রিক্রুটিং এজেন্সি
বিদেশে কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সিকে মানবিক হতে হবে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
বিদেশে কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সিকে অবশ্যই মানবিক দিক বিবেচনা করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন আরও উজ্জ্বল হয়, তা বিবেচনা করে দক্ষ কর্মী পাঠাতে সবাইকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিক/কর্মীদের ন্যূনতম বেতন-ভাতা ও অন্যান্য বিষয়সম্পর্কিত আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বায়রা এ মন্ত্রণালয়ের প্রধান অংশীজন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন কাঠামোসংক্রান্ত বিষয়ে যৌক্তিক প্রস্তাব পাঠাবেন। ন্যূনতম বেতনের বিষয়ে মন্ত্রণালয় কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। পাশাপাশি, আমরা আরও কম অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী পাঠাতে চাই।
তিনি আরও বলেন, বিদেশে কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বায়রাকে একত্রে কাজ করতে হবে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও এর অংশীজনরা সমন্বিতভাবে কাজ করলে মন্ত্রণালয়ের সুনাম আরও বাড়বে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দ্রুত সময়ে একটি স্মার্ট মন্ত্রণালয় তৈরি করা সম্ভব হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দক্ষ কর্মী পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে আধুনিক ও যুগোপযোগী যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত অনলাইনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর কোনো অগ্রগতি নেই
বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার চালু বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই (এমওইউ) হয়েছে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে। তারপরও বাংলাদেশিদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও থমকে আছে।
বাংলাদেশি ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সি সিন্ডিকেটের অপতৎপরতার কারণেই গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত চুক্তির কার্যক্রম স্থগিত ও বাংলাদেশিদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আটকে আছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশের জনশক্তি ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশি শ্রর্মীকদের জন্য অন্যতম গন্তব্য মালয়েশিয়া। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাত লাখ প্রবাসী সেখানে কর্মরত আছেন বলে ব্যবসায়ীক সূত্রে জানা গেছে।
২০১৮ সালে মাহাথির মোহাম্মদের তৎকালীন মালয়েশিয়ার সরকার উভয় দেশে সংস্থার নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য দেশটির শ্রমবাজারের দরজা বন্ধ করে দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ নিয়ে আশাবাদী মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত
সর্বশেষ বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মালয়েশিয়া সরকার ২৫ বাংলাদেশি এজেন্সির একটি নির্বাচিত গ্রুপের মাধ্যমে নিয়োগ দিতে চায়। ঢাকা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে কারণ এটি বাস্তবায়িত হলে ১৫০০ এরও বেশি সংস্থা এই ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়বে।
মালয়েশিয়া কেন বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধ করল?
২০০৯ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
তবে ২৬ নভেম্বর, ২০১২ এ দুই দেশ জিটুজি মডেলের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার পর এটি পরিবর্তিত হয়। ফলে হাজার হাজার শ্রমিক আনুষ্ঠানিকভাবে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে যোগ দেয়ায় সুযোগ পায়।
কিন্তু শিগগিরই সরকারের মধ্যকার সমঝোতা ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসন বেড়ে যায়।
২০১৬ সালে এসে সরকার আবার জিটুজি প্লাস মডেল চালু করে যার অধীনে শুধুমাত্র ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি বেসরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে পারে। এর মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় ২ লাখ ৪৫ হাজার শ্রমিক চাকরি পেয়েছেন।
তবে অভিযোগ ওঠে এই সংস্থাগুলো চাকরিপ্রার্থীদের শোষণ শুরু করে তাদের কাছ থেকে অন্যায্যভাবে উচ্চ ফি আদায় করে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে আরও জনবল নেবে
তারা প্রথমে ইমিগ্রেশন খরচ ৩৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করে পরে তা বাড়িয়ে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা করে নেয়। একপর্যায়ে এসব বেসরকারি সংস্থা অভিবাসন খরচ বাবদ মাথাপিছু সাড়ে তিন লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা দাবি করতে থাকে।
যেটা মালয়েশিয়া সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বাংলাদেশি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি বড় ধাক্কার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং এর ভিত্তিতে জিটুজি চুক্তি বাতিল হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ বিষয়কমন্ত্রী এম. সারাভান মাত্র ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের জন্য ঢাকায় একটি চিঠি পাঠানোর পর সর্বশেষ এমওইউ দ্বারা উত্থাপিত আশা দ্রুত ভেঙ্গে যায়।
জবাবে, বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ তার মালয়েশিয়ার মন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন ঢাকা এই শর্ত মেনে নিতে পারবে না।
তিনি ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) সার্টিফিকেট এবং বাংলাদেশ কম্পিটিশন অ্যাক্ট, ২০১২-এর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার সীমিত সংখ্যক এজেন্সিকে কাজ দিতে পারে না। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বৈধ লাইসেন্সধারী সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে সমান সুযোগ দিতে হবে। বাংলাদেশ মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের স্বচ্ছ, অনিয়মমুক্ত ও নিরাপদ অভিবাসন চায়।
আরও পড়ুন: বিদেশি কর্মী নিয়োগে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা চায় না মালয়েশিয়া সরকার
বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর পদ্ধতি নির্ধারণে দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের প্রস্তাবও করেন ইমরান। কিন্তু চিঠি পাঠানোর তিন মাস পরও কুয়ালামপুর এখনও সাড়া দেয়নি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুস সালেহীন ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে এখনও আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি মালয়েশিয়া আমাদের অনলাইনে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের জন্য একটি তারিখ পাঠিয়েছিল কিন্তু আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি কারণ আমাদের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিষয়টি সমন্বয় করতে হয়েছিল। পরে আমরা অনলাইন সভার জন্য একটি তারিখ পাঠিয়েছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা অনুষ্ঠিত হয়নি।
তবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব বলেন, ২৫ মে অনুষ্ঠিতব্য কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
কেন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বিরোধিতা?
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনার রিক্রুটি এজেন্সিজ’র (বায়রা) সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোটের নেতারা সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মলেন করে দাবি করেছেন, আগের ন্যায় নতুন করে আবার এই সিন্ডিকেটের হোতা বাংলাদেশ বায়রা সাবেক মহাসচিব ও ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী রুহুল আমিন স্বপন।স্বপনসহ ২৫ টি সিন্ডিকেটে নাম আসা সকল রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলসহ মালিকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে বিচারের দাবি জানায়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়ার ভূমিকার প্রশংসা বক্তাদের
রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান বলেন, ‘এক-দুটি বাদে আগের ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির প্রায় সবকটি নতুন ২৫ এজেন্সি সিন্ডিকেটে তালিকাভুক্ত ছিল এবং তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রুহুল আমিন স্বপন। আমরা এবার মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেটমুক্ত শ্রমবাজারের প্রবেশাধিকার চাই।’
সিন্ডিকেট বিরোধী জোটের সংগঠক ও বায়রার সাবেক সভাপতি আবুল বাশার বলেছেন, ১০ এজেন্সি সিন্ডিকেট অভিবাসন ব্যয় বহুগুণ বাড়িয়েছে। মূলত এই সিন্ডিকেটের বিদ্বেষপূর্ণ প্রচেষ্টার কারণে বাংলাদেশের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলতে বিলম্ব হচ্ছে।
সিন্ডিকেট বিরোধী জোটের সংগঠক ও বায়রার সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী বলেন,‘বাংলাদেশে এক হাজার ৫৩০টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিক্রুটিং এজেন্সি আছে এবং তাদের বৈধভাবে শ্রমবাজারে শ্রমিক পাঠানোর অধিকার রয়েছে। সিন্ডিকেট গঠনের অর্থ হবে তারা কাজ করতে পারবে না এবং দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হবে।’
বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ফর মাইগ্রেন্টস (বিসিএসএম), অভিবাসন নিয়ে কাজ করা ২০ সংস্থার একটি প্ল্যাটফর্ম উভয় সরকারকে সিন্ডিকেট সিস্টেমের মতো বিষয়গুলো পুনরাবৃত্তি না করার অনুরোধ করেছে।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, শ্রমিকদের একটি উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ ব্যবস্থার মাধ্যমে পাঠানো উচিত যাতে অভিবাসী শ্রমিকরা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
সমস্ত নিবন্ধিত সংস্থাগুলোকে সমান নিয়োগের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানান তারা।
অভিযুক্ত সিন্ডিকেট নেতা বিদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের মালিক রুহুল আমিন স্বপন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে সরকারি আলোচনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অন্যান্য সংস্থার মালিকদের মতো আমিও একজন সাধারণ ব্যবসায়ী।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি মালয়েশিয়া সরকারের সিদ্ধান্ত যে তারা সীমিত সংখ্যক সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ দিতে চায়। সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’
অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে রুহুল আমিন বলেন, সীমিত সংখ্যক এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগে খরচ বাড়লে আমি কথা দিচ্ছি এই ব্যবসা ছেড়ে দেব।
২ বছর আগে
বিদেশগামী প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছে সরকার
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বুধবার থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনের মধ্যে প্রবাসী কর্মীদের বহনের জন্য পাঁচটি দেশে বিশেষ ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বুধবার এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ ইউএনবিকে বলেন, ‘লকডাউনকালীন বিদেশগামী কর্মীদের জন্য ফ্লাইট চালু করা হবে।’
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালুর দাবি আটাবের
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব,সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরের জন্য অতিশীঘ্রই স্পেশাল ফ্লাইট চালু করা হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ বিষয়ে বিস্তারিত ওয়ার্ক প্ল্যান তৈরি করবে।’
মন্ত্রী বলেন, যে পাঁচটি দেশে আমরা ফ্লাইট চালু করব সে সব দেশ এখনো ওপেন আছে। সে দেশে কোন সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, যারা বিদেশকর্মী বা ওয়ার্কার তাদের কীভাবে বিদেশ পাঠানো যায়, আমরা সেটি নিয়ে কাজ করছিলাম। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আসল ।
কবে নাগাদ সিদ্ধান্ত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ফ্লাইট চালু বিষয়ে সিদ্ধান্ত আপনি ফাইনালই বলতে পারেন। এ বিষয়ে গতকাল এবং আজকে মিটিং এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুধু প্রক্রিয়াটা কী হবে তার সিদ্ধান্ত হবে। আগামীকাল বিকাল ৩টায় আরেকটি মিটিং হবে। যারা এখন বিদেশ যাবেন তাদের বিষয়ে কিছু শর্ত থাকবে। সেখানে সব সিদ্ধান্ত হবে।
বিদেশগামী কর্মীদের প্রক্রিয়াটা কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এয়ারপোর্টে আনার দায়িত্ব রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহের।
আরও পড়ুন: লকডাউনে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ থাকবে: বেবিচক
মন্ত্রী বলেন, 'প্রবাসী কর্মীরা কেবল জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশনের ছাড়পত্র গ্রহণ করে এবং দেশে প্রযোজ্য কোয়ারেন্টাইন শর্ত মেনে কোভিড নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে আসতে পারবেন।
কতজন কর্মী এখন আটকে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটির সঠিক সংখ্যা বলা কঠিন। তবে এজেন্সিগুলো বলছে ২৫-৩০ হাজার। আমার ধারণা যখন ফ্লাইট চালু করব তখন দেখবেন আরও অনেকে যাবে, তখন সংখ্যা ১ লাখ হয়ে যেতে পারে।'
এদিকে, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সভাপতি মনছুর আহামেদ কালাম ইউএনবিকে বলেন, 'ছুটিতে আসা প্রবাসী কর্মী ও নতুন ভিসা প্রাপ্তদের যাতায়াত সচল রাখার নিমিত্তে লকডাউনের মাঝে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটসমূহ চলাচল রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি সরকারে কাছে। এ বিষয় গতকাল আমরা সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের দাবি জানাই।'
আটাবের সভাপতি বলেন, 'মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অনেক প্রবাসী ছুটি নিয়ে বা জরুরি প্রয়োজনে বর্তমানে দেশে অবস্থান করছেন এবং তাদের অনেকের ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হতে চলেছে। তারা এয়ারলাইন্সের টিকিট সংগ্রহ করে কর্মস্থলে গমনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন। তাছাড়াও অনেক নতুন কর্মী ভিসা প্রাপ্ত হয়ে কর্মস্থলে গমনের অপেক্ষায় রয়েছেন। নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে যোগদান না করতে পারলে নিয়োগকর্তা তাদের অনেকেরই ভিসা বাতিল করবেন।'
তিনি বলেন, 'একজন প্রবাসীর আয়ের ওপর তার পুরো পরিবার নির্ভরশীল। সঠিক সময়ে নিজ কর্মস্থলে গমন করতে না পারার কারণে তাদের কর্মচ্যুতি হলে তাদের পরিবার পথে বসার উপক্রম হবে। তাই ছুটিতে আসা প্রবাসী কর্মী এবং নতুন ভিসাপ্রাপ্ত কর্মীদের সময় মত কর্মস্থলে পৌঁছানোর বিষয়টিও বর্তমান সরকার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।'
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক: বেবিচক
অন্যদিকে, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা)- সাধারণ সদস্যদের ব্যানারে আয়োজিত গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্য এসব দেশে এখন করোনার প্রকোপ নেই। শ্রমিক গ্রহণকারী এসব দেশের পক্ষ থেকেও কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। তাই, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব দেশে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করা যুক্তিযুক্ত নয়। এতে হাজার হাজার বিদেশগামী এবং সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাই, চলমান লকডাউনে বিদেশগামীদের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট দেশে বিমান চলাচল স্বাভাবিক রাখার দাবি জানান রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা। প্রয়োজনে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করে হলেও বিদেশগামীদের যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রকোপ আকার ধারণ করায় বুধবার থেকে আট দিনের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনে বাংলাদেশ। গণপরিবহনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও বন্ধ ঘোষণা করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এই অবস্থায় সঙ্কটে পড়েছেন বিদেশগামীরা।
৩ বছর আগে
মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠানো নিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট তৈরির অভিযোগ
মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠানোর জন্য নতুন করে স্বল্পসংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট তৈরির অপচেষ্টার অভিযোগ করেছে বায়রা সিন্ডিকেট নির্মূল ঐক্যজোট।
৩ বছর আগে
বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রবাসী কর্মীদের যথাযথ মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ অভিবাসন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৩ বছর আগে
নারী কর্মী বিদেশ পাঠানোর সংকট উত্তরণে দক্ষ কর্মীর কোনো বিকল্প নেই
বর্তমানে নারী কর্মী বিদেশ পাঠানোর সংকট উত্তরণে দক্ষ কর্মী পাঠানোর কোন বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বক্তারা।
৪ বছর আগে