সর্বশেষ ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে অনুষ্ঠিত ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফি। এরপর রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন। গত মাসে বিপিএল শুরু হলে আবারও খেলায় ফেরেন এ ডানহাতি পেসার।
ঢাকা প্লাটুনের হয়ে সোমবার খেলা শেষ ম্যাচ পরে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বোর্ড চাইলে যেকোনো সময় আমি অধিনায়কত্ব ছাড়তে প্রস্তুত।’
জাতীয় দলে তার ভবিষ্যৎ কী সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি এর আগেই বিষয়টি পরিষ্কার করেছি যে নির্বাচকদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমি কাজ করব।’
কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তের পরই মাশরাফির অবসরের বিষয়টি আলোচনায় আসে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান রবিবার বলেন, মাশরাফি চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন এবং তিনি চান তার স্থলে নতুন কেউ আসুক।
‘আমরা তিন বছর পর পরবর্তী বিশ্বকাপ খেলবো। আমি মনে করি একজন নতুন খেলোয়াড়কে চুক্তিতে নেয়া উচিত, যাতে সে নিজের দায়িত্বটা বুঝে এবং সে অনুযায়ী চলে,’ বলেন মাশরাফি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে এলেও মাশরাফি ঢাকা লিগ, বিপিএল এবং অন্যান্য ঘরোয় লিগে খেলা চালিয়ে যেতে সংকল্পবদ্ধ।
‘বিপিএলে অন্তত ৮০ জন ক্রিকেটার খেলছে। আপনি কি মনে করেন যে তাদের সবাই জাতীয় দলকে টার্গেট করে খেলছে-আমি মনে করি না। আমি এখনও খেলা উপভোগ করছি এবং ঘরোয় ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যেতে চাই,’ যোগ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ম্যাচে ম্যাচ ফি বাড়ানোয় বোর্ডের প্রশংসা করেন মাশরাফি। নতুন বেতন অনুযায়ী-একজন ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ প্রতি ২ লাখ টাকা, ওয়ানডে ম্যাচের জন্য ৩ লাখ এবং টেস্ট ম্যাচ প্রতি ছয় লাখ টাকা করে পাবেন।
‘এটা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত। ক্রিকেটাররা একটা ভালো এমাউন্ট পাবে। আমি মনে করি এটা তাদের দায়িত্ব বাড়াবে,’ বলেন মাশরাফি।