প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ চায়, কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দল তাতে যোগ দেবে কি দেবে না তা তাদের ওপর নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সেটা যে কোনো রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত। আমরা তাদের ওপর কিছু চাপিয়ে দিতে পারি না...হ্যাঁ, আমরা অবশ্যই চাই সব দল এতে যোগদান করুক।’
বৃহস্পতিবার সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে তার সরকারি সফরের ফলাফল নিয়ে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ তার মিত্র ও অন্যদের সঙ্গে নিয়ে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় সব ধরনের উন্নয়ন ও সংস্কার করেছে।
তিনি বলেন, ‘এতে যদি কেউ যোগ না দেয়, আমরা কী করতে পারি?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা চাই সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। ভোটে কারচুপি করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে না এবং কখনোই করেওনি (অতীতে)।’
বিএনপির বিষয়ে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ৩০০টি আসনে ৭০০ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে জাতীয় নির্বাচনে হেরে গেলে, তারা সরকারকে দায়ী করে।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কেন?
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘জনগণ কি তাদের ভোট দেয়, যারা অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষকে হত্যা করে? তারা (জনগণ) কখনই পারবে না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার ক্ষমতায় এসে জনগণের জন্য কাজ করে, তাদের মন জয় করে এবং তাদের ভোট অর্জন করে। আওয়ামী লীগ কখনো কোনো সামরিক স্বৈরশাসকের পকেট থেকে বের হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় ভোট ও নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে।
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, তার দলের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে এবং দলটি ২০২৩ সালের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই এখন দেশের একমাত্র দল যারা সব সময় সনদ মেনে চলে।
আরও পড়ুন: সব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠব: প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সফল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী