কোম্পানির পক্ষে করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
ফলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের গণপূর্ত সার্কেল-৪ ঢাকার ওই চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি গণপূর্ত সার্কেল-৪ ঢাকা ওই চুক্তি বাতিল করে এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর ২৪ জুন ওই কাজের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জি কে বি কোম্পানি ১৩ আগস্ট রিট করে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মওদুদ আহমদ ও আবদুল্যাহ আল মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
পরে আবদুল্যাহ আল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঢাকার আজিমপুরে সরকারি কলোনির অভ্যন্তরে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন (২০ তলাবিশিষ্ট দুটি ভবন) নির্মাণের জন্য ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল চুক্তি হয়। ১৯৫ কোটি ৬৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩২৭ টাকার কার্যাদেশ পাওয়ার পর ওই চুক্তি হয়। কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়ে চুক্তি বাতিল ও নতুন করে দরপত্র আহ্বান করার বৈধতা নিয়ে রিটটি করা হয়। এমনকি চুক্তির পর নিয়ম অনুসারে সাইটও হস্তান্তর করা হয়নি। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়। আদালত রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছে।’
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের সময় রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, অর্থপাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক চারটি মামলা হয়। এখন তিনি কারাগারে আছেন।