ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে রমজান উপলক্ষে বাজারে আগাম তরমুজ, দাম আকাশচুম্বী
ঠাকুরগাঁওয়ে রমজান উপলক্ষে বাজারে আগাম তরমুজ উঠেছে। তবে মৌসুমি এ ফলের দাম অনেক বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষ তা কিনতে পারছেন না।
পৌর শহরের কালিবাড়ি, কোট চত্বর, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, সত্যপীর ব্রিজ, গোধূলি বাজার, মন্দিরপাড়া, ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায় তরমুজের অস্থায়ী বাজার।
পৌর শহরের বিভিন্ন বাজারে তরমুজের বাজারদর ছিল কেজি প্রতি প্রায় ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত। এখন দাম কিছুটা কমে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতাকে কিনতে হচ্ছে কেজি দরে গোটা তরমুজ।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৮০০ কোটি টাকার তরমুজ বাণিজ্যের সম্ভাবনা
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলায় উৎপাদনকৃত তরমুজ এখনও বাজারে ওঠেনি। ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রমজানকে টার্গেট করে তরমুজ ঠাকুরগাঁওয়ে এনে বিক্রি করছেন। প্রতিটি তরমুজ ১০ থেকে ১৫ কেজি বা এর চেয়েও বেশি ওজনের। ফলে প্রতি ১০ কেজির তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। এই দামে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা কিনতে পারছেননা। আর তাই বাজারে তরমুজের বেচা-কেনাও কম।
ঠাকুরগাঁওয়ে মাটি চাপা পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে টয়লেটের রিং স্লাব বসাতে গিয়ে মাটি ধসে লক্ষণ চন্দ্র পাল (৩০) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে পৌর শহরের ডিসি বস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লক্ষণ দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানার ৯নং সাতর ইউনিয়নের দক্ষিণ দোলুয়া গ্রামের মৃত রাজবিহারী পালের ছেলে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বজ্রপাতে শ্বশুর ও জামাইয়ের মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সকাল থেকে ডিসি বস্তি এলাকায় মমতা বেগমের বাড়িতে কয়েকজন শ্রমিক মাটির গভীরে টয়লেটের রিং বসাচ্ছিলেন। এ সময় কাজ করতে করতে প্রায় ১৪টি রিং বসার পর লক্ষণের ওপর মাটি ধসে পড়ে।
তার সঙ্গে থাকা নারায়ণ চন্দ্র চিৎকার করলে তাকে উদ্ধার করতে আশাপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে লক্ষণের লাশ উদ্ধার করে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় মাটি চাপায় ৩ রোহিঙ্গার মৃত্যু
দিনাজপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু
এক স্কুলেই বিচরণ ১০ জোড়া যমজের!
ঠাকুরগাঁও-এর এক স্কুলে ২০ জন যমজ ভাইবোন পড়াশোনা করছে। তারা একসঙ্গে স্কুলে যাওয়া-আসা করে, একসঙ্গেই খেলে ও খায়। আশেপাশের সবাই তাদের মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখে। এক বিদ্যালয়ে এত যমজ ভাইবোন পড়াশোনার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। বেশ আকৃষ্ট করেছে সবাইকে।
জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুল ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত।
প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে ২০ জন যমজ ভাইবোন পড়াশুনা করছে। স্কুলটির ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে তাহসিন-তাসনিম ও সান-মুন, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে কার্তিক-গণেশ, হাবিব-হাফিজ ও সুমাইয়া-সাদিয়া, অষ্টম শ্রেণিতে শুভ-সৌরভ, নবম শ্রেণিতে হাসি-খুশি ও তাহবি-তাসবি এবং দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে আবিদ-অমিত ও রাহুল রাহা-চঞ্চল রাহা।
যমজ ভাইবোনদের চেহারায় মিল থাকায় স্কুলের শিক্ষকরাও মাঝেমধ্যে দ্বিধায় পড়েন। খানিকটা বিড়ম্বনা হলেও তাদের নিয়ে বেশ উপভোগও করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠীরা। দু’জন একসঙ্গে বেড়ে ওঠাকে বেশ গর্বের সঙ্গে দেখছেন যমজ ভাইবোনরা।
আরও পড়ুন: ভোলায় কোমড় জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম
ষষ্ঠ শ্রেণির যমজ দুই ভাই সান ও মুন জানায়, আমরা দুই ভাই একসঙ্গে সব কাজ করি। খাওয়া, খেলাধুলা ও স্কুলে আসা-যাওয়া করি৷ আমাদের দু’জনের পছন্দ মাংস-ভাত৷ শুধু দু’জনের দুই রঙ পছন্দ। একজনের লাল আরেকজনের নীল।
তারা আরও জানায়, আমরা একই পোশাক পরে বিভিন্ন জায়গায় যাই। শুধু পোশাক না, আমাদের জুতা, চশমা, প্যান্ট সব এক রকম। এতে আমাদের খুব ভালো লাগে। তবে অনেকেই বুঝতে পারে না কে সান আর কে মুন, তখন আমাদের হাসি পায়। আমরা খুব মজা পাই। আমরা দুই ভাই অনেক আনন্দ করি একসঙ্গে। বাড়িতে একসঙ্গে পড়তে বসি। আমাদের বাবা-মা ও পরিবার সবাই আমাদের নিয়ে খুশি।
সপ্তম শ্রেণির যমজ দুই বোন সুমাইয়া ও সাদিয়া জানায়, আমাদের সব কাজ আমরা একসঙ্গে করি। আমাদের দুজনের প্রিয় রঙ নীল। আমরা একসঙ্গে স্কুলে আসি। একসঙ্গে ক্লাসে বসি। টিফিনের সময় আবার একসঙ্গে খেলাধুলা করে থাকি। সব কাজগুলো আমরা একসঙ্গে করি। ক্লাসে স্যার একজনকে বকা দিলে অন্যজনের খুব খারাপ লাগে। স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীরা আমাদের আলাদাভাবে চিনতে পারে না।
নবম শ্রেণির যমজ দুই বোন হাসি ও খুশির জানায়, আমাদের একটা বড় সুবিধা হলো কেউ কোনো ভুল করলে আরেকজনকে চাপিয়ে দেয়া যায়, পরে আবার আমরা একসঙ্গে মিলে যাই। আর পরিবারের কাছে, আত্মীয় স্বজনদের কাছে ও শিক্ষকদের কাছেও আমরা বেশ আদর পাই। আমরা পুরো সময় একসঙ্গে কাটাই। আমরা জমজ হয়ে অনেক খুশি।
মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমাদের স্কুলে ২০ জন যমজ ভাইবোন পড়ে। আমরা তাদের প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল। ক্লাসে তাদের প্রত্যেকের মেধাক্রম কাছাকাছি। আমাদের স্কুলের জন্যও এটা গর্বের যে তারা আমাদের স্কুলে পড়ছে। আমরা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি যমজ ছাত্রছাত্রীদের বিষয়ে প্রশংসা করে বলেন, আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জমজ ছাত্রছাত্রীদের ভালোভাবে দেখাশোনা ও লেখাপড়ার সকল সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যমজ তিন কন্যা শিশুর জন্ম
ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশনে বেড়েছে পকেটমারদের দৌরাত্ম্য, অসহায় ট্রেনযাত্রীরা
ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি, বিনা টিকিটের যাত্রীদের ও হিজড়াদের অত্যাচারসহ নানা অনিয়ম ছাড়াও এখন পাল্লা দিয়ে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে পকেটমারদের দৌরাত্ম্য।
এমন কোনোদিন নেই যে সাধারণ রেলযাত্রীদের পকেট মারার অভিযোগ আসছে না।
আরও পড়ুন: পকেটমার সন্দেহে যুবককে গণপিটুনি দিল আ.লীগ নেতা
স্টেশনে পকেটমার চক্র একদিনে ১১ জনের বিভিন্ন অংকের প্রায় ৬৫ হাজার এবং গত তিনদিনে মোট ১৯ জনের প্রায় লাখ টাকা নিয়ে চম্পট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এছাড়া ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশনসহ আশেপাশের প্রায় সব রেলস্টেশনেই পকেটমারদের দৌরাত্ম আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। এদিকে যাত্রী সেজে পকেটমারেরা লুটে নিচ্ছে অসহায় যাত্রীদের সর্বস্ব।
ভুক্তভোগী ও অভিযোগকারী ১৯ জনের মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আইনজীবী ও সাংবাদিকসহ অন্যান্য পেশাজীবী।
তারা অভিযোগ করে বলেন, অভিনব কৌশলে কোনো কিছু বুঝতে না দিয়ে পকেটমার চক্র তাদের পকেটে হাত ঢুকিয়ে টাকা বের করে নিয়ে চম্পট হচ্ছে। আর এসব অধিকাংশ ঘটনা ঘটছে ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশন থেকে তাড়াহুড়ো করে ট্রেনে উঠা-নামার সময়।
ভুক্তভোগীরা বলেন, যাত্রী উঠানামা করার জন্য স্টেশনে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন মিনিট ট্রেন থামে। এসময় যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে ব্যাগসহ মালামাল নিয়ে ট্রেনে উঠা-নামার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সেই সুযোগে পকেটমার চক্র সু্যোগ বুঝে যাত্রীদের পকেটে থেকে টাকা-পয়সাসহ মোবাইল হাতিয়ে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বোয়ালমারীতে পরকীয়ার জেরে মেয়ের সামনে মাকে কুপিয়ে হত্যা!
ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
দেশব্যাপী বিএনপির ‘সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপ-রাজনীতি’র বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা।
শনিবার দুপুরে শহরের চৌরাস্তার পাশে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।
আরও পড়ুন: ১৮ মার্চ সব মহানগরে সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
এসময় রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। এখানে ধর্ম, জাত ও পাত কোন বিষয় না। সকলে মিলেমিশে কাজ করতে হবে দেশের উন্নয়নের জন্য। বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে লুটপাট করেছে কারা। যারা দুর্নীতি করেছে; তারাই লুটপাট করেছে। ওই সময়ে তাদের অত্যাচারে মানুষ কতটা অসহায় ছিল সবাই জানে।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষদের আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। ওই সময়ে আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। তবু আমরা সহ্য করে আছি, কারণ আমরা যদি তাদের মত আচরণ করি সারাদেশের মানুষ আমাদেরও তাদের মতই ভাববে। তাই আমরা অত্যন্ত ধৈর্য্য নিয়ে দেশ পরিচালনা করছি। আজকে তারা ঠাকুরগাঁওসহ সমগ্র বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে সহ্য করতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাচ্ছে। ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তারা নিরপেক্ষ থাকার কথা থাকলেও তারা নিরপেক্ষ থাকেনি। তাই বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল। তত্ত্বাবধায়কসহ যে কোনও অনির্বাচিত সরকারই নিরপেক্ষ নয়; ইতোপূর্বে তা প্রমাণ হয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আসম গোলাম ফারুক রুবেল, সহ সভাপতি মাহাবুবুর রহমান খোকন, অ্যাড. ফললুল হক, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকারসহ জেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ঘোড়া সমাবেশ অনুষ্ঠিত
ঠাকুরগাঁওয়ে পতিত জমিতে সবজি চাষে সাফল্য
ঠাকুরগাঁওয়ে পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষে সাফল্য পেয়েছেন নন্দি কুমার বর্মন। পৌর শহরের জমিদারপাড়ায় বাড়ির সামনের ফাঁকা জমিতে তিনি বিভিন্ন সবজি চাষ করে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তার সবজি বাগানে উৎপাদিত শাক-সবজি নিজের পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের মানুষজনকে দিয়েছেন। এছাড়াও বাড়তি সবজি বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার খবরও জানান তিনি।
পৌর শহরের জমিদারপাড়া সার্প অফিসের সামনে ফাঁকা প্রায় ৮৫ শতক পতিত জমিতে তিনি সবজি চাষ করছেন। সবজি ক্ষেতে পানি দিতে ও বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সবজি ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করতে দেখা যায় তাকে। সেখানে তিনি লাল শাক, পালং শাক, নাপা শাক, বিভিন্ন ধরনের ঘাস, শসা চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে লাল শাক, পালং শাক বেশ কয়েকবার তুলে নিজে খেয়েছেন, আশেপাশের মানুষ আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে বিলিয়েছেন এবং বাজারে বিক্রিও করেছেন।
আরও পড়ুন: রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে দেশের সবচেয়ে বড় শিমুল বাগান
নন্দি কুমার বর্মন বলেন, জমিদারপাড়ায় প্রায় ৩ বিঘা (১৫০ শতক) জমি মরহুম তাহের জামাল চৌধুরীর। এখানে একটি বেসরকারি সংস্থাকে ( সার্প) কিছু জমিতে ঘর তুলে ভাড়া দেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৮৫ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা পড়ে ছিল। এই ফাঁকা জমিতে নন্দি কুমার লালশাক, পালং, নাপা শাক, শসাসহ বিভিন্ন জাতের ঘাষ চাষ করেন। নিজে খেয়ে, মানুষজনকে বিলিয়ে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার নাঈম মিনহাজ কৌশিক বলেন, নন্দি কুমার বর্মনের পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষের বিষয়টি সত্যিই প্রশংসনীয়।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, নন্দি কুমার বর্মনের পতিত জমিতে সবজি চাষের বিষয়টি যুগোপযোগী। তিনি চাইলে যে কোনো ধরনের পরমর্শ ও সুবিধা কৃষি বিভাগ থেকে প্রদান করা হবে। চলতি শীতকালীন মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ে ৭ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। বর্তমানে প্রায় সব ধরনের শাক সবজি বাজারে রয়েছে; আরও কিছু সবজি আবাদ চলমান রয়েছে। এ বছরও সবজির ভাল ফলন হয়েছে ও কৃষকও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সার ও বীজের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
ঠাকুরগাঁওয়ে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ঠাকুরগাঁও সদরের রুহিয়ায় বালতির পানিতে ডুবে ১৩ মাস বয়সের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৪ মার্চ) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম লাবিবা আক্তার রিমু। সে রাজাগাঁও ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: পাইকগাছায় পানিতে ডুবে ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু
শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি বাড়ির পাশে দাদির সঙ্গে হাঁটছিল। এক সময় শিশুটি দাদির অজান্তে বাড়ির দিকে ফিরে টিউবওয়েলের কাছে চলে যায়। সেখানে পানি ভর্তি একটা বালতি রাখা ছিল। বালতিতে সে উল্টে পড়ে।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, পরিবারের লোকজন শিশুটিকে বালতি থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: নিকলীতে নদীর পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
নগরকান্দায় ট্রেনের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
শখের পোষা পাখি এখন তামিমের আয়ের উৎস
দোতলা বাড়ির ছাদে টিনের ছাউনির ঘর। ঘরের চারপাশ কাঠ ও তারের নেট দিয়ে ঘেরা। খামারের ভেতর কবুতরের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন জাতের পাখি। পাখির কিচিরমিচিরে বাড়িটি সবসময় মুখরিত থাকে।
বাসার কাছে আসতেই শোনা গেল পাখির কলরব। ছাঁদে গিয়ে আটকে গেল চোখ। সুন্দর পরিচ্ছন্নভাবে সাজানো পাখির খাঁচা।পাখিগুলোর মধ্যে কোন কোন পাখি ওড়াওড়ি করছে। কোন পাখি বানাচ্ছে বাসা। মনোরম সব দৃশ্য দেখতে পাখিপ্রেমীরা আসছেন এই পাখির খামারে। কেউ কেউ আবার পাখি কিনছেনও।
খামারটি তামিমের। তামিম এখানে পরিচিত ‘পাখি তামিম’ নামে।
তামিম ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরশহরের বাসিন্দা মো. মোকসেদ আলীর ছেলে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট সে। ঢাকা কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন তিনি।
তামিম জানান, পাখির প্রতি ভালোবাসা থেকেই ২০১৪ সালে অনার্সে পড়ার সময় ঢাকার কাঁটাবনের একটি পাখির খামার থেকে প্রথমে দুটি বাজরিগার পাখি নিয়ে এসে বাসার ছাদে একটি খাঁচায় রাখেন। পরবর্তীতে সেই পাখি বাচ্চা দিলে সেটিকে বড় পরিসরে করার চিন্তা করেন তামিম।
আরও পড়ুন: শখের বসে গৃহিণী থেকে সফল খামারি
ঠাকুরগাঁওয়ে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে আটক ১
ঠাকুরগাঁওয়ে ফারহিয়া (৫) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার লাউছুতি ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটক সফিকুল ইসলাম (২০) ওই গ্রামের গিয়াসউদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে জামায়াত শিবিরের ৭ নেতাকর্মী আটক
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই এলাকার একটি ভূট্টাখেতে ওই শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, শিশুটির লাশ দেখে মনে হচ্ছে তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া একজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তনাধীন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মাদক জব্দ, বরখাস্ত পুলিশ সদস্য আটক
চট্টগ্রামে মিছিল বের করার সময় জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মী আটক
ঠাকুরগাঁওয়ে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর: সুষ্ঠু তদন্তের দাবি ফখরুলের
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ১২টি হিন্দু মন্দিরে ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বের করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনাটি শুধু আপত্তিকরই নয়, রহস্যজনক, পূর্বপরিকল্পিত এবং লজ্জাজনকও বটে। এর নিন্দা করার উপযুক্ত শব্দ নেই।’
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করে সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায় তারা নরকের পোকা।
তিনি বলেন, ‘বালিডাঙ্গীর ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। বালিয়াডাঙ্গীতে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরকারী অপরাধীদের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
একই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ১২ মন্দিরের ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১২টি হিন্দু মন্দিরের ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে অজ্ঞাতনামারা।
ফখরুল বলেন, সামাজিক সম্প্রীতির পরিপন্থী এই নৃশংস ঘটনার পর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাস্তার ধারের মন্দির ও প্রতিমা বেশি ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা সাধারণত রাতে এই এলাকায় টহল দেয়। কিন্তু সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিও রহস্যজনক। সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে যে দুর্বৃত্তরা তাদের (পুলিশের) অবহেলার কারণেই এত বড় মন্দির ও প্রতিমা সহজেই ভাঙচুর করতে পেরেছে। এক্ষেত্রে সরকার তার দায় এড়াতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, দেশে চলমান দুঃশাসন একটি অস্বাভাবিক ও নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যেখানে প্রকৃত অপরাধীরা ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে অপরাধ করে পালিয়ে যায়।
ফখরুল বলেন, ‘ফলে, অপরাধীরা দ্বিগুণ উদ্যমে নতুন অপরাধ করে চলেছে। দেশ এখন অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হওয়ায় মানুষ এখন এখানে অত্যন্ত নিরাপত্তাহীন।
দেশে অনিরাপদ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ড চালাতে হয় বলে দুঃখ প্রকাশ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, অতীতেও মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে, কিন্তু সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচারের মাধ্যমে দোষীদের বিচার করতে পারেনি।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর এবং তাদের জমি-জমা, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের আগের ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ‘বালিয়াডাঙ্গীতে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ, তার পরিবারের সদস্যরা এবং তার অনুগত লোকজন শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের জমিই দখল করেনি, হামলা ও ভয়ভীতিও দেখিয়েছে। তারপরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
ফখরুল অবিলম্বে সরকারি খরচে ভাঙচুর করা মন্দিরের পুনর্নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা: ফখরুল
'ফ্যাসিস্ট' সরকার গণতন্ত্রের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে বানচাল করতে চাইছে: ফখরুল