দুপুরে বাংলাবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা সিরাজগঞ্জগামী একটি বাস থেকে এসব পাখি উদ্ধার করা হয়। পরে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন নিজ কার্যালয়ের সামনে পাখিগুলোকে অবমুক্ত করেন।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ গোলাম আজম, বন বিভাগের পঞ্চগড় সদরের বিট কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম, বন কর্মকর্তা মধুসূদন বর্মন, পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পাখি পাচারকারী একটি চক্র তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিশেষ ফাঁদ পেতে পাখি ধরে পাচার করছিলেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বনবিভাগের কর্মকর্তারা বাংলাবান্ধা থেকে সিরাজগঞ্জগামী রয়েল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি বাসটি চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় পৌঁছলে বাসটিতে অভিযান চালিয়ে অর্ধশত টিয়া পাখির তিন স্তরের একটি খাঁচা উদ্ধার করা হয়।
জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘এগুলো ছিল দেশি টিয়া পাখি। এ পাখিগুলোকে ঢাকায় পাচার করা হচ্ছিল। বন্যপ্রাণী আইনে পশু-পাখি শিকার, ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ। বন্যেরা বনেই সুন্দর তাই তাদের অবমুক্ত করে দেয়া হয়েছে।’