হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ান ও তাদের সফরসঙ্গীদের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার ঢাকায় ইরান দূতাবাসে শোক বইয়ে সই করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর গুলশান এলাকায় অবস্থিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাসে যান এবং ইরানের শোকসন্তপ্ত জনগণ ও নিহতদের পরিবারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে শোক বইয়ে সই করেন বিএনপির এই নেতা।
দূতাবাস থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, ইরানের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মৃত্যুতে তাদের দল গভীরভাবে শোকাহত।
তিনি বলেন, ‘দল, দলের চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানাতে আমি এখানে (ইরানি দূতাবাস) এসেছি।’
আরও পড়ুন: রাইসির মৃত্যুতে যেভাবে অস্থির হয়ে উঠতে পারে ইরানের ভবিষ্যৎ
তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে যখন বিশ্বে অভিজ্ঞ রাজনৈতিকদের খুব বেশি প্রয়োজন, সেই মুহূর্তে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মতো একজন অভিজ্ঞ, বিচক্ষণ এবং জনপ্রিয় নেতার এই হঠাৎ দুর্ঘটনা, এই চলে যাওয়া, এটা আন্তর্জাতিক বিশ্বে শান্তির জন্য এবং সৌহার্দ বিস্তারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত একটা মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বলে আমি মনে করি।’
দলের পক্ষ থেকে ইরানের জনগণ, সরকার এবং ইরানের প্রেসিডেন্টের পরিবার, আত্মীয়স্বজন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা যেন এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারে এবং ইরানের জনগণ যেন এই শোকের সময় তারা তাদের যে স্থির সিদ্ধান্ত এবং বিশ্ব রাজনীতিতে তাদের যে অবদান তা অক্ষুণ্ন রাখতে পারেন, সেজন্য আমরা দোয়া করছি।’
সোমবার ঘন কুয়াশায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ