নিহত মনি খাতুনের (৪০) বাড়ি পবা উপজেলার ডাঙেরহাট এলাকায়। তিনি সম্পর্কে কনের চাচী ছিলেন।
বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়া উদ্দিন মাহমুদ জানান, শুক্রবার রাত থেকেই বিজিবি সদস্যরা নিখোঁজদের উদ্ধারে ঘটনাস্থল থেকে শুরু করে রাজশাহী চারঘাট সীমান্ত পর্যন্ত স্পিডবোট নিয়ে টহল পরিচালনা করছেন। নিখোঁজদের উদ্ধারে অন্যান্য সংস্থার সাথে তাদের প্রচেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় নৌকাডুবির ঘটনার পর থেকেই চারঘাটের ইউসুফপুর এলাকার শাহিন আলীর মেয়ে কনে সুইটি খাতুন পুর্নি (২০) এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তবে সৌভাগ্যক্রমে পানি সাঁতরিয়ে বেঁচে গেছেন বর আসাদুজ্জামান রুমন (২৫)। তিনি উপজেলার চরখিদিরপুর এলাকার ইনছার আলীর ছেলে। তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল বৃহস্পতিবার।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বরাত দিয়ে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হোসেন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রবল স্রোতের কারণে রাজশাহী মহানগরীর চরখিদিরপুর সংলগ্ন পদ্মা নদীতে বিয়ে বাড়ির বর-কনে যাত্রীবাহী দুটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকা দুটিতে অন্তত ৩৫ জন নারী-পুরুষ ও শিশু ছিল।
এ ঘটনায় প্রথমে প্রায় ২৪ জন নিখোঁজ ছিল। তবে রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্নভাবে বেঁচে ফিরেছে আরও ১৪ জন। এখনও প্রায় ১০ জন নিখোঁজ রয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এএসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত হাসপাতালে তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে মরিয়ম নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে নিখোঁজদের সন্ধানে পদ্মায় শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চলে। পরে মধ্যরাতে উদ্ধার অভিযানের সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ জানান, নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।