পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের খোঁচাবাড়ি বাজারে শুক্রবার বিকালে ঐতিহ্যবাহী এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাসনাৎজ্জামান চৌধুরী জজ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাঁশি বাজিয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারী জেলার ৩০ জন ঘোড়সওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় ঘোড়সওয়ারদের অধিকাংশই ছিল শিশু। শক্তসামর্থ্য পুরুষ ঘোড়সওয়ারদের মাঝে অংশ নেয়া খুদে সওয়ারিরা দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। একে একে সবাইকে কাটিয়ে দ্রুতগতিতে শিশুরাই দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অর্জন করে হাজারো মানুষকে তাক লাগিয়ে দেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতেই শুরু হল ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা। কে যাবে কার আগে। চলে সবার মাঝে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতায় নজর কাঁড়লো ক্ষুদে ঘোড় সওয়াররা। ১০ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৫০ বছর বৃদ্ধরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। স্থানীয়সহ পাশ্ববর্তী এলাকার হাজার হাজার শিশু, নারী-পুরুষ ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন।
নিতান্ত শখ আর মানুষকে আনন্দ দেয়ার উদ্দেশ্যেই তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বলে জানালেন অংশগ্রহণকারীরা।
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার আব্দুল কাফি বানিয়া। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন শিশু জাহিদ, তৃতীয় স্থান অর্জন করেন শিশু সাজ্জাদ, শিশু মোরসালিন চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান অধিকার করেন শিশু মমিনুল ইসলাম রনি।
খেলা শেষে পামুলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলে হায়দার প্রধান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মো. মোজাহার হোসেন যৌথভাবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বিজয়ীদের মাঝে রঙ্গিন টেলিভিশন, সিলিং ফ্যান, মেলামাইন সেট, টেবিল ফ্যানসহ নগদ ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হয়।
দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাসনাৎজ্জামান চৌধুরী জজ বলেন, ‘ঘোড়াদৌড় বাঙালির ঐতিহ্যের প্রতীক। আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখা ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতার এই বিরল প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবি রাখে।