আঞ্চলিক ব্যাংকটি ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে যে, নির্মাণ প্রকল্প জুনের মধ্যে অনুমোদন হলে জুলােইতে অর্থায়ন বিষয় নিয়ে আলোচনা সম্পন্ন করে সেপ্টেম্বর থেকে অর্থ ছাড় করতে প্রস্তুত তারা।
এক কর্মকর্তা জানান, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ঢাকা-সিলেট ছয় লেন মহাসড়ক প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব হলে তাদের অর্থ এখান থেকে সরিয়ে অন্য প্রকল্পে নেবে এডিবি।
সূত্র জানায়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ প্রকল্পটি যাচাই-বাছাই করতে ৪৫-৬০ দিনের সময় নেবে। যেখানে জুনের মধ্যে মহাসড়কের নকশার অনুমোদন চেয়েছে ব্যাংকটি।
এদিকে, প্রকল্পের দ্রুত অনুমোদনে এডিবি’র এদেশীয় আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশ সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এবং সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর সাথে সাক্ষাত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ এডিবি’র সদস্যপদ লাভের পর থেকে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জনসেবা, ও সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে।
গত ২৯ জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রকল্প বাস্তবায়ন চান তিনি। যা কমপক্ষে ৫০ বছরের জন্য যানবাহন চলাচলে উপযুক্ত থাকবে।
এর আগে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে ২১৪ কিলোমিটার চার লেনে সম্প্রসারণ প্রকল্প অচলাবস্থা দূর হয় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নের মাধ্যমে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, এডিবি’র অর্থায়ন প্রস্তুত সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যরাও তাদের মতামত দিয়েছেন। তারা খুব তৎপর এবং সকলে দ্রুত প্রকল্পের বাস্তবায়ন চান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কের প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পুরো সিলেট অঞ্চল এবং মহাসড়কের অন্যান্য স্থানগুলো পর্যটন এবং শিল্পাঞ্চলগুলো উপকৃত হবে, যা শেষ পর্যন্ত জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।