%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F
আ.লীগ দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে: শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সব সময় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়ে ক্ষমতায় আসে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ইতিহাস জুড়ে আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের সমর্থনে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে।’
সোমবার শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর মুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমান সেতু এবং মধুমতি নদীর ওপর বাংলাদেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দুটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে নপ্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইশা ইউসেফ আল দুহাইলান বক্তব্য দেন।
সেতুগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী।
অনুষ্ঠানে সেতু প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
পড়ুন: দেশের প্রথম ৬ লেনের সেতু উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তার বোন শেখ রেহানাও তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধু এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট গণহত্যার অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
এরপর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনার পাশাপাশি দেশের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়াস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ার পথে প্রধানমন্ত্রী
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যদের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যরা নির্মমভাবে নিহত হন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মা বহুমুখী সেতু পার হয়ে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সকাল সোয়া ৭টার দিকে শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
পদ্মা সেতু পার হওয়ার আগে দুজনেই টোল পরিশোধ করেন।
২৫ জুন নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের দীর্ঘতম পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: র্যাবের সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র কি অসন্তুষ্ট?: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
সাইবার অপরাধ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করুন: প্রধানমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ার পথে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। শুক্রবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় তাদের গণভবন ত্যাগ করার খবর জানানো হয়।
টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে পদ্মা সেতুর জাজিরা পয়েন্টের সার্ভিস এরিয়ায় তারা কিছুক্ষণ বিরতি নিতে পারেন।
২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের দীর্ঘতম পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার বোন রেহানা আজ বিকালে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় তাদের গ্রামের বাড়ি। তাদের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যার পর এখানে সমাহিত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আইন সচিবের শ্রদ্ধা
টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে পদ্মা সেতু পরিদর্শন কূটনীতিকদের
র্যাবের সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র কি অসন্তুষ্ট?: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে আবারও নিন্দা জানিয়ে ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপের পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী দেশে সন্ত্রাস দমনে এলিট বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘আমরা তাদের দিয়ে এদেশে সন্ত্রাস দমন করেছি। তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মানে কি? (এটা কি) সন্ত্রাসীদের সমর্থন করা? আমার প্রশ্ন হল সন্ত্রাস দমনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট কিনা’?
বৃহস্পতিবার সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে তার সরকারি সফরের ফলাফল নিয়ে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: র্যাব কে সৃষ্টি করেছে?: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সুপারিশে র্যাব গঠন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের (র্যাবের কর্মীদের) প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, হেলিকপ্টার, এমনকি ডিজিটাল সিস্টেম এবং আইসিটি সিস্টেম সহ সবকিছু প্রদান করে।
তিনি বলেন,‘যুক্তরাষ্ট্র যখন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, কোনো কথা বা অভিযোগ তোলে, তখন আমি একটি কথা বলতে চাই যে তারা (র্যাব) যে প্রশিক্ষণ পেয়েছে, সে অনুযায়ী তাদের কাজ করেছে।
তিনি বলেন, র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য কোনো অপরাধ করলে বাংলাদেশে তার বিচার হয়। কিন্তু মার্কিন পুলিশ যদি ইচ্ছামতো কাউকে হত্যা করে, তবে সেখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) তাদের (পুলিশ সদস্যদের) সবসময় বিচার করা হয় না।’
শেখ হাসিনা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ যখন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল তখন শুধুমাত্র একটি ঘটনার বিচার করা হয়েছিল।
তিনি বলেন যে তারা (মার্কিন পুলিশ) একটি তুচ্ছ বিষয়ের জন্য মানুষকে গুলি করে। তারা পকেটে হাত রাখার জন্য বা খেলনা পিস্তল বহন করার জন্য একটি নাবালক শিশুকে হত্যা করেছে।
হাসিনা বলেন, সেখানে কত বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছে সে সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র কিছুই বলে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাদের এই বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে বলেছি, আমি অলস বসে থাকিনি।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের ডিসেম্বরে র্যাব এবং এর সাতজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেয়। তবে শুরু থেকেই এই অভিযোগ ঢাকা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে র্যাব।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সফল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
‘আসুন আমরা সবাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি’
‘আসুন আমরা সবাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ চায়, কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দল তাতে যোগ দেবে কি দেবে না তা তাদের ওপর নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সেটা যে কোনো রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত। আমরা তাদের ওপর কিছু চাপিয়ে দিতে পারি না...হ্যাঁ, আমরা অবশ্যই চাই সব দল এতে যোগদান করুক।’
বৃহস্পতিবার সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে তার সরকারি সফরের ফলাফল নিয়ে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ তার মিত্র ও অন্যদের সঙ্গে নিয়ে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় সব ধরনের উন্নয়ন ও সংস্কার করেছে।
তিনি বলেন, ‘এতে যদি কেউ যোগ না দেয়, আমরা কী করতে পারি?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা চাই সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। ভোটে কারচুপি করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে না এবং কখনোই করেওনি (অতীতে)।’
বিএনপির বিষয়ে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ৩০০টি আসনে ৭০০ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে জাতীয় নির্বাচনে হেরে গেলে, তারা সরকারকে দায়ী করে।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কেন?
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘জনগণ কি তাদের ভোট দেয়, যারা অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষকে হত্যা করে? তারা (জনগণ) কখনই পারবে না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার ক্ষমতায় এসে জনগণের জন্য কাজ করে, তাদের মন জয় করে এবং তাদের ভোট অর্জন করে। আওয়ামী লীগ কখনো কোনো সামরিক স্বৈরশাসকের পকেট থেকে বের হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় ভোট ও নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে।
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, তার দলের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে এবং দলটি ২০২৩ সালের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই এখন দেশের একমাত্র দল যারা সব সময় সনদ মেনে চলে।
আরও পড়ুন: সব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠব: প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সফল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
সব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠব: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং দেশের অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সমস্ত অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার অঙ্গীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তার সাম্প্রতিক অংশগ্রহণের বিষয়ে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, কোভিড মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তিনি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখতে চান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দেশের অর্থনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদী, স্বল্পমেয়াদী বা অবিলম্বে কোনও বড় ঝুঁকি খুঁজে পাননি।
তিনি আরও বলেন, হ্রাসমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি, আমরা তা অর্জন করতে সক্ষম হব।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার
যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরের ফলাফল নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ দিনের সফর শেষে মঙ্গলবার ভোরে দেশে ফিরেছেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং রাজা চার্লস তৃতীয়-এর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৫ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের লন্ডন যান।
এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করেন। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। এছাড়াও তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
পড়ুন: এই নারী মানেই শক্তি
শুধু অপরাধ নয়, শাস্তির কথাও বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকার উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
শুধু অপরাধ নয়, শাস্তির কথাও বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
কোনো ধর্মের পরিপন্থী কোনো ঘটনাকে বড় করে না দেখাতে, বরং সরকারের নেয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দিকে সকলকে নজর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যে কোনো এলাকায় (দেশের) ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনাকে বড় করে দেখাবেন না, বরং সেই ঘটনার বিরুদ্ধে সরকারের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দেখার জন্য আমি আপনাদের অনুরোধ করব।
মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজার শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটিতে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ‘ফেসবুকে অসম্মানজনক স্ট্যাটাস’, যুবক আটক
দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হিন্দুসহ সকলের সহযোগিতাও চেয়েছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা চাইব এবং আশা করি আপনারা সহযোগিতা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সর্বদা দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা বা ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করে এবং তা বজায় রেখে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী আবারও সুস্পষ্টভাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কাউকে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে দেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু (অপমানজনক) কাউকে বলতে দেয়া হবে না। এটি যে কোনও ধর্মের জন্য প্রযোজ্য’।
তিনি বলেন, ধর্ম মানেই বিশ্বাস। ‘আল্লাহ বা স্রষ্টার প্রতি মানুষের বিশ্বাস, সেই বিশ্বাস নিয়েই চলতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইসলাম একটি অত্যন্ত মুক্ত ও উদার ধর্ম এবং ইসলামে অন্য সব ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নির্দেশ রয়েছে।
সূরা কাফিরুনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে বলা হয়েছে যে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করবে এবং সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। ‘আমরা এটি আমাদের হৃদয় থেকে বিশ্বাস করি’।
আরও পড়ুন: লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: প্রধানমন্ত্রী
লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট ঢাকার পথে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির জন্য লন্ডন স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
সোমবার (৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় তিনি লন্ডনে পৌঁছান।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের নতুন রাজাকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে তার ১৮ দিনের সরকারি সফর শেষ করে রবিবার (স্থানীয় সময়) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন বুধবার
সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার এক শোক বার্তায় তিনি গভীর শোক প্রকাশ করেন।
শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দৈনিক বাংলা’-এর সম্পাদক তোয়াব খান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বেতার কেন্দ্রের একজন শব্দ নায়কের ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি এতে আরও উল্লেখ করেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর গণমাধ্যমের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশপ্রেম ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন।
তোয়াব খান দৈনিক বাংলার সম্পাদক, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক এবং দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজীবনের এই যোদ্ধা ও প্রতিভাবান সাংবাদিক তার নিজের কাজের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরীর ইউনাইটেড হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় মারা যান ৮৭ বছর বয়সী তোয়াব খান।
খান ১৯৫৩ সালে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন এবং ১৯৫৫ সালে দৈনিক সংবাদে যোগ দেন।