এসবের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) তিন লাখ ৪১ হাজার ৭০০ কোটি, এনবিআর বহির্ভূত খাত থেকে ১৭ হাজার কোটি এবং কর বহির্ভূত খাত থেকে ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আদায় করতে বলা হয়েছে।
সিনিয়র এক এনবিআর কর্মকর্তা বলেন, ‘নিজস্ব সম্পদের মাধ্যমে বাজেট বাস্তবায়নের জন্য সরকার কর ও ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়াতে চায়।’
চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে এক লাখ কোটি টাকার রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রণালয় ও এনবিআর সূত্র জানায়, গত কয়েক বছর ধরেই সরকার বিদেশি সহায়তা ও অনুদানের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাচ্ছে।
আগামী জুলাই থেকে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছর থেকে নতুন ভ্যাট আইনে ৫ শতাংশ, ৭ শতাংশ ও ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করা হবে।
সূত্র জানায়, আসন্ন বাজেটে আয়কর ও করপোরেট কর কমানোর ঘোষণা দিতে পারেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে ট্যাক্স নেটের আওতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হতে পারে। বাজেটে ঘাটতি পাঁচ শতাংশের মধ্যে রাখার কথা ভাবছে সরকার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ১৩ জুন নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে। আর রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে বিকল্প উপায় না থাকায় নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, দেশে কর জিডিপির হার ১০ শতাংশের বেশি নয়, অথচ অন্যান্য দেশে ১৫ শতাংশের বেশি হয়। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে প্রত্যেককে ভ্যাট দিতে হবে।
আগামী অর্থবছরে (২০১৯-২০) ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ২১.৩৯ শতাংশ বেশি।