জেলায় আগাম শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপির দাম কেজি প্রতি ৫৫-৬৫ ও বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রানীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁ ইউনিয়নের পদমপুর গ্রামের লিটন আলী বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবার অনেক বেশি ফুলকপি ও বাঁধাকপি আবাদ হয়েছে। প্রতি মণ ফুলকপি পাইকারি দরে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা এবং বাঁধাকপি এক হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খরচ বাদ দিয়ে এবার বেশ মুনাফা পাচ্ছি।’
উপজেলার ডায়াবেটিক মোড়, পদমপুর, রাউতনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠ থেকেই সবজি ব্যবসায়ীরা কপি সংগ্রহ করছেন। রংপুর, বগুড়া, ঢাকা ও সিলেটের পাইকাররা কপি কিনে ট্রাকযোগে নিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলার বিরাশী, উমরাডাঙ্গী, উত্তরগাঁও, মহলবাড়ি, কলিগাঁ, ভান্ডারাসহ বিভিন্ন এলাকাতেও ব্যাপক কপি চাষ হয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার আকচা, নারগুন, গড়েয়া ও শুকানপুকুরি এলাকায় এবং হরিপুর উপজেলায় ব্যাপক কপি চাষ হয়েছে।
প্রতিদিন ট্রাকযোগে ও ঢাকাগামী বাসের ছাদে করে কপিসহ অন্যান্য সবজি নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
চাষিরা জানান, মারবেল, মুক্তি, ম্যাগনেট-১২ ও ভিক্টোরী জাতের ফুলকপি এবং কেকে ক্রশ, ট্রপিকল্যান্ড, কুইকার ও সুপার সেট জাতের বাঁধাকপির চাহিদা এ এলাকায় বেশি।
রানীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, ‘এ উপজেলার মাটি ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ সবজি চাষের জন্য বেশ উপযোগী।’
এ বছর উপজেলায় ৪০০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও ২০০ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপির আবাদ হয়েছে বলে তিনি জানান।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আফতাব হোসেন বলেন, ‘জেলায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮ হাজার ৮২৪ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।’