রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ব্র্যাকের সহায়তায় ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের নমুনা সংগ্রহ বুথ’ উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনা দুর্যোগ পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি যে কিছু মিডিয়া হাউজে চাকরিচ্যুতি ঘটেছে, অনেকের বেতন দেয়া হয়নি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইনের কর্ণধারদের প্রতি অনুরোধ জানাই- মহামারির এ দুঃসময়ে কাউকে ছাঁটাই করবেন না এবং যাদের বেতন বাকি আছে তা দিয়ে দিন।’
কারও অপরাধ থাকলেও, শাস্তি দেয়ার সময় এটি নয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান প্রধানরা হয়তো বলবেন সমস্যা আছে। কিন্তু আমি বলব, আগে সমস্যা ছিল না এবং কয়েক মাস পরেও সমস্যা থাকবে না।’
সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা যাতে ঠিকমতো হয় সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, জানান মন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ এ সময় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসক-নার্স, পুলিশ, সেনাবাহিনী, গণমাধ্যম কর্মী ও দায়িত্বপালনরত সবাইকে অভিনন্দন জানান।
ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) ও কোভিড-১৯ রেসপন্স প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. ইকবাল কবীর, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি সাইদুর রহমান সাইদ, সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্কর, ডিআরইউর সহসভাপতি নজরুল কবীর, কল্যাণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ, দৈনিক বর্তমানের প্রধান প্রতিবেদক মোতাহার হোসেন, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ কেন্দ্রীয় সদস্য শফিউল আলম শফিক প্রমুখ।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের পক্ষ থেকে দেয়া স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী ডিআরইউ নেতাদের হাতে তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।