মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, কেক কেটে ও পায়রা উড়িয়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তার জন্মদিন পালন করা হয়েছে।
এসব আয়োজনে হুমায়ূন আহমেদের স্বজন, পরিবারের সদস্য ও নুহাশপল্লীর স্টাফ, হিমু পরিবহনের সদস্যসহ নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেয়। এছাড়াও সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে হূমায়ূন আহমেদের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনায় অংশ নেন সবাই।
গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী এলাকায় প্রথমে রাত ১২টা ১ মিনিটে পুরো নুহাশপল্লীতে ২ হাজার ৫০০ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। মঙ্গলবার সকালে প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, তাদের দুই ছেলে নিশাদ ও নিনিতসহ স্বজন এবং ভক্তদের নিয়ে নুহাশপল্লীতে কেক কাটেন। এর আগে হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, কবর জিয়ারত ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন তারা।
সকালে কবর জিয়ারত শেষে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন সাংবাদিকদের বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ আছে এ গাজীপুরে নুহাশপল্লীতে। হুমায়ূন আহমেদের আলোতে গাজীপুর আলোকিত হয়ে আছে। এক অর্থে বাংলাদেশ আলোকিত হয়ে আছে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্ত আসেন যারা তারা সব সময় রাস্তার কথাটা বলেন। প্রতিবছর বর্ষায় রাস্তা ভেঙে যায়। চলাচলের খুব অসুবিধা হয়। স্বপ্নের নুহাশপল্লী পর্যন্ত আসার রাস্তাটার দিকে নজর রাখা উচিৎ। হুমায়ূন আহমেদ ভক্তদের দিকে তাকিয়ে এটুকু করা উচিৎ।’
এদিকে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে নুহাশপল্লীর ভাস্কর আসাদ খানের দিনব্যাপী একক শিল্পকর্মের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
এছাড়া হিমু পরিবহনের ৩০ জনের দল গাজীপুর জেলা শহর থেকে নুহাশপল্লীতে যাওয়ার পথে এলাকাবাসীর কাছে ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ক লিফলেট বিতরণ করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। দূরারোগ্য ক্যান্সার রোগে ভুগে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নুহাশপল্লীতে তাকে সমাহিত করা হয়।