উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল সাড়ে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে। সেখানে ধান চাষ হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে। এবার গত বছর থেকে ৩০০ হেক্টর জমিতে বেশি আমন ধান চাষ হয়েছে।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাঠে ধান কাটা, বাঁধা, বয়ে বাড়ি আনা, ঝাড়া ও পরিষ্কার করা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কাজের ব্যস্ততায় তারা অনেকটা নাওয়া –খাওয়াও ভুলে গেছেন। তবু যেন কারও কষ্ট নেই। কৃষকরা ভোরে ঘুম থেকে উঠেই মাঠে চলে যাচ্ছে। বাড়ির ছোট বাচ্চা বা কৃষাণিরা মাঠে কৃষকের জন্য ভাত বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মাঠে বসে খেয়েই তারা আবারও কাজ শুরু করছেন।
কৃষকরা জানান, ধানের দামের পাশাপাশি এবার বিচালির দামও ভালো। বিচালি বিঘাপ্রতি ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে মনের আনন্দে কাজ করছেন তারা।
তারা আরও জানান, চলতি মৌসুমে আমন চাষ করে শুধু বিচালি বিক্রি করে তাদের খরচ উঠে যাবে। ধান-বিচালি বিক্রি করে করোনা মহামারির আর্থিক সংকট কাটিয়ে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
সাদিপুর বকুলতলা বাজারের ব্যবসায়ী নওশের আলী বলেন, ‘চলতি মৌসুমে প্রায় সব ধরনের ধান হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরে যে ধান আমরা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় কিনেছি এবার সে ধান এক হাজার থেকে শুরু করে এক হাজার ২০-৩০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এবার দাম বেশ চড়া।’