তার বলেন, তার পাশাপাশি যে দেশে নারী কর্মী যাবে সে দেশের নিয়োগকর্তাকে চাকরির ও নির্যাতন বন্ধে নিশ্চয়তা দিতে হবে। সেইসাথে নারী কর্মীর চাকরিতে সব ধরনের সমস্যা নিরসণে নিয়োগকর্তাকে দায়বদ্ধতায় এনে দুদেশের সাথে চুক্তি হতে হবে।
বুধবার রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদ আয়োজিত ‘নারী কর্মী প্রেরণে সংকট-সম্ভাবনা ও রিক্রুটিং লাইসেন্স এ বি সি ডি শ্রেণি বিন্যাশ/আসন্ন নতুন বিধিমালা’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সেমিনার বক্তারা এসব কথা বলেন।
রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বায়রার মহাসচিব সামিম আহমেদ চৌধুরী নোমান। এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য ও পার্লামেন্টারি ককার্স মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট মাহজাবিন খালেদ, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শহীদুল আলম, হবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বায়রার সাবেক ইসি সদস্য মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী, রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের মহাসচিব আরিফুর রহমান, আরবিএমের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক, ব্র্যাক মাইগ্রেশনের পোগ্রাম হেড শরিফুল হাসান ও বিএমইটিয়ের সাবেক পরিচালক নুরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা এতে অংশ নেন।
বায়রার মহাসচিব সামিম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, দক্ষ নারী কর্মীদের বিদেশ পাঠানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশে নারীরা যদি দক্ষতা নিয়ে বিদেশ যেতে পারে তাহলে তার চাকরিতে কোনো সমস্যা হবে না।
নারী কর্মীদের বিদেশে নির্যাতনের বিষয়ে সব তথ্য সঠিক না দাবি করে তিনি বলেন, নির্যাতন যে হয় না সেটিও সঠিক না। নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে সুরহা করতে হলে নিয়োগকর্তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। এ বিষয়ে আমরা সরকারকে বলেছি। আগামীতে আমরা দক্ষ নারী কর্মী পাঠাবো। নারী কর্মীদের চাকরির নিশ্চয়তা বিষয়ে দুদেশের সরকার-টু-সরকার আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান বলেন, মন্ত্রণালয় রিক্রুটিং লাইসেন্স এ বি সি ডি শ্রেণি বিন্যাশ/আসন্ন নতুন বিধিমালা তৈরিতে শর্ত আছে তা প্রশ্নবিদ্ধ। এ নীতিমালায় মুস্টি কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি লাভবান হবে।
রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের আরিফুর রহমান বলেন, নারী কর্মী যেভাবে ট্রেনিং দিয়ে পাঠানো হচ্ছে তাতে তারা উপযুক্ত ট্রেনিং পাচ্ছে না। সঠিক ভাবে ট্রেনিং করে গেলে নারী কর্মীদের বিদেশ গিয়ে সমস্যা হতো না।