মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার ফাইনালে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ১৭০ রান তুলে রাজশাহী। চ্যালেঞ্জিং স্কোর তারা করতে গিয়ে ১৪৯ রানেই থেমে যায় খুলনার রানের চাকা।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা রাজশাহীকে বড় সংগ্রহে মূল ভূমিকা পালন করে পাকিস্তানের নওয়াজ মোহাম্মাদ ও অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। শেষ পাঁচ ওভারে তাদের জুটি থেকে আসে ৭০ রান। পাঁচে নেমে ১৬ বলে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রাসেল, ছয়ে নেমে ২০ বলে অপরাজিত ৪১ নওয়াজ।
এর আগে রাজশাহীর শুরুটা আশা জাগানিয়া হলেও ১৫ ওভার পর্যন্ত অনেকটা দিশাহীন ছিল তাদের ব্যাটিং। পরবর্তীতে নওয়াজ-রাসেলের ঝড়ো ইনিংসের সৌজন্যে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে রাজশাহী।
অন্যদিকে রান তারা করতে নেমে ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় খুলনা, যেখান থেকে তাদের আর বেড়িয়ে আসা সম্ভব হয়নি।
আগের দুই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করা শান্ত ফিরে যান ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই। আর পরের ওভারেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আরেক ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
পরবর্তীতে শামসুর রহমান ও রাইলি রুশোর ব্যাটে শুরুর ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা থাকলেও বড় ইনিংসে খেলতে পারেননি রুশো (২৬ বলে ৩৭)। তরে খুলনা টাইগার্সকে টেনে তুলছিলেন শামসুর। ৪৩ বলে ৫২ রান করা শামসুর দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। শেষ ভরসা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ২১ বলে ১৫ করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে নিভে যায় খুলনার জয়ের সব আলো।
রাজশাহী রয়্যালসকে শিরোপা এনে দেয়ায় অসাধারণ ভূমিকা রাখা আন্দ্রে রাসেল প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ ও প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ দুই পুরস্কার জিতে নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রাজশাহী রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৭০/৪ (লিটন ২৫, আফিফ ১০, শুক্কুর ৫২, মালিক ৯, রাসেল ২৭*, নওয়াজ ৪১*; আমির ৪-০-৩৫-২, ফ্রাইলিঙ্ক ৪-০-৩৩-১, তানভির ১-০-১১-০, শফিউল ৪-০-৩৮-০, মিরাজ ৩-০-২৭-০, শহিদুল ৪-০-২৩-১)।
খুলনা টাইগার্স: ২০ ওভারে ১৪৯/৮ (শান্ত ০, মিরাজ ২, শামসুর ৫২, রুশো ৩৭, মুশফিক ২১, নাজিবউল্লাহ ৪, ফ্রাইলিঙ্ক ১২, শহিদুল ০, শফিউল ৭*, আমির ১*; ইরফান ৪-১-১৮-২, আবু জায়েদ ২-০-২৪-১, রাসেল ৪-০-৩২-২, মালিক ২-০-১৫-০, নওয়াজ ৪-০-২৯-১, কামরুল রাব্বি ৪-০-২৯-২)।