ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ্ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি ও তার সফর সঙ্গীদের মৃত্যুর ঘটনায় আজ বিকালে রাজশাহীতে এক স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজশাহীর নগর ভবনের পশ্চিমে গ্রেটার রোডের শাহ ডাইন কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরানের আল মুস্তফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন শাহাবুদ্দিন মাশায়েখি রাদ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. এফ এম এ এইচ তাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মো. ফজলুল হক।
আরও পড়ুন: ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ
রাজশাহীর মুহাম্মাদ আমিন ফারসি শিক্ষাকেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. শফিউল্লাহ, প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন, প্রফেসর ড. এম শামীম খান (অব.), রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আ.জ.ম. মনিরুল ইসলাম, রাজশাহী সূফি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক রুহুল আমীন প্রমানিক, রাজশাহী মহানগরের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আব্দুল মান্নান, রাজশাহীর মুহাম্মাদ আমিন ফারসি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালক শেখ আলী আকবর, আল মোস্তফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ, সংস্কৃতি ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রধান মো. আলী নওয়াজ খান এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক বিভাগের পরিচালক ড. মো. মাঈন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক বইয়ে সই করেছেন ফখরুল
অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের নিহতের ফলে ইরানি জাতি ও মুসলিম উম্মার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। যে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার মতো নয়। কারণ ইব্রাহিম রাইসি কেবল ইরানি জাতির জন্যই কাজ করেননি তিনি গোটা মুসলিম উম্মার জন্য কাজ করেছেন। ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের মজলুম মানুষের পক্ষে কাজ করেছেন। আর এর কারণেই তার মৃত্যুতে সারা বিশ্বের মানুষ কেঁদেছে।
বক্তরা আরও বলেন, কোন দেশের প্রেসিডেন্ট মারা গেলে সাধারণত কেবল ঐ দেশটিতে সরকারিভাবে শোক পালন করা হয়। কিন্তু ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও জাতি শোক পালন করেছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম ছিল না। ইরানের প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ্ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি ও তার সফর সঙ্গীদের মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশে গত ২৩ মে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়।
শোক পালনের অংশ হিসেবে দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকে। নিহতদের জন্য সব মসজিদে বিশেষ দোয়া করা হয় এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
সম্প্রতি আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ প্রকল্প উদ্বোধনের পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর তাবরিজে ফেরার পথে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দোল্লাহিয়ানসহ তার সফরসঙ্গীরা।
আরও পড়ুন: ইরানের নতুন পার্লামেন্টে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারের ভাষণ