প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর
বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিকে আরও বেশি করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে দেয়া এবং আমি বিশ্বাস করি আমরা তাতে সফল হব।’
রবিবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২৪ বিশিষ্ট নাগরিকের মাঝে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক-২০২২ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পদক হস্তান্তর করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার তৃণমূল ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা অর্থনৈতিক মুক্তি পেতে চাই।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং সমৃদ্ধির পথে যাত্রা অব্যাহত রাখবে।
পড়ুন: দেশের প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিন: শেখ হাসিনা
ভাষা আন্দোলন থেকে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বহু মানুষের আত্মত্যাগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা কোনো ব্যক্তির আকস্মিক ঘোষণার মাধ্যমে আসেনি, স্বাধীনতা এসেছে সংগ্রামের যাত্রার মধ্য দিয়ে এবং সেই সংগ্রাম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) অবদানে স্বাধীন বাংলাদেশ এবং এ দেশ একটি জাতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।’
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার অবদান মুছে ফেলার প্রচেষ্টার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান সবচেয়ে বেশি মুছে ফেলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সত্য ও ইতিহাস কেউ মুছে দিতে পারেনি।’
পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্ম তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে এগিয়ে আসবে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
পড়ুন: কোস্টগার্ডে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অপরিহার্য: শেখ হাসিনা
দেশের প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিন: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে দেশের প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড যেমন মেলা, উৎসব প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে দেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘অতীতে দেশের প্রত্যেক জেলা বা মহকুমায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সহিত্য চর্চা, সাহিত্য সম্মেলন, আলোচনা হোত যে চর্চাটা এখন অনেকটা কমে গেছে। এটাকে আবার একটু চালু করা দরকার।’
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীতে বইপ্রেমী ও প্রকাশকদের বার্ষিক অনুষ্ঠান অমর একুশে বইমেলা-২০২২ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে দেশের সবচেয়ে বড় বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম আবার চালু করা গেলে অনেক তৃণমূল প্রতিভাবান কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মী তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে এবং একই সঙ্গে মানুষ তাদের শারীরিক চাহিদাও পূরণ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলা- ২০২২ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কোস্টগার্ডে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বলেছেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরকার শিগগিরই উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ, হোভারক্রাফট ও স্পিডবোট অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে আরও শক্তিশালী ও আধুনিক করতে খুব শিগগিরই উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ, হোভারক্রাফট এবং স্পিডবোট যুক্ত করা হচ্ছে।’
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, গভীর সাগরে টহল দেয়ার জন্য সরকার চারটি ওপিভি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে।
এছাড়া গভীর সাগরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের যোগাযোগ সহজ করতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সাথে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই আধুনিক প্রযুক্তির জাহাজ এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা সংযোজনের মাধ্যমে কোস্টগার্ড ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার আগামী দিনে নতুন দায়িত্ব পালনের জন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে একটি আধুনিক ও চৌকস বাহিনী হিসেবে প্রস্তুত করছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার নিজস্ব জনবল নিয়োগ কার্যক্রম এবং বাহিনী পুনর্গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে।’
কোস্টগার্ড সদস্যদের সাহসিকতা ও বিশেষ কৃতিত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান তাদের হাতে পদক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে কোস্টগার্ডের কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পড়ুন: উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অপরিহার্য: শেখ হাসিনা
জনগণের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
চলতি মাসেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে চলতি মাসের শেষের দিকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি এই মাসের শেষের দিকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং তখন আমরা স্কুল, কলেজ এবং অন্যান্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দিতে পারব।’
রবিবার ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানে পাসের হার ৯৫.২৬ শতাংশ
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির সময় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকলেও শিক্ষার্থীরা তাদের সহকর্মী ও বন্ধুদের সাথে শ্রেণিকক্ষে থাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। করোনভাইরাসে শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আবার খুলে দেয়া যায়।
তিনি বলেন, সরকার সকল পর্যায়ের মানুষকে টিকাদানের আওতায় আনার ব্যবস্থা নিয়েছে।
ভ্যাকসিন নেয়ার ব্যাপারে মানুষের মধ্যে অনীহা রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের ভয়াবহ পরিণতি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সবাইকে টিকার ডোজ নিতে আহ্বান জানান।
পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছেন।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফল প্রকাশের অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির হাতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল তুলে দেন।
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৯ হাজার ১৮৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মোট ১৪ লাখ ৩ হাজার ২৪৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৭ লাখ ৩২ হাজার ২৯ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৭১ হাজার ২১৫ জন ছাত্রী।
করোনা মহামারির কারণে সাত মাস বিলম্বের পর, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও এর সমমানের পরীক্ষা ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল প্রকাশ আজ
এইচএসসির ফল প্রকাশ রবিবার
উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অপরিহার্য: শেখ হাসিনা
দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার দেশের উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) ৪২তম জাতীয় সমাবেশ-২০২২-এ বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। দেশে যদি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে।‘
গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন মানে প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন। আমরা চাই প্রতিটি পরিবার সচ্ছ্বলভাবে জীবনযাপন করুক। এই কারণেই এটি একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত অপরিহার্য।’
আরও পড়ুন: জনগণের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। এ ক্ষেত্রে আমাদের আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সব সময় সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চরমপন্থা ও ধর্মান্ধতা নির্মূলে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
অনুষ্ঠানে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ থেকে প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য আট ক্যাটাগরিতে ১৬২ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্যকে বিশেষ পদক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আক্তার হোসেন বক্তব্য দেন।
পড়ুন: জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে আবারও ক্ষমতায় আনবে: শেখ হাসিনা
জনগণের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
সরকার জনগণের অধিকার রক্ষা করে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন,‘আমি মনে করি জনগণের অধিকার রক্ষা করে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছি আমরা।’
বুধবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নবনির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, সংরক্ষিত আসনের নয় জন কাউন্সিলরসহ ৩৬ জন কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
শেখ হাসিনা মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে শপথ পাঠ করান এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ২৭ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের ৯ জন কাউন্সিলরকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে।
তিনি বলেন, জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে তাদের কাঙ্খিত প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে তাদের কাজ করার জন্য। জনগণ কখনই ভুল সিদ্ধান্ত নেয় না। এটাই বাস্তবতা, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন তার প্রমাণ। আমরা জনগণের ওপর আস্থা রেখে আমাদের সকল কার্যক্রম করি।
নাসিক নির্বাচন: আইভী ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) নবনির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, সংরক্ষিত আসনের নয়জন কাউন্সিলরসহ ৩৬ জন কাউন্সিলর বুধবার শপথ নিয়েছেন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে শপথ পাঠ করান। পরে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ২৭ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের নয়জন কাউন্সিলরকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
গত ১৬ জানুয়ারি টানা তৃতীয় বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে জিতে ইতিহাস গড়েছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। নির্বাচনে তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর আলম খন্দকারকে ৬৯ হাজার ১০২ ভোটে হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নাসিক নির্বাচন: শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় প্রশংসা শামীম ওসমানের
নাসিক নির্বাচন উদাহরণ সৃষ্টি করবে: সিইসি
একনেকে চতুর্থ এইচপিএনএসপি প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল ৩০ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর প্রোগ্রামের (চতুর্থ এইচপিএনএসপি) প্রথম সংশোধনীতে এর ব্যয় ৩০ হাজার ৪৪৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেড়েছে এবং প্রকল্পের সময়সীমা এক বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত অনুমোদন করেছে।
একনেক সভায় মোট ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে যার সামগ্রিক প্রাক্কলন ব্যয় ৩৭ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা (শুধুমাত্র চারটি সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় গণনা)।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজকের বৈঠকে সাতটি নতুন ও চারটি সংশোধিত— মোট এগারটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে এবং মোট আনুমানিক ব্যয় ৩৭ হাজার ৫০৭ কোটি ২২ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে আবারও ক্ষমতায় আনবে: শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ব্যয়ের মধ্যে ৩৬ হাজার ২৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে, আর ৩৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তহবিল থেকে এবং বাকি এক হাজার ৪৪৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা প্রকল্প ঋণ হিসাবে বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে।
পরিকল্পনা কমিশনের মতে, ৪র্থ এইচপিএনএসপি -এর খরচ মূল লেআউট থেকে ১৫ হাজার ৪৮৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
নতুন সাতটি প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হচ্ছে ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির জন্য প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্প, যা মাদারীপুরের শিবচরে বাস্তবায়িত হবে।
আইসিটি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ দেশের প্রথম সীমান্ত প্রযুক্তি-ভিত্তিক বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধান প্রকল্প কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ৭০ দশমিক ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন, আইওটি, বিগ ডেটা বা ডেটা সায়েন্স, ফরেনসিক বা সাইবার সিকিউরিটি, মেশিন লার্নিং, ব্লক চেইন এবং চিপ ডিজাইন, সাত হাজার ৭৪২-বর্গ মিটার নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদান। প্রশাসনিক ভবন, ৪৩ হাজার ২৮৭-বর্গ মিটার গবেষণা উন্নয়ন ভবন এবং এছাড়াও বিজনেস সেন্টার এবং ৯ হাজার ৭৬০-বর্গ মিটার ডরমিটরি এবং আট হাজার ৮০০-বর্গ মিটার গ্যালারিসহ ফুটবল মাঠ।
অন্য ছয়টি নতুন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে -মোংলা কমান্ডার ফ্রোটিলা ওয়েস্ট (কমফ্লোট ওয়েস্ট)-এর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) মিলিটারি ফার্ম আধুনিকায়ন প্রকল্প, বাংলাদেশের ১০টি অগ্রাধিকার ভিত্তিক শহরে সমন্বিত স্যানিটেশন ও হাইজিন প্রকল্প, ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত এলাকায় বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, সড়ক মেরামতে ব্যবহৃত আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং ম্যাকানাইজড পার্কিং স্থাপনের মাধ্যমে যানজট নিরসন প্রকল্প; ঢাকার আজিমপুরস্থ মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য হোস্টেল বা ডরমিটরি নির্মাণ প্রকল্প।
সভায় অনুমোদিত অন্য তিনটি সংশোধিত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ, গোপালগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই নেটওয়ার্ক আপগ্রেড করা।
ব্রিফিংয়ের সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম,পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন-আল-রশীদ, মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হতাশাবাদীদের পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে আবারও ক্ষমতায় আনবে: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং দেশের মানুষের ওপর আস্থা রাখে।
দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণ আবারও আওয়ামী লীগের পক্ষে তাদের ম্যান্ডেট দেবে এবং দেশের শাসন অব্যাহত রাখার অনুমতি দেবে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এক দশকেরও বেশি সময়ের শাসনামলে আওয়ামী লীগ দেশকে বদলে দিয়েছে। সরকার বিভিন্ন উদ্দীপনা প্যাকেজ দিয়ে করোনা মহামারির সময়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার এখন ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যেখানে মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে এবং সারাদেশে শতভাগ পরিবারকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক, আমার বাড়ি আমার খামার ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে সকল সুযোগ-সুবিধা এখন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশে আর কেউ গৃহহীন থাকবে না এবং সরকার তা নিশ্চিত করবে বলেও এ সময় প্রধানমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
লবিস্ট নিয়োগে খরচ করা প্রতি পয়সার হিসাব দিতে হবে বিএনপিকে: প্রধানমন্ত্রী