনো কোনো সরকারি নির্দেশনা পাননি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে শহরে বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমানের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ডজনখানেক আহত
সিরাজগঞ্জে বিএনপির ১৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
দেশে দেশে পাচার বায়োফার্মার টাকা দুদক ও এনবিআরকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
‘বায়োফার্মা লিমিটেড’ নামের ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে দেশে দেশে টাকা পাচার ও কর ফাঁকির যে অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও জাতীয় রজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে (এনবিআর) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।
রবিবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দেশে দেশে পাচার বায়োফার্মার টাকা’-শীর্ষ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
জানা গেছে, একইসঙ্গে রিট আবেদকারী ডা. মোর্শেদ উদ্দিন আকন্দ এবং ডা. জাহাঙ্গীর আলমকে বরখাস্তের বিষয়ে দেওয়া আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং এই দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুস সালাম মামুন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মো. সাইফুদ্দিন খালেদ।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল ‘দেশে দেশে পাচার বায়োফার্মার টাকা’- শিরোনামে ওই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, দেশে মন্ত্রী-এমপি, রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সঙ্গে দহরম-মহরম সম্পর্ক। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তোলা হাস্যেজ্জ্বল ছবি দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও; কিন্তু লন্ডনে স্ত্রীর জন্য চেয়েছেন রাজনৈতিক আশ্রয়। শুধু তাই নয়, লন্ডনে কোম্পানি খুলে ব্যবসাও করছেন। কয়েকটি দেশে তৈরি করেছেন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের জন্য দেশ থেকে অবৈধ চ্যানেলে নেওয়া হয়েছে বিপুল অংকের টাকা। বিদেশে টাকা পাচার করে বিত্ত-বৈভবে ফুলেফেঁপে উঠলেও যেই কোম্পানির হাত ধরে এত কিছু, সেই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে রুগ্ন দশায়।
আরও পড়ুন: যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা,প্রকল্পের সব নথি হাইকোর্টে তলব
গত ১৫ বছরেও শেয়ারহোল্ডারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়নি বার্ষিক সাধারণ সভা। ২২ বছর ধরে দেওয়া হয় না কোনো লভ্যাংশ। এ সময়ে মোট পণ্য বিক্রির ৪০ শতাংশ কম দেখিয়ে শত শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। কোম্পানির অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে এসব অনিয়মের চিত্র। এমন নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত প্রতিষ্ঠানটি হলো বায়োফার্মা লিমিটেড। ওষুধ শিল্পে একসময়ে নেতৃত্ব দেওয়া এ প্রতিষ্ঠানটি এখন টিকে থাকার লড়াইয়ে।
ধারাবাহিক অনিয়মে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের মূল কারিগর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ডা. লকিয়ত উল্লাহ। কাগজে-কলমে ডিএমডি হলেও তিনিই প্রতিষ্ঠানটির সর্বেসর্বা। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘বায়োফার্মা লিমিটেড’ নামের ওষুধ কোম্পানিটি। ১৯৯৯ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে পাস করা কয়েকজন চিকিৎসক কিনে নেন প্রতিষ্ঠানটি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিটি নতুনভাবে যাদের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় তাদের বেশিরভাগই জামায়াতের নেতাকর্মী। পরে এটিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করা হয়। সাধারণ শেয়ারহোল্ডার হিসেবে যাদের নেওয়া হয়, তাদের বেশিরভাগই উদ্যোক্তাদের ‘নিজের লোক’।
বায়োফার্মার নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, নতুনভাবে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কোম্পানির বতর্মান ৯ পরিচালক ঘুরেফিরে আছেন পরিচালনা পরিষদে। সাবেক চেয়ারম্যান এন এ কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে বেশকিছু সরকারবিরোধী মামলা রয়েছে। তিনি ২০১৯ সালে পালিয়ে স্থায়ীভাবে আমেরিকা চলে যান। এরপরও রয়ে গেছেন উপদেষ্টা হিসেবে।
বর্তমানে চেয়ারম্যান পদে আছেন শেয়ারহোল্ডার নাছিমা বেগম ঝুমুর প্রতিনিধি হিসেবে তার স্বামী ডা. শাহাবুদ্দিন আহমদ। ১৮ বছরের সাবেক এমডি ডা. আনোয়ারুল আজিম এখন ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বে। আর ডিএমডি ডা. লকিয়ত উল্লাহ শুরুতে ছিলেন নির্বাহী পরিচালক (মার্কেটিং)। তারা তিনজনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চবি) শিক্ষার্থী ছিলেন।
বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে আছেন ডা. মো. মিজানুর রহমান। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) শিক্ষার্থী ছিলেন।
অন্য পরিচালকরা হলে- ডা. জহির উদ্দিন মাহমুদ, ডা. আলী আশরাফ খান, শেয়ারহোল্ডার নাজমা হকের প্রতিনিধি ও তার স্বামী ডা. ফজলুল হক মজুমদার এবং সাইফুল আমিন। তারা প্রত্যেকেই জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বে রয়েছেন।
তাদের মধ্যে আলী আশরাফ নারায়ণগঞ্জ থেকে জামায়াতের হয়ে সংসদ নির্বাচনও করেছিলেন। জামায়াত সমর্থিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের (আইবিডব্লিউএফ) মহাসচিবের দায়িত্বে আছেন বায়োফার্মার ভাইস চেয়ারম্যান ডা. আনোয়ার।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন কেসিসির মেয়র প্রার্থী মুশফিকুর
যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা,প্রকল্পের সব নথি হাইকোর্টে তলব
যমুনা নদী ছোট করার প্রকল্পের যাবতীয় নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১১ জুনের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) এসব নথি আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার জনস্বার্থে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুবউল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
‘যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা’- শিরোনামে গত ১১ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতয়ি দৈনিক। এই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করা হয়। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী।
যমুনা নদী ছোট করার প্রকল্প নেওয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ -এর বিধি ২ অনুসারে অসদাচরণ করেছেন। তাই বিধি ৩ অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে। সেই সঙ্গে রুল চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট বেঞ্চে ‘বকশিশ’ নিষিদ্ধ, নির্দেশনা জারি
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ বিদান অনুসারে এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা অসদাচরণ করেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ এনে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়েছিলাম। গত ২১ মে হাইকোর্ট প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের তালিকা চান। সেই সঙ্গে প্রকল্পটি চূড়ান্ত করা হয়েছে কিনা এবং প্রকাশিত প্রতিবেদনটির সত্যতা কতটুকু, তা জানতে চেয়েছিলেন। রবিবার রাষ্ট্রপক্ষ এসব তথ্য জানাতে সময় চাইলে হাইকোর্ট প্রকল্পের নথি তলব করেন।’
প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা কিভাবে অসদাচরণ করেছেন, জানতে চাইলে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ -এর ২ বিধিতে অসদাচরণের সংজ্ঞা দেওয়া আছে। সে সংজ্ঞা অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা সরকারের নির্দেশ অমান্য করলে অসদাচরণ হয়। আর কোনো কর্মচারীর অসদাচরণ প্রমাণ হলে বিধি ৩ অনুসারে সে কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
এ আইনজীবী বলেন, ‘নদী খনন করে প্রবাহ ঠিক রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, একনেকের সিদ্ধান্ত আছে। আরেকটা সিদ্ধান্ত আছে নদী-খাল-জলাশয় দখল করে কোনো প্রকল্প নেওয়া যাবে না। ফলে যেসব কর্মকর্তারা এই প্রকল্প নিয়েছেন তারা সরকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন। এটা অসদাচরণ। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।’
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যমুনা নদীকে ছোট করতে চায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। আপাতত দেশের দু’টি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে গ্রোয়েন বাঁধ দিয়ে নদী ছোট করা হবে।
যমুনা নদীকে ছোট করার পেছনে যুক্তি তুলে ধরে পাউবো বলছে, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে যমুনা নদী চওড়া হচ্ছে। নদী কোথাও কোথাও ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার প্রশস্ত হচ্ছে। এতে নদীভাঙন বাড়ছে।
পাউবো মনে করে, এত চওড়া নদীর প্রয়োজন নেই। এটি সংকুচিত করে সাড়ে ছয় কিলোমিটারে নামিয়ে আনা হবে। যমুনা নদী ছোট করলে দু’টি সুফল পাওয়ার কথা বলছে পাউবো। একটি হলো, নদীর ভাঙন কমবে। অন্যটি বিপুল পরিমাণে ভূমি পুনরুদ্ধার করা যাবে।
নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদীকে ছোট করার চিন্তা নির্বুদ্ধিতার। যাদের মাথা থেকে এসব চিন্তা আসে, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কোনো যুক্তিতেই যমুনাকে সংকুচিত করা যাবে না। এটি বিশ্বে এক অনন্য নদী। এ নদীকে নিয়ে যেকোনো ধরনের পরীক্ষা যেন সাবধানে করা হয়। তবে বিস্তারিত সমীক্ষা না করে গ্রোয়েন প্রযুক্তির প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের নবনিযুক্ত বিচারপতিদের সাক্ষাৎ
হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন কেসিসির মেয়র প্রার্থী মুশফিকুর
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) বাতিল হওয়া মেয়র প্রার্থী এস এম মুশফিকুর রহমান এর রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি জাফরুল্লাহ ও বিচারপতি বশিরউল্লার দ্বৈত বেঞ্চ রবিবার এক আদেশে আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে তার প্রার্থীতা ফিরিয়ে দেওয়ার এবং তাকে প্রতীক দেওয়ার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দেন।
এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এসএম মুশফিকুর রহমান।
স্বতন্ত্রপ্রার্থী মুশফিকুরের হাইকোর্টের আইনজীবী এস এম মাহবুবুর রহমান জানান, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমার মক্কেলের যে ভুলের কারণে প্রার্থীতা বাতিল করেছিল রিটার্নি অফিসার তার বিরুদ্ধে আমার মক্কেল বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আপিল করেছিলেন, সেখানেও আমার মক্কেলকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। আজ (রবিবার) আদালত আমার মক্কেলের অধিকারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
কেসিসি নির্বাচন: ২৮৯ কেন্দ্রের মধ্যে ১৬১ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
নড়াইলে গাঁজা চাষের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
নড়াইলে সবজি খেত থেকে গাঁজার গাছসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় নড়াগাতি থানার মুলশ্রী গ্রামের এক সবজি বাগানে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি গাঁজা গাছসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আবুল হাসনাত ওয়াসিম (৪৫) মুলশ্রী গ্রামের মৃত হাসমত আলী শিকদারের ছেলে।
নড়াগাতি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা শনিবার (২৭ মে) ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদ পেয়ে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর হোসাইন সঙ্গীয় ফোর্সসহ মুলশ্রী গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় আবুল হাসনাত ওয়াসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার সবজি বাগান থেকে পাঁচটি গাঁজা গাছ জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে নড়াগাতি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে শনিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু
নড়াইলে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে পা হারালো ভ্যানচালক
নড়াইলে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
অপহরণ করে ঢাকা কলেজের হলে বন্দি, দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
রাজধানীর ঢাকা কলেজের আবাসিক হলে একটি বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তাকে অপহরণ করে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে মুক্ত হয়ে ওই কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানায় মামলা করায় ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুজন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান অয়ন সিগমাইন্ড নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসেবে কাজ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসম্পাদক জনি হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এস এম শফিক, ছাত্রলীগ কর্মী মো. গোলাপ হোসেন, মোহেরাব হোসেন সিয়াম, অর্নব, মো. রমজান, গোপাল, রাব্বী তালুকদার, মো. বেল্লাল হোসেন, তারিফ, সালমান, মো. রায়হান, মাসুম, ফাহিম ও শাহীন। ঘটনায় জনি হাসান ও এসএম শফিককে আটক করেছে নিউমার্কেট থানা পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সিগমাইনফ প্রতিষ্ঠানটি মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করে। অভিযুক্তরা ঢাকা কলেজের ছাত্র পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে এবং ভুক্তভোগী মেহেদীর কাছে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিলো। চাঁদা না দেওয়ায় গত ২৫ মে সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থানাধীন বছিলা ব্রিজ সংলগ্ন পাকা রাস্তার মোড়ে থাকা দুইটি সিসি ক্যামেরা, সাতটি পাওয়ার ব্যাংক, পাঁচটি ক্যাবল, দুইটি ক্যামেরা স্ট্যান্ড খুলে নিয়ে আসে৷ পরে রাতে সিয়াম ও রমজান নামের ঢাকা কলেজের দুই ছাত্র ভুক্তভোগীকে ফোন করে বিষয়টি জানায় এবং এগুলো ফেরত পেতে হলে ঢাকা কলেজে আসতে হবে বলে জানায়। তখন প্রতিষ্ঠানটির স্টাফ মো. তৌকির জিনিসপত্র ফেরত নিতে আসলে তাকে আটক করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
অভিযুক্তদের কথামতো ভুক্তভোগী মেহেদী ঢাকা কলেজে আসলে তাকেও আটক করে মারধর করা হয়। এসময় ভুক্তভোগীদের থেকে নগদ টাকা, এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেয়।
পরে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় জনি হাসান, এস এম শফিক সহ আরও একজন ভুক্তভোগীকে গাউছিয়া মার্কেট মোড়ে রেখে যায়।
উপস্থিত টহল পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী মেহেদীকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে এই ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামি করে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা করে মেহেদী হাসান অয়ন।
মামলায় নাম থাকা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়।
নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল গনি সাবু বলেন, জনি আর শফিক নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত অন্যদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়াও চলছে।
মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
মাগুরার মহম্মদপুরে গরুর পাট খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ৮ জনকে ফরিদপুর ও মহম্মদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা সদরের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানান, শুক্রবার দুপুরে চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে তৈয়েব আলীর গরুতে প্রতিবেশি দরবেশ শেখের ছেলে হাফিজারের খেতের পাট খায়। এ নিয়ে তৈয়েব এবং হাফিজারের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের ১৫ ব্যক্তি আহত হন।
তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায়- মো. ইকবাল (২৮), আলী রেজা (২৫), শোয়েব (৩৬), তৈয়েব (৩০), মতিয়ার (৭০), হাফিজার (৬৫), মুন্নাফ (৩৫) এবং রাসেলকে (৩০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে ইকবাল, আলী রেজা, শোয়েব ও তৈয়েবকে ফরিদপুর মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার রায় বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
আরও পড়ুন: মাগুরায় কৃষকের ২শ’ কলাগাছ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা
মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক খুন
মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত, ২ পুলিশ সদস্যসহ আহত ৩
স্কুলছাত্র হত্যা: কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
স্কুল ছাত্র কিশোর সিয়াম(১৪) হত্যা মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের সন্দেহভাজন দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
শুক্রবার র্যাব-৪ ও র্যাব-৮ এর দুটি দল সাভার ও বরিশালের বাকেরগঞ্জে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শান্তনুর হোসেন রুবেল ওরফে আলু রুবেল(২৭) ও মসিউর রহমান রকি(২৮)।
শনিবার বিকালে র্যাব-৪ এর গণমাধ্যম কর্মকর্তা এএসপি মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মাজহারুল ইসলাম জানান, গত ২১ মে রাতে মিরপুরের লালকুটি এলাকায় হত্যার এ ঘটনা ঘটে।
সিয়াম নামে এক স্কুলছাত্র একা থাকায় কয়েকজন যুবক তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে সিয়ামের মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: প্রলয় গ্যাং: অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাবির ২ শিক্ষার্থী বহিস্কার
এএসপি মাজহারুল ইসলাম আরও জানান, গ্রেপ্তাররা জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
তারা দারুস সালাম লালকুটি এলাকায় সক্রিয় কিশোর গ্যাং নেতা বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, ‘তারা খুন, ডাকাতি, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় হত্যা, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাইসহ বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘কিশোর গ্যাং’র ছুরিকাঘাতে আহত ২
কেরাণীগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ডজনখানেক আহত
ঢাকার কেরাণীগঞ্জে শুক্রবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছে। এ সহিংসতার জন্য দুইপক্ষ পাল্টিাপাল্টি দোষারোপ করেছে।
এদিন কেরাণীগঞ্জে বিরোধী দলের কর্সূচিতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে নিপুন রায় চৌধুরীসহ দলের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে কেরাণীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা আজহার বাঙ্গালীর নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল সমাবেশ চলাকালে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালায় বলে দাবি করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- কেরাণীগঞ্জ যুবদলের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মামুন, ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাজ্জেদ হোসেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ, পদযাত্রা পণ্ড
আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগসহ দলের ১০ দফা দাবি ঘরে তুলতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অন্যদিকে, আজহার বাঙালি দাবি করেন যে তিনি ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির লোকজন তার ওপর হামলা চালায়।
স্থানীয় আ.লীগ নেতাদের অভিযোগ, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে এবং এসময় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উভয় পক্ষের লোকজন বাঁশের লাঠি নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ ৩০ জন আহত
খুলনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১৩০০ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ১৩