আইনশৃঙ্খলা
নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
নেত্রকোণার আটপাড়ায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার আসামি দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪।
শনিবার দিবাগত রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর থানার জৈনা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন হলেন- আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের পালগাও গ্রামের শাহজাহানের দুই ছেলে মো. অসীম ও মো. রাজু মিয়া।
আরও পড়ুন: রংপুরে রেস্টুরেন্টের আড়ালে মাদকের ব্যবসা, গ্রেপ্তার ৫
র্যাব-১৪ এর সদর ব্যাটালিয়নের অপারেশনস্ অফিসার উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সেলিনা আক্তার ও তার স্বামীর সঙ্গে আসামিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকদ্দমা চলছিল।
তিনি জানান, ঘটনার কিছুদিন আগে সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন তাদের বিরুদ্ধে। তবে আসামিদের দাবি এটি মিথ্যা মামলা। আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি রাতে ঘর থেকে বের করে বাড়ির উঠানে সেলিনা আক্তারকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।
আনোয়ার হোসেন আরও জানান, পরে পুলিশের সহায়তায় ভুক্তভোগীকে প্রথমে আটপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেলিনা আক্তারকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের ননদ বেদেনা আক্তার বাদী হয়ে ৮ জানুয়ারি এজাহারনামীয় ১০ জনসহ অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজনকে জনকে আসামি করে আটপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে আসামিরা পলাতক ছিল। আটক দুইজনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার
নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে কুপিয়ে হত্যা, ২ ভাই গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় শিশু হত্যা মামলায় দুই শিশুর ১০ বছরের কারাদণ্ড
কুমিল্লায় শিশু রাশেদ হোসেনকে (১৫) গলা কেটে হত্যার দায়ে ১৫ বছর বয়সী দুই শিশুকে এই আইনে সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। (প্রতিষ্ঠানের নীতি অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচে বয়স হওয়ায় শিশু দুটির নাম প্রকাশ করা হলো না)
সোমবার দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। মামলার বিশেষ সহকারী কৌঁসুলি প্রদীপ কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই শিশুর বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর-১: ভোটারদের বাধা দেওয়ায় ৪ জনের কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা যায়, নিহত রাশেদ কুমিল্লা বিসিক শিল্প নগরীর ফরিদ ফাইবার লিমিটেড ফ্যাক্টরির টুস্টিং বিভাগের শ্রমিক ছিল। সে সদর উপজেলার গোবিন্দপুরের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে।
২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল দুপুরে রাশেদ কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে রাতে আর বাসায় ফিরেনি। পরদিন সকালে সদর দক্ষিণ উপজেলার ৩ নম্বর গলিয়ারার ফুলতলীর একটি পুকুর থেকে রাশেদের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন এ ঘটনায় নিহতের বোন মোসাম্মত নীপা আক্তার বাদী হয়ে দুই শিশুকে আসামি করে সদর দক্ষিণ থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় একজনের ১০ বছর কারাদণ্ড
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ, সহকারী পোস্টমাস্টারসহ ৬ জনের কারাদণ্ড
কুড়িগ্রামে ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী সত্য চন্দ্র শীলকে লালমনিরহাটের আদিতমারী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: নড়াইলে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ সুপার জানান, সীমান্তবর্তী এলাকা লোহাকুচি বর্ডার হয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন সত্য চন্দ্র। ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাকে লালমনিরহাটের আদিতমারী থানার বড়াইবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডে আসামির ব্যবহৃত কাঠের হাতলযুক্ত রক্তমাখা ধারাল কুড়াল ও আসামির রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, পারিবারিক কলহের জেরে রবিবার ভোরে স্বামী সত্য চন্দ্র শীল তার ঘুমন্ত স্ত্রী লতা রাণী শীলকে কুড়াল দিয়ে ঘারে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত লতা রাণী শীলের পিতার বাড়ি চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের মহাদেব পাট এলাকার শীলপাড়ী গ্রামে। নিহতের স্বামী সত্য চন্দ্র শীল নাগেশ্বরী পৌরসভার হেলিপোর্ট, কবিরের ভিটা গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে কুপিয়ে হত্যা, ২ ভাই গ্রেপ্তার
শরীয়তপুরে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা!
হাইকোর্টের রায় বহাল: ভেঙে ফেলতে হবে গুলশান শপিং সেন্টার
রাজধানীর গুলশান-১-এর ‘গুলশান শপিং সেন্টার’ ৩০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ।
আজকের আদেশের ফলে ‘গুলশান শপিং সেন্টার’ ভেঙে ফেলতে হবে বলে জানান বাণী চিত্র ও চলচ্চিত্র লিমিটেডের আইনজীবী মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী। যিনি শান্তা হোল্ডিংস লিমিটেডেরও আইনজীবী।
বাণী চিত্র ও চলচ্চিত্র লিমিটেডের পরিচালক জিয়া ইয়ামিনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন জেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
শান্তা হোল্ডিংস লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। রাজউকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বাণী চিত্র ও চলচ্চিত্র লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন জেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী ও খন্দকার নাজমুল আহসান।
আরও পড়ুন: থানা-আদালত প্রাঙ্গণে জব্দ করা মালামালের তথ্য জানাতে আইজিপিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
গত বছরের জুলাইয়ে গুলশান শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট রিট করেন বাণী চিত্র ও চলচ্চিত্র নামে দুটি কোম্পানি। সে রিটের শুনানির পর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরে রুল শুনানি শেষে গত ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ গুলশান শপিং সেন্টার ৩০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে ভবন মালিক পক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। যে আবেদন আজ খারিজ করে দিলেন হাইকোর্ট।
গত ২৩ জুলাই রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত ‘গুলশান শপিং সেন্টারটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সিলগালা করে দেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
‘গুলশান শপিং সেন্টার’-এর হোটেল, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নাইন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান।
‘গুলশান শপিং সেন্টার’-এর জরাজীর্ণ ভবন ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকার কারণে ২০২১ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর মার্কেটটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ডিএনসিসিকে জরুরি ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেয়।
অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নাইন বলেন, শপিং সেন্টারটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যেকোনো ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে দোকান মালিকদের ভবন খালি করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা সেটি করেনি। ঝুঁকিপূর্ণ-পরিত্যক্ত এই ভবন ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বারবার সতর্ক করা হলেও ব্যবসায়ীরা পরিত্যক্ত ভবনটি খালি করছেন না। খালি করার জন্য একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তারা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ব্যবসা পরিচালনা করে চলেছেন। জানমালের নিরাপত্তার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সুপারিশ বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯, তৃতীয় তফসিল-১৭, ইমারত নিয়ন্ত্রণ ইমারত সম্পর্কিত প্রবিধানের ১৭.১ ও ১৭.২ অনুযায়ী জনস্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটটি সিলগালা করা হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ও নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ প্লাটুন পুলিশ, ১ প্লাটুন এপিবিএন ও অন্যান্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ উপস্থিত হয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মার্কেটটির গেটগুলো তালাবদ্ধ ও সিলগালা করা হয়। এ সময় মাইকিং করা হয় ও মালামাল সরানোর জন্য নিদের্শনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্যান্য সেবা সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
এদিকে গুলশান শপিং সেন্টার সিলগালা করার প্রতিবাদে মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা গোলচত্বর অবরোধ করে ৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের সরিয়ে দেয়। সেই সময় দোকানদাররা বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করে। গুলশান শপিং সেন্টার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী এই মার্কেটে ৭ শতাধিক দোকান রয়েছে।
আরও পড়ুন: মহাসড়কে হাটবাজার, অননুমোদিত যানবাহন অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
সাভারে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কারসহ কোটি টাকার মালামাল লুট
সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ কোটি টাকার জিনিসপত্র লুটে নিয়ে গেছে ডাকাত দল।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাত ৪টার দিকে উপজেলার ইয়ারপুর ইউনিয়নের নিশিচিন্তপুর এলাকার মান্নান মোল্ল্যার বাড়িতে এ দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাতি হওয়া বাড়ির মালিক মান্নান জানান,ভোরে দোতলা ডুপ্লেক্স বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে একদল মুখোশধারী ডাকাত প্রবেশ করে বাড়ির সবাইকে রুমে নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করেন। এসময় তারা বাড়ির আলমারী ভেঙে নগদ ২৮ লক্ষ টাকা ৭০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার উত্তরায় গাড়ি থেকে সোয়া ১১ কোটি টাকা ডাকাতি
এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ আলী জানান, ডাকাতদল পালিয়ে যাবার সময় তাদের ১০ থেকে ১২জনকে দৌড়ে বাড়ির দক্ষিণ দিকে যেতে দেখেছেন এবং চিৎকার করেছেন।
সকালে খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধার ও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন,ডাকাতদের আটকের চেষ্টা চলছে। পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডাকাতিকালে এলাকাবাসীর গণধোলাইয়ে আহত ২
মির্জা আব্বাস ও এ্যানীর জামিন আবেদন শুনানির নির্দেশ
নাশকতার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর জামিন আবেদন শুনানির জন্য ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল দুদকের
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
আইন অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে এগুলো নিষ্পত্তি করতে সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ এসব মামলা করে।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাস ফের কারাগারে, ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য
এর মধ্যে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে রমনা, পল্টন ও ঢাকা রেলওয়ে থানায় ১০টি এবং এ্যানীর বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট ও ধানমন্ডি থানায় দুটি মামলা হয়।
গত ১০ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
পরে জামিন আবেদন গ্রহণ করে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টে পৃথক রিট আবেদন করেন তারা।
গত ২৯ অক্টোবর বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও ৫ অক্টোবর এ্যানীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
একটি পরিবারের সকলকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
ঢাকার দোহারে ধীৎপুরে একই পরিবারের পাঁচজনকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাজধানী থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মোহাম্মদ রুবেল ও তার সহযোগী রানা মাহমুদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
র্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার কে এম কাউসার চৌধুরী জানান, শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের বালাসুরে র্যাব-১০ ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন।
পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে থাকলে রুবেল ও তার সহযোগী রানাসহ অন্যরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাড়ির বাইরে থেকে পরিবারের সদস্যদের তালাবদ্ধ করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ‘চিরকুট’ লিখে মিটার চুরি, মূলহোতা গ্রেপ্তার
স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মামলা দায়েরের পর থেকে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।
গত ১৮ জানুয়ারি র্যাব-১০ এর একটি দল রাজধানীর আশুলিয়া এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে মো. রানা মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীকে ট্রেনের কেবিনে ধর্ষণের দায়ে অ্যাটেনডেন্ট গ্রেপ্তার
থানা-আদালত প্রাঙ্গণে জব্দ করা মালামালের তথ্য জানাতে আইজিপিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
থানা, ডাম্পিং স্টেশন ও আদালত চত্বরের সামনে পড়ে থাকা মামলার জব্দ করা নমুনার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, আইজিপিকে সারা দেশের থানা, ডাম্পিং স্টেশন ও আদালত প্রাঙ্গণে অরক্ষিত মালামালের প্রতিবেদন সংগ্রহ করে আগামী দুই মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিশু আয়ানের মৃত্যু : পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল জারি
আইনজীবী বলেন, ‘জব্দ করা মালামাল তারা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাসহ দেশের সব আদালত ও থানায় পড়ে থাকতে দেখেন। এসব পণ্যের এমন অব্যবস্থাপনা আমরা পৃথিবীর আর কোথাও দেখিনি। বছরের পর বছর এভাবে পড়ে থাকার কারণে পরে তা রাষ্ট্রের বা মালিকদের কোনো কাজে আসছে না।’
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলেও তারা তার কোনো জবাব দেননি। ফলে তারা পাঁচ আইনজীবী ২০২২ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩০ আগস্ট মালখানা ও থানায় জব্দ করা মালামাল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং জব্দ করা মালামাল সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মহাসড়কে হাটবাজার, অননুমোদিত যানবাহন অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
সেন্টমার্টিন দ্বীপে দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে বিজিবি
সেন্টমার্টিনে ২০০ দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) কক্সবাজার, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের সীমান্তবর্তী এলাকা পরিদর্শন শেষে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।
এর আগে বুধবার তিনি কক্সবাজার-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী পালংখালী ও ঘুমধুম বিওপি পরিদর্শন করেন।
এসময় অবৈধ অনুপ্রবেশ ও মাদক চোরাচালানসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সীমান্তে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড মোকাবিলায় অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি গোয়েন্দা কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন বিজিবি মহাপরিচালক।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর
রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার এক মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিনের আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল জামিন আবেদন আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির নির্দেশ বহাল
আসামি পক্ষের আইনজীবী মহসিন মিয়া, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জামিন শুনানি করেন।
তারা বলেন, আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। বয়স্ক, অসুস্থ বিবেচনায় জামিনের প্রার্থনা করেছেন তারা। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছে।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ শুরুর পর কাকরাইলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ বিজয় নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মির্জা ফখরুলকে
এক পর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। সংঘর্ষে আহত হয় পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি বিএনপির।
গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন, বিচারাধীন আরও ২ মামলা
এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানার নাশকতার পৃথক ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তবে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় জামিন না মেলায় এখনই কারামুক্ত হচ্ছেন না মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর