শুক্রবার রাত ১১টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা ২১ মিনিট পর্যন্ত স্নান উৎসবের উত্তম সময় নির্ধারিত থাকলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা আসায় উৎসব চলে দুপুর পর্যন্ত।
রমনা ইউনিয়নের রমনা ঘাট ও ঘাটের উত্তর থেকে শুরু করে রাজারভিটা পুটিমারী পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে স্নানে কয়েক লাখ পুণ্যার্থী অংশ নেন।
স্নান ঘিরে ব্রহ্মপুত্রের বালু চরে বসে মেলা। মেলায় খেলনা, মাটির তৈরি হাড়ি-পাতিল ও বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিকৃতি, পুতুল ও বাহারি খাবারের দোকান নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চিলমারী উপজেলা সভাপতি ডা. সলিল কুমার বর্মন জানান, এ বারও স্নানে কয়েক লাখ পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটেছে। তাদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে ভালো ও সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। মেলা প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা রক্ষায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ, র্যাব, আনসার ও ভিডিপির পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন আছেন।
পুণ্যার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জলের নলকূপ স্থাপন ও নারী পুণ্যার্থীদের পোশাক পাল্টানোর সুবিধার্থে সরকারি, বেসরকারি ও এনজিওদের সহায়তায় দুই শতাধিক তাঁবু স্থাপন করা হয়।
প্রতিবছর চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে হিন্দুধর্মের মানুষরা পাপ মোচনের আশায় চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে এ স্নান উৎসব পালন করেন।