নির্মাণ প্রকল্প
আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনে খুলনা জেলা প্রশাসক
মহেশ্বরপাশা আধুনিক কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন গমের স্টিল সাইলো কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
শনিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে মানিকতলা খাদ্য গুদামের ভেতরে ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন তিনি।
এদিকে নির্মাণাধীন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রপের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জেলা প্রশাসককে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: খুলনায় পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষেও গতি নেই কাজের
এসময় জেলা প্রশাসক ম্যাক্স গ্রপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ও কাজের খোঁজখবর নেন।
৩৫০ কোটি ৯১ লাখ ৭ হাজার ৩৮৯ টাকা ব্যয়ে আধুনিক স্টিল সাইলোর নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এরমধ্যে প্রকল্পের ৮২ দশমিক ২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ ২ খেকে ১ মাসের মধ্যে শেষ হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে খাদ্যশস্যের গুণগতমান বজায় রেখে ৩ বছর পর্যন্ত গম সংরক্ষণ করা যাবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, খাদ্য সংরক্ষণাগারের আওতায় গমের স্টিল সাইলো নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি। বাংলাদেশি কোম্পানি ম্যাক্স গ্রুপ এবং তুর্কি কোম্পানি আল তুনতাস যৌথভাবে এই কাজ করছে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংক যৌথভাবে এ প্রকল্পের অর্থায়ন করছে।
স্টিল সাইলোটি নির্মিত হলে ৭৬ হাজার ২০০ মেট্রিক টন গম সংরক্ষণ করা যাবে। কোনো হাতের স্পর্শ ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রযুক্তি নির্ভর মেশিন দ্বারা স্টিল সাইলোর ৬টি ঢোল, চুল্লি বা বিনে গম সংরক্ষণ করা যাবে।
প্রতিটি ঢোল, চুল্লি বা বিনের ধারণ ক্ষমতা ১২ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন।
আরও পড়ুন: একনেকে অনুমোদন পেল ডিএসসিসির ৮ লেনের সড়ক নির্মাণ প্রকল্প
১ মাস আগে
খুলনায় পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষেও গতি নেই কাজের
খুলনায় প্রথম ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের কাজের গতি নেই।
কার্যাদেশের দুই বছরে কাজ এগিয়েছে মাত্র ২১ শতাংশ। এরই মধ্যে ফুরিয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ। ফলে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। এই ভবনে শুধু ক্যান্সার রোগীদের সেবাই নয়, সেবা পাবে কিডনী ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীরাও। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে দাবি গণপূর্ত বিভাগের।
স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভাগীয় শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ক্যান্সার, কিডনী ও হৃদরোগের পৃথক তিনটি ইউনিট হবে।
হাসপাতালের বহির্বিভাগের পেছনে ২৩ হাজার ২৫০ দশমিক ৪৬ বর্গমিটার জমিতে দুটি বেজমেন্ট ফ্লোর ও ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হবে। এই ভবন নির্মাণের জন্য এমবিপিএল ও এসএনবিপিএল (জেভি) ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গণপূর্ত বিভাগের চুক্তি হয়েছিল ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর। সেই অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৩১ এপ্রিলের মধ্যে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। আর প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এগিয়েছে মাত্র ২১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৩০ টাকায় প্রতি প্যাকেট ‘কুকুরের মাংসের বিরিয়ানি’ বিক্রি, গ্রেপ্তার ৪
গণপূর্ত বিভাগ থেকে জানা গেছে, খুলনায় ১০০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। প্রকল্পের ডিপিপি মূল্য ১৭৫ কোটি ৭২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮২ কোটি ৩৬ লাখ ১৯ হাজার টাকা চুক্তিমূল্যে বেজমেন্টসহ ১৫ তলা ভবন নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে। যার ২১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে গণপূর্তের দাবি।
জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় দুটি বেজমেন্ট ও ১৫ তলা ভবনসহ ১৭ তলা পাইল ফাউন্ডেশন হবে।
বেজমেন্ট-২ থেকে ৭ম তলা পর্যন্ত হবে ক্যান্সার ইউনিট। এতে থাকবে লিনিয়র এক্সলেটর, সিটি সিমুলেটর, ব্রাকিথেরাপি, কেমোথেরাপি।
৮ম তলা থেকে ১১ তলা পর্যন্ত হবে কিডনী ইউনিট। এখানে থাকবে কিডনী ডায়ালাসিস ইউনিট, কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট ওটি, পোস্ট ট্রান্সপ্লান্ট, আইসিইউ।
আর ১২ তলা থেকে ১৫ তলা পর্যন্ত হবে হৃদরোগ ইউনিট। এই ইউনিটে থাকবে সিসিইউ, আইসিইউ, কার্ডিয়াক ওটি, পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সার্জারি, ক্যাথ ল্যাব।
এছাড়া প্রকল্পের আওতায় থাকবে র্যাম্প, চলন্ত সিঁড়ি এবং কোভিড-১৯ এর লিফট ইত্যাদি। থাকবে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এস.টি.পি), ৩০০ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, ১০০০ কেভিএ জেনারেটর, লিফট, ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসএন বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক শেখ দাউদ হায়দার বলেন, প্রকল্পের কার্যাদেশ দেওয়া হলেও জমিতে স্থাপনাসহ নানা জটিলতার কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। বর্তমানে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে।
ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার শেখ গোলাম কুদ্দুস বলেন, দুটি বেজমেন্টের কাজ শেষ হয়েছে। প্রতি মাসে ভবনের একটি করে ছাদ ঢালাই দেওয়া সম্ভব। একদিকে ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলবে, অন্যদিকে ফিনিশিংয়ের কাজ চলবে। দ্রুত ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হবে।
গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস জানান, প্রকল্প গ্রহণের অনেক পরে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এটি সময় সাপেক্ষ। এখন পর্যন্ত ২১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ: পুলিশ
১১ মাস আগে
একনেকে অনুমোদন পেল ডিএসসিসির ৮ লেনের সড়ক নির্মাণ প্রকল্প
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) উদ্যোগে গৃহীত ‘ইনার সার্কুলার রিং রোডের রায়েরবাজার স্লুইস গেট হতে লোহার ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন’ শীর্ষক ৮ সারির (লেন) সড়ক নির্মাণ প্রকল্প।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: একনেকে ১১ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়সহ ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন
ঢাকা মহানগরীর অভ্যন্তরে যানজট নিরসনে সরকারের সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (আরএসটিপি) ইনার সার্কুলার রিং রোডের উন্নয়নের প্রস্তাবনা রয়েছে।
সে প্রস্তাবনার আলোকেই সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে রায়েরবাজার স্লুইস গেট হতে লোহার ব্রিজ পর্যন্ত বিদ্যমান সড়কটিকে ৮ সারিতে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় ইনার সার্কুলার রিং রোডের রায়েরবাজার স্লুইসগেট থেকে লোহার ব্রিজ পর্যন্ত ৫ কিমি অংশে ৮ লেনের সড়ক নির্মাণ করা হবে।
যার মধ্যে মাঝের দুই-দুই সারি করে ৪ সারি এক্সপ্রেসওয়ে এবং দুই পাশে দুই-দুই সারি করে ৪ সারি সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হবে।
এর ফলে বর্তমানে বিদ্যমান ২০ ফুট প্রশস্ততার সড়কটি ১৪০ ফুটে উন্নীত হবে। এছাড়াও সড়কের প্রতি পাশে ৫ ফুট করে উভয় পাশে মোট ১০ ফুট প্রশস্ততার ১০ কিমি ফুটপাত ও ১০ কিমি আরসিসি ড্রেন নির্মাণ করা হবে।
সেজন্য ফুটপাতসহ অতিরিক্ত ১৩০ ফুট সড়ক উন্নয়নে বিদ্যমান গড় ৮ ফুট গভীরতার রাবিশ (আবর্জনা) অপসারণ করতে হবে, যা পরবর্তীতে বালু ভরাটের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর সড়ক নির্মাণ করা হবে।
এছাড়াও এই সড়ক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সড়কের উভয় পাশে ৮ কি.মি. গার্ডওয়াল ও রিটেইনিং ওয়াল, ৩টি ভ্যাহিক্যুলার ওভারপাস, ৩টি ফুটওভারব্রিজ, ৬টি যাত্রী ছাউনি ও বাস-বে এবং ৩টি অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (এসটিএস) নির্মাণ করা হবে।
এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে ৫৬৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ও ৮টি টাওয়ার স্থানান্তর বাবদ ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ সকল বৈদ্যুতিক খুঁটি ও টাওয়ার স্থানান্তরের জন্য ডিপিডিসিকে ১২০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হবে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৮ কিমি গার্ডওয়াল ও রিটেইনিং ওয়াল, ৩টি ভ্যাহিক্যুলার ওভারপাস, ৩টি ফুটওভারব্রিজ, ৬টি যাত্রী ছাউনি ও বাস-বে, ১০ কিমি. ফুটপাত, ১০ কিমি. আরসিসি ড্রেন নির্মাণের জন্য ৪০০ কোটি টাকা, ২২ জন পরামর্শকসহ ৩৩ জন জনবলের জন্য ৩০ মাসে ১৪ কোটি টাকা এবং ৯০০টি এলইডি বাতি স্থাপনে সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একনেকে ১৮ হাজার কোটি টাকার ১৯ প্রকল্প অনুমোদন
প্রকল্পের উল্লিখিত অনুষঙ্গ বাদে ১৪০ ফুট প্রশস্ততার ৫ কিমি দৈর্ঘ্যের সড়কের নির্মাণে ব্যয় রাখা হয়েছে ৩৮৯ কোটি টাকা।
প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যানবাহনগুলো সার্ভিস রোড হতে এক্সপ্রেসওয়েতে এবং এক্সপ্রেসওয়ে হতে সার্ভিস রোডে প্রবেশ করতে পারবে। এতে করে সড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকার যানবাহনগুলোও এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের সুবিধা পাবে।
তাছাড়া সড়কের এলাইনমেন্টে ৩টি ওভারপাস রাখা হয়েছে। এতে করে পার্শ্ববর্তী এলাকার যানবাহনগুলো এক্সপ্রেসওয়ের নিচ দিয়ে পারাপার করতে পারবে।
ফলে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগরীর অভ্যন্তরে যানজট কমানোর পাশাপাশি প্রতিনিয়ত নষ্ট হওয়া কর্মঘণ্টা হ্রাস করা এবং ফলশ্রুতিতে জ্বালানি অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে।
কারণ পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারী ২১ জেলার যানবাহনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলার যানবাহনও যাত্রাবাড়ী মোড় দিয়ে ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ করে।
ফলে যাত্রাবাড়ী এলাকায় প্রচন্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে সাভার, উত্তরা, এয়ারপোর্ট, গাজীপুরসহ উত্তর বঙ্গগামী যানবাহনগুলোর আর ঢাকা মহানগরীর অভ্যন্তরে প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা পড়বে না।
এছাড়াও বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল সংলগ্ন হওয়ায় প্রস্তাবিত সড়কে প্রশস্ত হাঁটার পথ এবং বৃক্ষ রোপণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য যেমনি রক্ষা হবে এবং তেমনি নগরবাসী নদীর নান্দনিক পরিবেশ ও সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে।
উল্লেখ্য, ইনার সার্কুলার রিং রোডের রায়েরবাজার স্লুইস গেট থেকে পোস্তগোলা পর্যন্ত ১২ কিমি. অংশের বিদ্যমান সড়কটিকে ৮ লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা দুই ধাপে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রথম ধাপে রায়েরবাজার স্লুইস গেট হতে লোহার ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প আজ একনেক সভায় অনুমোদন পেলো। দ্বিতীয় ধাপে লোহার ব্রিজ থেকে পোস্তগোলা পর্যন্ত বাকি ৭ কিমি. রাস্তা নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মোট ৯৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০২৩ হতে জুন ২০২৬ সাল মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৯৭ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে। বাকি অর্থ সরকার যোগান দেবে।
আরও পড়ুন: একনেকে ৮৮টি পৌরসভায় নগর শাসন ও অবকাঠামো উন্নয়নে ৬,৩৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
১ বছর আগে
কোনো বাধার কাছে নতি স্বীকার করা যাবেনা: এলজিআরডি মন্ত্রী
দেশের উন্নয়নে অবকাঠামো ও নির্মাণ প্রকল্পে গুনগতমান নিশ্চিত করতে সাহসিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন কোন বাধার কাছে নতি স্বীকার করা যাবেনা।
৪ বছর আগে