গ্লাসগোতে রবিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ২৬তম জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে (কপ-২৬ ) বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কপ-২৬ ও অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে রবিবার যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হবেন। তিনি নভেম্বরে ইউকে আয়োজিত কপ-২৬ এর মূল পর্বে ভাষণ দেবেন।
এসময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কুশলতায় বিশ্বনেতারা মুগ্ধ ছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই সফরকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
এর আগে, বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন জরুরী জলবায়ু ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বাংলাদেশ বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে এমন তিনটি ক্ষেত্রের উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের কাছ থেকে বিশ্বের অনেক কিছু শেখার আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিপজ্জনক জলবায়ু পরিবর্তন এড়াতে এবং পৃথিবীর সকলের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার এটাই শেষ সুযোগ।
হাইকমিশনার বলেন, এ তিনটি ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে বাংলাদেশের বিশেষ ভূমিকা ছিল।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নারী ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রথমত, তিনি বলেন, জলবায়ু অভিযোজন বিষয়ে একজন নেতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ হিসেবে, বাংলাদেশ অভিযোজনে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি অভিযোজন অ্যাকশন কোয়ালিশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে তার বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য নৈতিক উদাহরণ তৈরি করতে পারে, যা স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজনের উপর বিশেষ জোর দেয়। দ্বিতীয়ত, ডিকসন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) প্রকাশ করে প্রশমনে নেতৃত্ব দেখাতে পারে।
তৃতীয়ত, হাইকমিশনার বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ফোরামের চেয়ারম্যান হিসেবে কপ-২৬ এ প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি বিশেষ ভূমিকা ছিল, যা ৪৮টি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশকে একত্রিত করে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবেন: ডিকসন