তারা ওমানের একটি জাহাজ কোম্পানিতে কাজ করতেন। তাদের সাথে কয়েকজন ভারতীয় নাগরিকও আটক ছিলেন।
বুধবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানান, বাংলাদেশের ওমান ও কুয়েত দূতাবাস এবং জিবুতিতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের গত দুই মাসের প্রচেষ্টার ফলে আটকরা বৃহস্পতিবার এডেনে আসবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
সেখান থেকে তারা আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংস্থা (আইওএম)-এর সহায়তায় ভারত হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
ফেসবুকে নিজের পেইজে দেয়া পোস্টে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘নয় মাস ধরে আটক থাকা অবস্থায় এক পর্যায়ে জাহাজ কোম্পানির মালিকের কাছ থেকে আংশিক মুক্তিপণ পাওয়ার পরে তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেয়া হয়। আটকদের মধ্যে একজন আমার সাথে প্রথম যোগাযোগ করেন প্রায় দুই মাস আগে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমর খবর অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে ওমান থেকে সৌদি আরব যাওয়ার পথে সানায় তিনটি জাহাজ থেকে ২০ নাবিককে বন্দী করে হুতিরা।
কেরালার দুই বাসিন্দা প্রবীণ থাম্মাকরন্তাভিদা (৪৫) এবং আবদুল ওহাব মুস্তাবা (৪২) দুটি জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন।
ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধে সানা হুতিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আটকদের গ্রেপ্তার করে একটি পাঁচতলা হোটেলের চারটি কক্ষে রাখা হয়।
প্রবীণ থাম্মাকরন্তাভিদা নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বলেছিলেন, ‘আমরা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ইয়েমেন উপকূলে নোঙ্গর করি। এর পরপরই কোস্টগার্ডের ছদ্মবেশে একটি দল এসে আমাদের সানায় নিয়ে যায়। তারা হুতি বিদ্রোহী ছিল। আমরা ইয়েমেনের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করেছিলাম, এমন অভিযোগে আমাদের বন্দী করা হয়।’