তিনি বলেন, ‘খাল দখলদাররা যে মতাদর্শের লোক হোক বা যে দলেরই হোক না কেন, কাউকেই এক বিন্দুও ছাড় দেয়া হবে না।’
সোমবার সকালে ধোলাইরপাড় এলাকা হতে কুতুবখালী খালের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খালকে আধুনিক ঢাকার প্রাণ উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, ‘খাল উদ্ধারকে ক্ষুদ্রভাবে দেখলে চলবে না। এ খালগুলোই হচ্ছে আধুনিক ঢাকার প্রাণ। আমরা সব খাল দখলমুক্ত করে স্বচ্ছ পানির জলধারা চালু করতে চাই।’
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার ৯৩ কিলোমিটার খালের মধ্যে ৭৪ কিলোমিটারের ওপর থেকে ছোট বড় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খাল দিয়ে যেন জলযান চলতে পারে আমরা সেই ব্যবস্থা করবো।’
খাল দখলমুক্তকরণের অংশ হিসেবে তিনি কুতুবখালী খালের ধোলাইরপাড় অংশে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এসময় তার সঙ্গে সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো: জাহিদ হোসেনসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, কুতুবখালী খালের দক্ষিণে ধোলাইপাড় আর উত্তরে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী। প্রায় ২ দশমিক ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কুতুবখালী খালের পুরোটাই গৃহস্থালির বর্জ্য এবং কচুরিপানায় ভর্তি রয়েছে।