ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে সূর্যের দেখা নেই ৩ দিন
ঠাকুরগাঁওয়ে টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলেনি। গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত জেলায় সর্বনিম্ন ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
প্রচণ্ড ঠান্ডায় সমস্যায় পড়েছেন বিভিন্ন বয়সি মানুষ। সকালে ও সন্ধ্যার পর প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ।
প্রতিদিনই বেলা ১১টা পর্যন্ত মহাসড়কের যানবাহনগুলোকে দেখা যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করতে।
কয়েকদিনের প্রচণ্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে লক্ষ্যণীয় মাত্রায়। যাদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যাই বেশি। প্রতিদিন রাত ৮টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ ও শহরের হাট বাজারগুলো।
শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে শীতের পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। নর্থ সার্কুলার রোডে কাপড়ের দোকান ও মার্কেট থাকায় সেখানে মানুষের ভিড় অনেক বেশি দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এখানকার গরম কাপড়ের দোকানগুলোতেও বেড়েছে মানুষের ভিড়। গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সুযোগ বুঝে বিক্রেতারা কাপড়ের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
পৌর শহরের রোড যুব সংসদ মাঠের গরম কাপড়ের মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ ও শিশুরা মিলে ভিড় করছেন পছন্দমতো শীতের কাপড় কিনতে।
শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের শীতের শুরুর দিকে অন্যান্য বছর ভ্রাম্যমাণ হকার্স মার্কেট বসলেও এবার জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় সেটি আর বসছে না। ফলে ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে মানুষ ভিড় করছে।
রোড যুব সংসদ মাঠে কাপড় কিনতে আসা মফিজুল ইসলাম জানান, এখানে নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন তিনি। শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভালো মানের কাপড় এখানে পাওয়া যায় তবে কাপড়ের দাম গত বারের চেয়ে অনেক বেশি বলেও জানান তিনি।
গরম কাপড় ব্যবসায়ী রাসেল হাসান জানান, এ বছর ভালো মানের শীতের গরম কাপড়ের দোকান বসেছে। ক্রেতারা উন্নত মানের যাবতীয় কাপড় সংগ্রহ করতে পারছেন এবং এখনকার মতো শীত থাকলে বেচা-কেনা আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
১ সপ্তাহ আগে
ঠাকুরগাঁওয়ের সড়ক দুর্ঘটনায় ২ ব্যবসায়ী নিহত
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ট্রাক্টরের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে হারুন অর রশীদ ও আব্দুল খালেক নামে দুই আরোহী নিহত হয়েছেন।
বুধবার( ৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পীরগঞ্জ-বীরগঞ্জ সড়কের চাপোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের হারুন অর রশীদ (৪৫) এবং একই উপজেলার ১৩ মাইল গড়েয়া এলাকার আব্দুল খালেক (৪৮)। তারা ধান ও ভুট্টার মৌসুমি ব্যবসা করতেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহত, আহত ২৩
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ-বীরগঞ্জে পাকা সড়কে একটি ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী হারুন অর রশীদ ও আব্দুল খালেক গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে হারুন অর রশীদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত আব্দুল খালেককে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ওসি জানান, ঘটনার পর চালক ট্রাক্টর নিয়ে পালিয়ে গেছে। চালককে আটকের চেষ্টা হচ্ছে। এ ব্যাপরে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের চালক নিহত
২ সপ্তাহ আগে
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বসছে না পাথরকালি মেলা
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার কারণে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল-হরিপুরের ঐতিহ্যবাহী পাথরকালি মেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে প্রতি বছরের ন্যায় সীমান্তে মেলাটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু এবার মেলাসহ সীমান্তে জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসন।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, এবার সীমান্তে বিশৃঙ্খলা ও অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই মিলনমেলা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং জরুরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে একই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেদিন সীমান্তের কাছে কাউকে না যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ের আউলিয়াপুরে মন্দিরে ১৪৪ ধারা জারি
ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী চাপাসার তাজিগাঁও গ্রামের টেংরিয়া গোবিন্দপুর কুলিক নদীর পাড়ে প্রতি বছর এ ঐতিহ্যবাহী পাথরকালির মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার দুই পাশে দু'দেশের আত্মীয় স্বজনদেরকে সাক্ষাৎ করার জন্য ওই এলাকাটিতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার নারী-পুরুষের সমাগম হয়।
উল্লেখ্য, বহু বছর ধরে হরিপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলার সীমান্তবর্তী কুলিক নদীর ধারে কালীপূজা আয়োজন করে আসছেন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা। মেলার দিন সকাল থেকে দুই পাশের শত শত মানুষ আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে উপস্থিত হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নদী পেরিয়ে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে যেতে শুরু করেন নারী-পুরুষ ও শিশুরা। দুই থেকে তিন ঘণ্টাব্যাপী দুই বাংলার হাজার হাজার মানুষ মিলিত হন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে উদ্বোধন হলো ‘কৃষকের বাজার’
২ সপ্তাহ আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ৫ দিন পর শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে নিখোঁজের ৫ দিন পর পাঁচ বছর বয়সি লাবণ্য আকতার নামে এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার কোষাডাঙ্গীপাড়া গ্রামের একটি আঁখের খেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে এক পরিবারের ৪ জনের লাশ উদ্ধার
এর আগে শনিবার (২৩ নভেম্বর) নিখোঁজ হয় লাবণ্য আকতার।
লাবণ্য কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়ার বেলাল হোসেনের মেয়ে। কোষামন্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় লাবণ্যের বাবা বেলাল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, এটি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ঘটনার রহস্য উদ্ধারে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে হাসপাতালের ড্রেন থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
৩ সপ্তাহ আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে উদ্বোধন হলো ‘কৃষকের বাজার’
কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রির লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে ‘কৃষকের বাজার’ নামে একটি বাজার বসতে শুরু করেছে। এই বাজারে কোনো প্রকার ট্যাক্স ছাড়াই যে কেউ তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির সুযোগ পাবেন। এতে কৃষক ও ভোক্তা উভয়েই লাভবান হবেন।
জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে এই বাজার। শুক্রবার ও শনিবার সকাল ৮টা থেকে এ বাজার বসবে।
কৃষকের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী সরাসরি পৌঁছে দিতে কালিবাড়ি বাজার সংলগ্ন ঠাকুরগাঁও পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এই কৃষকের বাজার শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে: ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক
কৃষকের বাজারে ‘মানবতার সওদাপাতি’ নামে একটি কাউন্টার রয়েছে।
বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা তাদের কেনা/মজুদ পণ্যসামগ্রী থেকে ইচ্ছা ও সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু পণ্য এই কাউন্টারে দান করতে পারবেন। এই বাজারে দুস্থ বা দরিদ্রদের বিনামূল্যে পণ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
শুক্রবার কৃষকের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কম দামে কেনা বেচা চলছে পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি। কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ১০৫ টাকা, ফুলকপি, মূলা, করলা, লাউ, পটল, বিভিন্ন প্রকার শাক বিক্রি হচ্ছে কালিবাড়ি বাজার থেকে কিছুটা কম দামে।
আরও পড়ুন: পলিথিন ব্যাগমুক্ত বাজারকে পুরস্কার দেওয়া হবে: উপদেষ্টা
১ মাস আগে
ঠাকুরগাঁওয়ের আউলিয়াপুরে মন্দিরে ১৪৪ ধারা জারি
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর এলাকায় শ্রীশ্রী রশিক রায় জিউ মন্দিরে আবারও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাতে এ আদেশ দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলায়েত হোসেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা, ১৪৪ ধারা জারি
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরের জমির দখল নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই মন্দিরে দুর্গাপূজা নিয়ে ইসকনপন্থী একটি পক্ষ ও অপর একটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ইসকনভক্তদের হামলায় ফুলবাবু নামের একজন সনাতন ধর্মানুসারী নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা প্রশাসন মন্দির সিলগালা করে কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।
এ বছর মন্দিরের সনাতন ও ইসকনপন্থীরা কালিপূজার প্রস্তুতি নেয়। আগের মতো এবারও উত্তেজনা ও সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিলে বুধবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত মন্দির ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলায়েত হোসেন।
বেলায়েত হোসেন বলেন, মন্দিরের জমি নিয়ে স্থানীয় সনাতন ও ইসকন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ২০০৯ সালে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। কালিপূজা উদযাপনে আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি
ঠাকুরগাঁওয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের শঙ্কায় মন্দিরে ১৪৪ ধারা জারি
১ মাস আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে গর্তে জমে থাকা পানিতে পড়ে সানজিদ হোসেন (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে রাণীশংকৈল পৌরশহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ভান্ডারা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
মৃত সানজিদ ওই গ্রামের ফল ও সবজি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
আরও পড়ুন: ভারতের বিহারে ধর্মীয় উৎসবের সময় পানিতে ডুবে ৪৬ জনের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, রান্নাঘরে সানজিদের মা কাজ করছিলেন। কিছুক্ষণ পর সানজিদকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। এক পর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশের গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানি থেকে সানজিদকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বিলের পানিতে ডুবে ফুফু-ভাতিজির মৃত্যু
২ মাস আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু, নারী-শিশুসহ আহত ৯
ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এসময় আহত হয়েছেন নারী-শিশুসহ অন্তত ৯ জন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে বৃষ্টি শুরু হলে সদর উপজেলায় দুইজন ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় একজন নিহত হন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু
নিহতরা হলেন- শুকানপুকুরী ইউনিয়নের লাউথুতি গ্রামের দুলাল উদ্দীনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৮), নজরুল ইসলামের ছেলে মুনির ইসলাম (২৭) এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের কালিবাড়ী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আতাউর রহমান (২৪)।
আহতরা হলেন- আমজানখোর ইউনিয়নের রুমান (৮), রানা (১২), সাকিবুল (১১), ফুলতলা গ্রামের ফয়সাল (৭), উদয়পুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম। এরা সবাই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। এছাড়াও সদর উপজেলার ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি চলাকালে পুকুরে গোসল করার সময় বজ্রপাতে আরিফুল ও মুনিরের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে আতাউর মাঠে কাজ করা অবস্থায় বজ্রপাতে মারা যান।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, বজ্রপাতে তিনজনের মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি৷ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে ২ দিনমজুরের মৃত্যু
২ মাস আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে ২ ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যুর
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে দুই ছেলের মারধরে নাজিম উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর পলাতক তার দুই ছেলে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নে পিঁয়াজু পাড়া গ্রামে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।
নিহত নাজিম উদ্দীন (৫২) ওই গ্রামের টেপু মোহাম্মদের ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন- আলাল হোসেন (২৭) ও সাইফুল ইসলাম (২০)।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কর্মচারীদের মারধর, চিকিৎসাসেবা বন্ধ
নিহত নাজিম উদ্দীনের চাচি মাসুমা খাতুন বলেন, সোমবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাজিমের দুই ছেলে আলাল ও সাইফুল তার বাবাকে মাঠ থেকে বাসায় ধরে এনে মারধর করেন। স্থানীয়রা এগিয়ে এলেও দুই ছেলের হুমকি ও গালিগালাজের কারণে তাকে সাহায্য করতে পারেননি।
নিহতের চাচাতো বোন মুক্তা আক্তার বলেন, মারধরের পর বাড়ির বারান্দায় শুইয়ে রাখা হয় নাজিমকে। পরে রাত ৮টার দিকে স্থানীয়দের চাপের মুখে নাজিমকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, নাজিমকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আনে হাসপাতালে। মৃত ঘোষণার পরই তাকে নিয়ে চলে যায় স্বজনেরা।
আরও পড়ুন: ঢামেকে মারধর ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
পাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বলেন, দুই ছেলের মারধরেই নাজিমের মৃত্যু হয়। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া লাশ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি ফিরোজ কবির।
আরও পড়ুন: নাটোরে রিকশাচালককে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
৩ মাস আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের শঙ্কায় মন্দিরে ১৪৪ ধারা জারি
ঠাকুরগাঁওয়ের আউলিয়াপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই পক্ষের সংঘর্ষের আশঙ্কায় শ্রীশ্রী রশিক রায় জিউ মন্দিরে আবারও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন ১৪৪ ধারার এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজার আগে ঠাকুরগাঁওয়ের মন্দিরে আবারও ১৪৪ ধারা
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার শ্রীশ্রী রশিক লাল জিউ মন্দিরের জন্মাষ্টমী পূজা অনুষ্ঠানের সময় উত্তেজনা দেখা দেয়। ফলে সোমবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাত ১০টা পর্যন্ত মন্দির ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরের জমির দখল নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই মন্দিরে দুর্গাপূজা নিয়ে ইসকনপন্থী একটি পক্ষ ও অপর একটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ইসকনভক্তদের হামলায় ফুলবাবু নামের একজন সনাতন ধর্ম অনুসারী নিহত হন। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা প্রশাসন মন্দির সিলগালা করে কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব নেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘জন্মাষ্টমী উদযাপনে ওই মন্দির এলাকায় আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তাই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ‘স্বর্ণের সন্ধান পাওয়া’ রাণীশংকৈলের ইটভাটা এলাকায় ১৪৪ ধারা
১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বসতবাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগ
৩ মাস আগে