তিনি বলেন, ‘এখানে কেউ প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করবে না। তাকে (হাজী সেলিমের ছেলে) অন্য অপরাধীদের মতোই বিচারের আওতায় আনা হবে।’
আজ তেজগাঁও থানা প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খান তার ওপর ‘হামলা’র অভিযোগে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ চারজন এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে অভিযুক্ত রবিবার রাতে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ রাত পৌনে ৮টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে নিলক্ষেত থেকে তাদের বাসা মোহাম্মদপুরে ফিরছিলেন। পথে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এরপরই কয়েক ব্যক্তি গাড়ি থেকে বের হয়ে এসে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফকে ‘শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত’ এবং তার স্ত্রীকে ‘গালিগালাজ’ করেন। এক পর্যায়ে তারা নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে হুমকিও দেয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী মোবাইল ফোনে ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন, যা পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় র্যাব সোমবার বিকালে পুরান ঢাকার সোয়ারিঘাটের দেবদাস লেনে হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে তার ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে আটক করে। পরে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ ওয়াকিটকি ও মদ রাখার অভিযোগে ইরফান ও জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়।
এদিকে, নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় ইরফানের অপর এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে টাঙ্গাইল থেকে এবি সিদ্দিক (৪৫) নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্দিককে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
সিদ্দিককে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে মামলায় এজাহারভুক্ত চার আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হলো।
গ্রেপ্তার বাকি একজন হলেন মিজানুর রহমান।