প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ খাতে নেদারল্যান্ডসের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ খাতে বিনিয়োগের জন্য নেদারল্যান্ডসকে জায়গা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েনকে বলেন, ‘আপনারা (নেদারল্যান্ডস) চাইলে আমরা আপনাদেরকে ড্রাইডকের জন্য জায়গা দিতে পারি।’
বৃহস্পতিবার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে ২৭ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রেস সচিব বলেন, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এখানে কাজ করতে পেরে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশ আমার হৃদয়ে থাকবে।’
অ্যান ভ্যান লিউয়েন বলেন, ডেল্টা প্ল্যান একটি চমৎকার ধারণা এবং এটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে নেদারল্যান্ডস।
তিনি বলেন, পানি ব্যবস্থাপনা, কৃষি উন্নয়ন ও আইসিটি বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে। কারণ নেদারল্যান্ডসের এসব খাতে যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর ও শক্তিশালী হবে।
আরও পড়ুন: ‘নৌকায়’ ভোট দিয়ে আ. লীগকে আরেকবার সুযোগ দিন: রংপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, নেদারল্যান্ডসের মতো বাংলাদেশও ভূমি পুনরুদ্ধার করতে চায়।
জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আলোচনার সময় তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মধ্যেও বাংলাদেশকে টিকে থাকতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি আমাদের সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন এবং পরে তার সরকার এ কর্মসূচির প্রসার ঘটায়।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো প্রচণ্ড অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারেক-জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতির রায়: বিএনপি
রংপুর অঞ্চলে মঙ্গা চিরতরে বিলুপ্ত করতে কাজ করুন: কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
উত্তরাঞ্চল মঙ্গার মতো মৌসুমী দুর্ভিক্ষ যাতে আবার ফিরে না আসে সেটি নিশ্চিত করতে সরকারি কর্মকর্তাদের কাজ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার দিনব্যাপী সফরে সার্কিট হাউসে রংপুর বিভাগের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি বলেন, ‘মঙ্গা যাতে আর এই অঞ্চলে ফিরে না আসে সে জন্য কাজ করুন।’
শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারের গৃহীত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রংপুরে ২৭ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
জনগণ যাতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারে, সেজন্য সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ভাবনী ধারণা তৈরিতে মনোযোগ দিতেও বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অতীতে রংপুর অঞ্চল মঙ্গাপীড়িত হিসেবে পরিচিত ছিল। গত ১৪ বছরে সরকারের প্রচেষ্টায় রংপুর অঞ্চল থেকে মঙ্গা বিলুপ্ত হয়েছে। মঙ্গা যাতে চিরতরে বিলুপ্ত হয় তার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছি।’
আরও পড়ুন: রংপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদেরকে নীতি, পরিকল্পনা এবং অর্থ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো যে কোনও প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দিতে পারি। তবে, আপনাদেরকে তৃণমূলে থেকে প্রকল্পগুলো সম্পাদন করতে হবে। তাই, সবকিছু আপনাদের হাতে।’
আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন
দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন
দেশের সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র তিস্তা সোলার লিমিটেড উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠের জনসভা থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বেক্সিমকো পাওয়ার নির্মিত দুইশ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন তিনি।
গত ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অনাবাদি চরের ৬৫০ একর জমিতে গড়ে উঠেছে দেশের সবচেয়ে বড় ও এশিয়ার অন্যতম বড় সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র। তিস্তা সোলার লিমিটেড নামে এই কেন্দ্রটি গড়ে তুলেছে বেক্সিমকো গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেড।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন
তিস্তা পাড়ের লাটশালা এলাকায় বিশাল কেন্দ্রটির নির্মাণ শুরু হয় ২০১৭ সালে। বসানো হয় সাড়ে ৫ লাখ সোলার প্যানেল। উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সুন্দরগঞ্জের তিস্তা পাড় থেকে রংপুর পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে ১২২টি টাওয়ারের ১৩২ কিলো ওয়াট ভোল্টের ৩৫ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। নির্মাণ করা হয়েছে সাবস্টেশন, বসানো হয়েছে ইনভার্টারসহ সব ধরনের যন্ত্র।
বন্যা, নদী ভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রক্ষায় নির্মাণ করা হয়েছে বাঁধ ও চলাচলের জন্য সাত কিলোমিটার সড়ক। যার সুবিধা পাচ্ছেন স্থানীয়রাও।
রংপুর সফরে এসে উত্তরের মানুষে জীবনমান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পূরনের অংশ হিসেবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে উৎপাদিত বিদ্যুৎ। এ কেন্দ্র থেকে দিনে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে জাতীয় গ্রিডে।
আরও পড়ুন: রংপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকল্পটি নিয়ে বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান শায়ান এফ রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর একটা রোডম্যাপ আছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে, পরিবেশ রক্ষা নিয়ে। সরকার এটা নিয়ে অনেক কাজ করছে। বেক্সিমকো অনেক খাতে পাইওনিয়ার। আমরা মনে করি, এই রিনিউয়াবল এনার্জি সেক্টর ভবিষ্যত জ্বালানির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে। তাই আমরা এখাতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেই।’
এই প্রকল্প শতভাগ বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেডের মালিকানায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পে অর্থায়নে আমরা দেশে প্রথম সুকুক বন্ড চালু করি। এ প্রকল্পে আমাদের প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আরো সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের চিন্তা করছি।’
এই প্রকল্প উত্তরবঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যের সহায়ক পরিবেশ তৈরিতেও ভূমিকা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও অবদান রাখবে বলে মনে করেন শায়ান এফ রহমান৷
বিশ্বব্যাপী পরিবেশ রক্ষায় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দেওয়া হচ্ছে। উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও জ্বালানি আমদানি কমাতে সরকারও এখাতে জোর দিয়েছে। যার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বেক্সিমকো। উত্তরবঙ্গে আরও একটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়ন করছে দেশের শীর্ষ এই শিল্পগ্রুপ।
আরও পড়ুন: রংপুরে ২৭ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রংপুরে ২৭ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রংপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারসহ ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠের জনসভা থেকে সম্পন্ন হওয়া প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করেন। একই স্থান থেকে তিনি আরও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
নতুন প্রকল্পগুলো ২০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের অধীনে বাস্তবায়িত হবে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে দেখা হয়।
আরও পড়ুন: সমালোচনা-উপহাস সত্ত্বেও দেশকে ডিজিটালে রূপান্তরিত করেছি: প্রধানমন্ত্রী
শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে রংপুর উপশহরে ৪১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ একর জমির উপর নির্মিত হচ্ছে ১০ তলাবিশিষ্ট নভোথিয়েটারটি।
কর্মকর্তারা বলছেন, এটি এলাকার আরও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষার্থীরা মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারবে এবং বিজ্ঞান পড়তে উৎসাহিত হবে।
ইতোমধ্যে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নির্মাণ করেছে সরকার এবং বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনায় চারটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
রাজশাহীতে নভোথিয়েটারের কাজ প্রায় শেষ এবং এক-দুই মাসের মধ্যে চালু হতে পারে। শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রতিটি বিভাগ একটি করে নভোথিয়েটার নির্মাণ করা হবে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে সেগুলো হলো- শেখ রাসেল মিডিয়া সেন্টার, শেখ রাসেল ইনডোর স্টেডিয়াম, শেখ রাসেল সুইমিং পুল, রংপুর পালিচড়া স্টেডিয়াম, বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স।
আরও পড়ুন: বিএনপির ভয়ঙ্কর অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ আমরা আবারও দেখলাম: প্রধানমন্ত্রী
রংপুর সিটি করপোরেশনের অধীনে প্রকল্পগুলো হলো- রংপুর সিটি সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাল, রংপুর সিটি অ্যাসফল্ট প্ল্যান্ট এবং স্টোর ইয়ার্ড।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্পগুলো হলো- নলয়া নদী পুনঃখনন (১৯.১৪ কিলোমিটার), আলাইকুমারী নদী পুনঃখনন (১৯.২৪ কিলোমিটার), নয়মুল্লা বিল পুনঃখনন (১৪ দশমিক ৫৭ একর), চিকলি বিল পুনঃখনন (১৯ দশমিক ৬৩ একর), ভদ্রারাম বিল পুনঃখনন (২২ দশমিক ৮৯ একর)।
স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রকল্পগুলো হলো- পীরগাছা উপজেলা চৌধুরানী জিসি থেকে শঠিবাড়ী আরঅ্যান্ডএইচ পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন কাজ, পীরগাছা উপজেলা ভেন্ডাবাড়ী থেকে খালাশপীর জিসি পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজ, কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর জিসি থেকে পাওটানা সড়কের সংস্কার কাজ। মিঠাপুকুর উপজেলার গোপালগঞ্জ ঘাটে ঘাঘট নদীর উপর ৯৬ মিটার সেতু নির্মাণ, গঙ্গাচড়া উপজেলার বুড়িরহাট জিসি-কাকিনা আরঅ্যান্ডএইচ সড়কে ৪০ মিটার সেতু নির্মাণ এবং কাউনিয়া উপজেলার পল্লীমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ কাজ।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রকল্পগুলো হলো- রংপুর মেডিকেল কলেজ বহুমুখী ভবন, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় হেলেঞ্চা ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, রংপুর বিভাগের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়, পীরগঞ্জে উপজেলার মাদারগঞ্জে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৪ নম্বর চতরা ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নে ১০ শয্যা বিশিষ্ট বেগম রোকেয়া আধুনিক হাসপাতাল এবং রংপুর জেলার পীরগঞ্জের খালাশপীরে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র।
অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো- পীরগঞ্জ উপজেলার ২৫৪০ মিটার নদীর তীর সংরক্ষণ এবং রংপুর কারখানা ও সংস্থার পরিদর্শনের অফিস ভবন।
আরও পড়ুন: ২৮ কর্মকর্তা ও ২ প্রতিষ্ঠানকে 'বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার' দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
রংপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বুধবার রংপুরে একদিনের সফরে ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারসহ আরও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের অধীনে প্রায় ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
সোমবার রংপুর জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানী সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী আগামী ২ আগস্ট (বুধবার) রংপুর জেলা সফর করবেন।
তিনি বলেন, ‘২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন এবং রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত এক মহাসমাবেশ থেকে প্রায় ১ হাজার ২৪০ কোটি টাকার অন্য পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।’
এগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।
প্রকল্প পরিচালক (উপ-সচিব) মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘৪১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ একর জমিতে ১০ তলা বিশিষ্ট নভোথিয়েটারটি নির্মিত হচ্ছে। রংপুর শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে রংপুর উপশহরে নির্মিত হবে নভোথিয়েটারটি। এটি এলাকার আরও আর্থ-সামাজিক উন্নতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। এটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।’
আরও পড়ুন: ৩ দিনের ইতালি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি উল্লেখ করেন যে শিক্ষার্থীরা মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারবে এবং বিজ্ঞান পড়তে উৎসাহিত হবে।
সরকার ইতোমধ্যে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নির্মাণ করেছে এবং বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী ও খুলনায় চারটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
রাজশাহীতে নভোথিয়েটারের কাজ প্রায় শেষ এবং এক-দুই মাসের মধ্যে চালু হতে পারে।
শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রতিটি বিভাগ একটি করে নভোথিয়েটার নির্মাণ করা হবে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে সেগুলো হলো- শেখ রাসেল মিডিয়া সেন্টার, শেখ রাসেল ইনডোর স্টেডিয়াম, শেখ রাসেল সুইমিং পুল, রংপুর পালিচড়া স্টেডিয়াম, বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে প্রকল্পগুলো হলো- রংপুর সিটি সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাল, রংপুর সিটি অ্যাসফল্ট প্ল্যান্ট এবং স্টোর ইয়ার্ড।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্পগুলো হলো- নলয়া নদী পুনঃখনন (১৯.১৪ কিলোমিটার), আলাইকুমারী নদী পুনঃখনন (১৯.২৪ কিলোমিটার), নয়মুল্লা বিল পুনঃখনন (১৪ দশমিক ৫৭ একর), চিকলি বিল পুনঃখনন (১৯ দশমিক ৬৩ একর), ভদ্রারাম বিল পুনঃখনন (২২ দশমিক ৮৯ একর)।
স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রকল্পগুলো হলো- পীরগাছা উপজেলা চৌধুরানী জিসি থেকে শঠিবাড়ী আরএন্ডএইচ পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন কাজ, পীরগাছা উপজেলা ভেন্ডাবাড়ী থেকে খালাশপীর জিসি পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজ, কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর জিসি থেকে পাওটানা সড়কের সংস্কার কাজ। মিঠাপুকুর উপজেলার গোপালগঞ্জ ঘাটে ঘাঘট নদীর উপর ৯৬ মিটার সেতু নির্মাণ, গঙ্গাচড়া উপজেলার বুড়িরহাট জিসি-কাকিনা আরএন্ডএইচ সড়কে ৪০ মিটার সেতু নির্মাণ এবং কাউনিয়া উপজেলার পল্লীমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ কাজ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রকল্পগুলো হলো- রংপুর মেডিকেল কলেজ বহুমুখী ভবন, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় হেলেঞ্চা ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, রংপুর বিভাগের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়, পীরগঞ্জে উপজেলার মাদারগঞ্জে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৪ নং চতরা ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নে ১০ শয্যা বিশিষ্ট বেগম রোকেয়া আধুনিক হাসপাতাল এবং রংপুর জেলার পীরগঞ্জের খালাশপীরে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র।
অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো- পীরগঞ্জ উপজেলার ২৫৪০ মিটার নদীর তীর সংরক্ষণ এবং রংপুর কারখানা ও সংস্থার পরিদর্শনের অফিস ভবন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়, রংপুর জেলার বিট্যাক সেন্টার, রংপুর মেডিকেল কলেজের মহিলা হোস্টেল এবং বিএমডি-এর আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
আরও পড়ুন: ২৮ কর্মকর্তা ও ২ প্রতিষ্ঠানকে 'বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার' দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
২৮ কর্মকর্তা ও ২ প্রতিষ্ঠানকে 'বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার' দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ২৮ জন সরকারি কর্মকর্তা ও দুটি প্রতিষ্ঠান ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার-২০২৩’ গ্রহণ করেছেন।
সোমবার (৩১ জুলাই) জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ পুরস্কার প্রদান করেন।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের দক্ষতা, মননশীলতা ও উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় 'নীতি ও প্রশাসনিক পদ্ধতির সংস্কার' বিভাগে এবং ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে 'মানব কল্যাণে গবেষণা ও এর ব্যবহার' বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়।
‘সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার গ্রহণ করেন লক্ষ্মীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ, লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ কবির, লক্ষ্মীপুরের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) নূর-ই-আলম, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন এবং রায়পুর উপজেলার ইউএনও অঞ্জন দাস।
'উন্নয়ন প্রশাসন' ক্যাটাগরিতে পদক পেয়েছেন খাগড়াছড়ির সাবেক জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, খাগড়াছড়ির সাবেক এডিসি কে এম ইয়াসির আরাফাত, খাগড়াছড়ির সাবেক সহকারী কমিশনার বাসুদেব কুমার মালো এবং খাগড়াছড়ির সাবেক সহকারী কমিশনার শেখ নওশাদ হাসান।
চার কর্মকর্তা-শরীয়তপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান, শরীয়তপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক উপপরিচালক মাতলুবর রহমান, জাজিরা উপজেলার ইউএনও (শরীয়তপুর) কামরুল হাসান সোহেল এবং জাজিরা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জামাল হোসেনকে 'অর্থনৈতিক উন্নয়ন' বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়।
'এনভায়রনমেন্টাল ডেভেলপমেন্ট' ক্যাটাগরিতে পাঁচজন কর্মকর্তা পুরস্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন
তারা হলেন- হবিগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, হবিগঞ্জের এডিসি (সাধারণ) মিন্টু চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার, হবিগঞ্জের সহকারী কমিশনার নাভিদ সারোয়ার এবং হবিগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার দত্ত।
'মানবসম্পদ উন্নয়ন' বিভাগে আরও পাঁচজন কর্মকর্তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন- গাইবান্ধা বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) উপপরিচালক আবদুস সবুর, গাইবান্ধা সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তাহাজুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল কামাল আজাদ, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হক এবং পলাশবাড়ী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান খান।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামানকে 'দুর্যোগ ও সংকট মোকাবিলা' ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
'অপরাধ প্রতিরোধ' ক্যাটাগরিতে সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও র্যাব-১১ এর সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের কমান্ডার মির্জা সালাহউদ্দিন এবং 'জনসেবায় উদ্ভাবন' ক্যাটাগরিতে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ার ইউএনও সোহাগ চন্দ্র সাহা পুরস্কার পেয়েছেন।
‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ ক্যাটাগরিতে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হক বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার পেয়েছেন।
এছাড়া ‘সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ ক্যাটাগরিতে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর ইউএনও সাদি উর রহিম জাদিদকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
পুরস্কার প্রাপকরা তাদের নামের শেষে 'বিপিএএ' টাইটেল ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিজন প্রাপক একটি স্বর্ণপদক (১৫ গ্রাম ওজনের) এবং একটি রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম সম্বলিত একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়েছে।
ব্যক্তিগত অবদানের জন্য দেওয়া হয়েছে ২ লাখ টাকা এবং দলগত অবদানের জন্য ৫ লাখ টাকা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশেকুর রহমান এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
প্রতি বছর ২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস পালিত হয়।
আরও পড়ুন: কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
ক্যান্টিনে কাজ করা ১১ বছরের রাব্বির দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির ভয়ঙ্কর অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ আমরা আবারও দেখলাম: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ আবারও বিএনপির ভয়ঙ্কর অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ প্রত্যক্ষ করেছে। কারণ বিরোধী দলের কর্মীরা তাদের অবস্থান কর্মসূচির সময় বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দিয়েছে।
রবিবার গতকালকে (শনিবার) শহরে বেশ কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা গতকাল তাদের ভয়ঙ্কর অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ আবারও দেখলাম।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চম পর্যায়ে সারা দেশে আরও ৫০টি নবনির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ৫০টি মসজিদের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন
শেখ হাসিনা বলেন যে বিএনপি ইসলামের নামে রাজনীতি করে, কিন্তু ধর্মীয় কাজে তাদের আন্তরিকতা নেই, বিএনপি যা করেছে তা দেখানোর জন্যই করেছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা তাদের চরিত্র জানেন। তারাতো সন্ত্রাসী। আপনারা গতকালও অগ্নিসংযোগের সহিংসতা দেখেছেন। তারা বেশ কয়েকটি বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও তারা চলমান বাস, ট্রেন, লঞ্চ, অফিস ও স্কুল জ্বালিয়েছে।’
এ ধরনের সন্ত্রাসীরা যাতে আর দেশের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সারা দেশে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ২৫০টি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের শিক্ষার মান উন্নত করুন: প্রধানমন্ত্রী
সমালোচনা-উপহাস সত্ত্বেও দেশকে ডিজিটালে রূপান্তরিত করেছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ম ধাপে সারা দেশে আরও ৫০টি নবনির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন।
সারা দেশে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ২৫০টি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ৫০টি মসজিদের উদ্বোধন করেন।
এর আগে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে, এ বছরের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে, ১৬ মার্চ তৃতীয় ধাপে এবং ১৭ এপ্রিল চতুর্থ ধাপে ৫০টি করে মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ অজু ও নামাজের জন্য পৃথক স্থান রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের পূর্বে আচার-অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হেফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামী সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও ইসলামী দাওয়াতের জন্য সম্মেলন কক্ষ, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য বোর্ডিং সুবিধা থাকবে এসব মসজিদে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামী সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ প্রচারের পাশাপাশি চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের মর্ম বাণী প্রচার করা।
'এ' ক্যাটাগরির আওতায় ৬৪টি জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় লিফট সুবিধা এবং ২ হাজার ৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটারের জায়গাসম্পন্ন ৬৯টি চারতলা বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।
'বি' ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটারের জায়গাসম্পন্ন ৪৭৫টি মসজিদ এবং উপকূলীয় এলাকায় 'সি' ক্যাটাগরির ২ হাজার ৫২ দশমিক ১২ বর্গমিটার জায়গাসম্পন্ন ১৬টি মসজিদ নির্মাণ করা হবে।
নতুন ৫০টি মসজিদের মধ্যে রয়েছে মাগুরা জেলা মডেল মসজিদ ও ৪৯টি উপজেলা মডেল মসজিদ।
আরও পড়ুন: দেশীয় টাকায় নির্মাণ হচ্ছে ৫৬০ মডেল মসজিদ: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
৪৯টি উপজেলা মডেল মসজিদ হচ্ছে - গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ ও হোসেনপুর উপজেলা, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও দৌলতপুর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, বগুড়ার আদমদীঘি ও সোনাতলা, নওগাঁর রাণীনগর ও বদলগাছি ও সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নাটোরের সিংড়া, পাবনার বেড়া, ঈশ্বরদী ও সদর, রাজশাহীর পুঠিয়া ও দুর্গাপুর, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, দিনাজপুরের বিরামপুর, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী ও সদর, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ময়মনসিংহের ত্রিশাল, বরিশাল সদর, ভোলার দৌলতখান, ঝালকাঠির নলছিটি, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, চাঁদপুরের হাইমচর ও হাজীগঞ্জ, কুমিল্লার নোয়াখালী সদর, নাঙ্গলকোট ও সদর, কক্সবাজার সদর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া, রাঙামাটির কাউখালী, নানিয়ারচর ও রাজস্থলী, খুলনার ফুলতলা ও পাইকগাছা, মাগুরা সদর, মেহেরপুর সদর ও সিলেটের গোলাপগঞ্জ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর উপজেলা ও খুলনা জেলার ফুলতলায় আলেম-ওলামা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সঞ্চালনা করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।
আরও পড়ুন: সারাদেশে আরও ৫০ মডেল মসজিদের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০০টি মডেল মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ
সমালোচনা-উপহাস সত্ত্বেও দেশকে ডিজিটালে রূপান্তরিত করেছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার কিছু মহলের কঠোর সমালোচনা, অপমান ও উপহাস সত্ত্বেও দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছি। কিন্তু শুরুতে আমাদের কঠোর সমালোচনা, অপমান ও উপহাসের সম্মুখীন হতে হয়েছে। যখনই সমস্যা বা সংকট দেখা দিয়েছে, অনেকেই আমাদের উপহাস করেছেন। বলেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে এটা হয়েছে।’
শনিবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট ২০২৩-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে দুই দিনব্যাপছ্সিম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ফ্ল্যাগশিপ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের শিক্ষার মান উন্নত করুন: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনী প্রচারের সময় আওয়ামী লীগ যখন তাদের ইশতেহার ঘোষণা করেছিল, তখন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তিনি বলেন, ‘তখন আমাদের চরম উপহাসের সম্মুখীন হতে হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমি গর্ব করে বলতে পারি, আমরা দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিমান এবং জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার উপর জোর দিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট বিষয়ক চিন্তাভাবনা, ব্লকচেইন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা ও সাইবার নিরাপত্তার মতো আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য তার সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে
তিনি বলেন, তারা প্রতিটি উপজেলায় বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করছে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগকে স্মার্ট করতে পদক্ষেপ নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকারের প্রচেষ্টায় স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এ পর্যন্ত ৩০টি বিনিয়োগ সম্পন্ন করেছে এবং ‘শত বর্ষে শত আশা’প্রচারের আওতায় ১০০টি স্টার্টআপ বিনিয়োগ প্রক্রিয়াধীন।
এর মাধ্যমে ১৫ লাখের বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯২ লাখ মানুষ সেবা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন, যাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ নারী।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জাতীয় স্টার্টআপ নীতিমালা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ স্টার্টআপ ফান্ড প্রণয়ন করেছে। এর মাধ্যমে দেশে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে এখন পর্যন্ত ৯২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচটি ইউনিকর্ন তৈরিতে সহায়তা করা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫৪০টি ইউনিকর্ন তৈরি করা লক্ষ্য।
তিনি বলেন, কমপক্ষে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের একটি স্টার্টআপ কোম্পানিকে ইউনিকর্ন বলা হয় এবং একটি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ লাখ লাখ লোকের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ, স্মার্ট ও বুদ্ধিমান জনশক্তি তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্টার্টআপে আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি তুলে ধরুন: নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
ই-কমার্স মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ এলাকার ফ্রিল্যান্সাররা ৫০ কোটি ডলারের বেশি আয় করছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে দেশের তরুণরাই হবে মূল শক্তি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণরা হবে প্রতিটি ক্ষেত্রে সবচেয়ে দক্ষ জনশক্তি, গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।’
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।
পুরস্কার প্রাপ্তদের পক্ষে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক এবং এসবিকে টেক ভেঞ্চারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
দুই দিনব্যাপী এই ইভেন্টের লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন দেশের স্টার্টআপ, উদ্যোগ, ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট, বিনিয়োগকারী, নিয়ন্ত্রক, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ও বিশেষজ্ঞদের একত্র করা।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সিলারেটর প্রোগ্রাম উন্মোচন করেন, ভারত-বাংলাদেশ স্টার্টআপ ব্রিজ ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ স্টার্টআপ ফান্ড চালু করেন।
তিনি বিজয়ীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্রান্ট এবং বাংলাদেশ স্টার্টআপ অ্যাওয়ার্ডও তুলে দেন।অনুষ্ঠানে একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়।
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের শিক্ষার মান উন্নত করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিক্ষার গুণগত মান আরও উন্নত করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো শিক্ষার মান আরও উন্নত করা, যাতে আমাদের শিশুরা সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে মিলিয়ে চলতে পারে।’
শুক্রবার (২৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি ছেলে-মেয়েরা যথেষ্ট মেধাবী এবং তারা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অসামান্য অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য যথেষ্ট স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন:
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতায় সজ্জিত দেশের জনশক্তি গড়ে তুলতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রযুক্তি, কম্পিউটার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ানো হবে। তাই, আমাদের এই দক্ষতা অর্জনে নজর দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখে আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য আমাদের সন্তানদের শিক্ষা, দক্ষতা, চিন্তাভাবনা ও জ্ঞান দিয়ে গড়ে তুলতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।’
অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের প্রতি আরও মনোযোগ দিতে এবং মেধা অনুযায়ী তাদের দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আপনার বাচ্চাকে অন্যের বাচ্চার সঙ্গে তুলনা করবেন না, বরং মেধা অনুযায়ী তার দক্ষতা বিকাশ করতে দিন।’
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ
অভিভাবকদের সন্তানদের শিক্ষার প্রতি আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনার সন্তানরা কোথায় যায় এবং তারা কী করে সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার জন্য আমি অনুরোধ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী এ বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান।
তবে যারা সফল হতে পারেনি, তাদের বিচলিত না হয়ে পরের বারের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সম্মিলিত ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
পরে ৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসির ফলাফল হস্তান্তর
বিচার বিভাগকে স্মার্ট করতে পদক্ষেপ নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী