বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিকে আরও বেশি করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে দেয়া এবং আমি বিশ্বাস করি আমরা তাতে সফল হব।’
রবিবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২৪ বিশিষ্ট নাগরিকের মাঝে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক-২০২২ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পদক হস্তান্তর করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার তৃণমূল ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা অর্থনৈতিক মুক্তি পেতে চাই।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং সমৃদ্ধির পথে যাত্রা অব্যাহত রাখবে।
পড়ুন: দেশের প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিন: শেখ হাসিনা
ভাষা আন্দোলন থেকে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বহু মানুষের আত্মত্যাগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা কোনো ব্যক্তির আকস্মিক ঘোষণার মাধ্যমে আসেনি, স্বাধীনতা এসেছে সংগ্রামের যাত্রার মধ্য দিয়ে এবং সেই সংগ্রাম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) অবদানে স্বাধীন বাংলাদেশ এবং এ দেশ একটি জাতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।’
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার অবদান মুছে ফেলার প্রচেষ্টার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান সবচেয়ে বেশি মুছে ফেলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সত্য ও ইতিহাস কেউ মুছে দিতে পারেনি।’
পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্ম তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে এগিয়ে আসবে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
পড়ুন: কোস্টগার্ডে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী