নৌকাডুবি
ভিয়েতনামে পর্যটকবাহী নৌকাডুবে নিহত ৩৭, নিখোঁজ ৫
ভিয়েতনামে আকস্মিক বজ্রঝড়ের কবলে পরে একটি পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। ওই নৌকার আরও ৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ জুলাই) বিকালে উত্তর ভিয়েতনামের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র হা লং বে এলাকায় ভ্রমণের সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, ‘ওয়ান্ডার সি’ নামের ওই নৌকাটিতে ৪৮ জন যাত্রী ও ৫ জন নাবিক ছিলেন। তাঁরা সবাই ভিয়েতনামের নাগরিক।
এদিকে, স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ভিএনএক্সপ্রেস জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। বাকি ৩৭ জনের লাশ ঘটনাস্থলের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবল ঝড়ো হাওয়ার কারণে নৌকাটি উল্টে যায়। নৌকার উল্টে যাওয়া অংশের ভেতর আটকে পড়া ১৪ বছরের এক কিশোরকে চার ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার হয়। উল্টে গেলে নৌকার মধ্যে যেটুকু বাতাস আটকে গিয়েছিল, তা গ্রহণ করেই জীবিত ছিল সে।
অধিকাংশ যাত্রীই রাজধানী হ্যানয়ের বাসিন্দা এবং যাত্রীদের অন্তত ২০ জন শিশু ছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী, শনিবার দুপুর ২টার দিকে আকাশ হঠাৎ অন্ধকার হয়ে যায়। এরপর পায়ের আঙুলের সমান আকারের শিলাবৃষ্টি শুরু হয়, সঙ্গে প্রবল বর্ষণ, বজ্রঝড় আর বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল।
ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।
সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চালানো হবে এবং যেকোনো গাফিলতির ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুয়াং নিং প্রদেশের হা লং বে এলাকায় শত শত ছোট ছোট দ্বীপ-উপদ্বীপ ছড়িয়ে আছে। ২০১৯ সালে এখানকার দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। এটি একটি ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।
এদিকে, ওই অঞ্চলের দিকে এগিয়ে আসছে একটি ক্রমবর্ধমান ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ‘উইফা’ নামের ঘূর্ণিঝড়টি আগামী সপ্তাহে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চল, বিশেষ করে হা লং বে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
১৩৮ দিন আগে
ব্রহ্মপুত্রে নৌকাডুবি: নিখোঁজের ২২ ঘণ্টা পর দুই শিশুর লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদি ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামের তিন শিক্ষার্থী মাদরাসায় যাওয়ার পথে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়ার ২২ ঘণ্টা পর দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছেন নিহতের স্বজনরা।
বুধবার (২ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ১৫ নম্বর টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের পাড়ের দিকে দুই শিশু লাশ ভাসতে দেখে স্বজনরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চরফরাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান।
তিনি জানান, ভোরে নিহতের স্বজনরা নৌকা নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ আবির (৭) ও জুবায়েদকে (৬) খুঁজতে বের হয়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে এলাকায় দুজনের লাশ নদে ভাসতে দেখেন। পরে তাদের উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
এর আগে, মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে ৯ শিক্ষার্থী একটি ছোট নৌকায় করে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে মাদরাসায় যাচ্ছিল। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দত্তের বাজার-সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করে নৌকাটি ডুবে যায়। এর মধ্যে ৬ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও তিনজন নিখোঁজ হয়। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালালেও তাদের খোঁজ মেলেনি।
এ সময় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী চর আলগী গ্রামের মাইনুদ্দিনের মেয়ে শাপলা আক্তারকে (১৪) ঘন্টাখানেক পর মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ ছিল একই গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে আবির ও মুমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ। তারা তিনজন বিরুই নদীরপাড় দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী।
ঘটনার প্রায় ২২ ঘণ্টা পর তাদের দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে স্বজনরা।
১৫৬ দিন আগে
পদ্মায় ঘুরতে গিয়ে নৌকাডুবি, নিখোঁজ স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
পাবনার সুজানগরে পদ্মা নদীতে বেড়াতে গিয়ে নৌকাডুবির ১৬ ঘণ্টা পর স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার হলেন— পাবনার কোলচরী গ্রামের বাসিন্দা হৃদয় ও তার স্ত্রী মৌ আক্তার।
নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে নৌপুলিশ ও ডুবুরি দল তাদের লাশ উদ্ধার করে। এর আগে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকাল ৬টার দিকে নিখোঁজ হন তারা।
স্থানীয়রা জানায়, সুজানগর উপজেলার সাতবারিয়ায় কাঞ্চন পার্কে পদ্মা নদী এলাকায় বেড়াতে যান বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য মানুষ। একপর্যায়ে তারাসহ ২০ থেকে ২৫ জন শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ওঠেন।
নৌকায় থাকা অবস্থায় নদীর মাঝখানে হঠাৎ করে পদ্মা নদীর স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়। সবাই সাঁতরিয়ে নদী পার হয়ে তীরে উঠতে পারলেও হৃদয় খান ও তার স্ত্রী নিখোঁজ হন।
২৪৪ দিন আগে
সুন্দরবনে কার্গোর ধাক্কায় নৌকাডুবি, নিখোঁজ ১
সুন্দরবনের ভেতরে মালবাহী কার্গো জাহাজের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় নুরুল ইসলাম নামে একজন নিখোঁজ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সুন্দরবনের ভিতরে ঝপঝপিয়া নদীতে এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বনবিভাগ ও নৌ পুলিশ তার সন্ধানে এখনও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
নুরুল ইসলাম (৪৮) খুলনার কয়রা উপজেলার বেদকাশী গ্রামের বাসিন্দা।
খুলনার কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদ হোসেন বলেন, কাঁকড়া ধরার জন্য নৌকাটি ব্যবহার করছিলেন নুরুল ইসলাম।
সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান জানান, সন্ধ্যায় কার্গো জাহাজ কাকড়া ধরা একটা নৌকাকে ধাক্কা দেয়। এতে একজন নিখোঁজ হন এবং আরেকজন সাঁতার কেটে নদীর কিনারে চলে আসেন।
৩৭৩ দিন আগে
মেঘনার মোহনায় নৌকাডুবি,নববধূসহ নিখোঁজ ২
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় প্রবল ঘূর্ণি স্রোতের মাঝে পড়ে নৌকা ডুবে নববধূসহ ২ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নৌকার মাঝিসহ ৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজরা হলেন- জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরমুকন্দির বাসিন্দা নববধূ উম্মে হানিয়া ফাহিমা (২১) ও চাঁদপুর শহরের নাজির পাড়ার বাসিন্দা সেতু (৩২)।
আরও পড়ুন: পাবনায় নিখোঁজ রাজমিস্ত্রির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
উদ্ধার হওয়া চারজন হলেন- নববধূর স্বামী নাঈম খান (৩৫), তার বন্ধু মো. মাজহারুল (৩৩), আত্মীয়া মুনিয়া (২৬) ও নৌকার মাঝি। তাদের চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নাঈমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম খান ইউএনবিকে বলেন, ‘দুই মাস আগে আমার ছেলে প্রবাস থেকে ফিরে বিয়ে করে। তারা নৌকা ভাড়া করে ঘুরতে বেরিয়েছিল। এরইমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। আমাদের সাজানো সংসার শেষ হয়ে গেল।
কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মনির ইউএনবিকে বলেন, ‘ওই নৌকায় মাঝিসহ ৬ জন ছিলেন। এর মধ্যে ২ জন নিখোঁজ ও ৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে চাঁদপুর কোস্টগার্ডের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
চাঁদপুর কোস্টগার্ডের পেটি অফিসার এম শফিকুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আমাদের ডুবুরি দল মেঘনার মোহনায় উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত নববধূসহ এখনও ২ জন নিখোঁজ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে খালের পানিতে ডুবে নিখোঁজ দুই শিশুর একজনের লাশ উদ্ধার
পা পিছলে গড়াই নদীতে পড়ে স্কুলছাত্র নিখোঁজ
৪৭৮ দিন আগে
বিলের পানিতে ঘুরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
বিলের পানিতে নৌকা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে মেডিকেলের শিক্ষার্থীসহ ২ যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ জুন) বেলা আড়াইটার দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার কান্দুলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ঝিনাইগাতীর দক্ষিণ কান্দুলি গ্রামের সোহরাব মিয়ার ছেলে রংপুর মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোশারফ হোসেন মিল্টন (২২) ও স্থানীয় সাদা মিয়ার ছেলে মো. আমানুল্লাহ (১৯)। আহতদের শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে নৌকাডুবি, ব্যবসায়ী নিখোঁজ
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইগাতীর দক্ষিণ কান্দুলি গ্রামের মিল্টন এবং তার কয়েকজন বন্ধু মিলে পাশের ধলি বিলে নৌকায় করে বেড়াতে দু’টি নৌকা ভাড়া নেন। বিলের মাঝখানে গিয়ে হঠাৎ একটি নৌকা উল্টে যায়। ওই নৌকার যাত্রীরা সাঁতার না জানার কারণে পানিতে ডুবে যায়। সঙ্গে থাকা নৌকার মাঝি এবং অন্য নৌকার যাত্রীরা ডুবে যাওয়াদের উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের শেরপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিল্টন ও আমানুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।
শেরপুর জেলা হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আএমও) ডা. খাইরুল কবীর সুমন জানান, ঝিনাইগাতীর বিলে নৌকাডুবির ঘটনায় কয়েকজনকে জেলা হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই দুইজনের মৃত্যু হয়।
ঝিনাইগাতীর ধানশাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ধলি বিলে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইস্কান্দার হাবীব জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি জানার পর পরই ঘটনাস্থলে ডিউটি অফিসার পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তায় নৌকাডুবি: শিশুর লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ৭
বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি: আরও একজনের লাশ উদ্ধার
৫৩২ দিন আগে
নৌকাডুবিতে নিখোঁজ অভিবাসীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ইতালির কোস্টগার্ড
চলতি সপ্তাহে ক্যালাব্রিয়ান উপকূল থেকে ১৯৫ কিলোমিটার (১২০ মাইল) দূরে বিপজ্জনক মধ্য ভূমধ্যসাগরে একটি নৌকাডুবিতে নিখোঁজ কয়েক ডজন অভিবাসন প্রত্যাশীর সন্ধানে সমুদ্র পথে ইতালির কোস্টগার্ড অনুসন্ধান চালানোর পর বৃহিস্পতিবার থেকে আকাশ থেকেও অনুসন্ধান শুরু করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
অনুসন্ধান অভিযানের কমান্ডার বলেছেন, আংশিক ডুবে যাওয়া নৌকাটি এখনও দৃশ্যমান, তবে সেখানে কোনও মৃতদেহ দেখা যাচ্ছে না।
সোমবার নৌকাডুবির পর একটি মাছ ধরার নৌকা সেখান থেকে ১১ জনকে উদ্ধার করেছিল। যদিও উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে একজন পরে মারা যান। এছাড়া ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা বলছেন, আরও ৬০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
বেঁচে যাওয়া আরোহীদের বরাতে ইউএন শরণার্থী সংস্থা এবং জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা বলছে, ইরান, সিরিয়া ও ইরাকের প্রায় ৭৫ জন আরোহী নিয়ে তুরস্ক থেকে রওনা হওয়ার আট দিন পর নৌকার মোটরটিতে আগুন ধরে যাওয়ায় এটি ইতালির উপকূলে ডুবে যায়। এদের মধ্যে ২০ জনেরও বেশি শিশু রয়েছে।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারের এক মুখপাত্র বলেন, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা মানসিক ও শারীরিক উভয় ধরনের আঘাতের শিকার হয়েছেন এবং 'খুবই বিভ্রান্ত' রয়েছেন।
গোষ্ঠীটির মানবিক বিষয়ক দায়িত্বে থাকা সিসিলিয়া মোমি বলেছেন, ‘তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ... এবং এখনও জানি না তাদের পরিবারের মধ্যে কে বেঁচে আছেন এবং কে সমুদ্রে মারা গেছেন।’
আরও পড়ুন: তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ আজ দুপুরে ঢাকায় পৌঁছাবে
তিনি বলেন, ‘অনেকের পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। কেউ হারিয়েছেন স্ত্রীকে, কেউ হারিয়েছেন সন্তানকে, আবার হারিয়েছেন স্বামীকে, বন্ধুকে এবং ভাতিজাকে।’
সোমবার আরেকটি ঘটনায় দাতব্য উদ্ধারকারী জাহাজ নাদির সিরিয়া, মিশর, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা ৫১ জনকে উদ্ধার করে ল্যাম্পেদুসা বন্দরে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার শিকার ওই পাচারকারী নৌকার নিচের ডেক থেকে আরও ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যারা সেখানে শ্বাসরোধে মারা যান।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো জানিয়েছে, এই মৃত্যুর ফলে ৮০০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে চলতি বছরে মধ্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় তারা মারা গেছেন। সেই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে পাঁচজন মারা গেছেন।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস বলেছে, এই ঘটনাগুলো ‘অভিবাসন এবং আশ্রয়ের ক্ষেত্রে ইউরোপের ব্যর্থ দৃষ্টিভঙ্গির আরেকটি প্রমাণ। যা মানবিক অভ্যর্থনার চেয়ে বাধাদান এবং প্রতিরোধকে অগ্রাধিকার দেয়।’
আরও পড়ুন: ভূমধ্যসাগরে দুটি নৌকাডুবিতে ১১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৬৪
৫৩৪ দিন আগে
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নৌকাডুবিতে নিহত ৬
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একটি নদীতে নৌকাডুবিতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নৌকাটিতে থাকা ১৫ জন যাত্রীর মধ্যে নিখোঁজ আরও তিনজনের সন্ধানে উদ্ধারকর্মীরা অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
বেসামরিক প্রশাসক বিলাল মহিউদ্দিন ভাট জানান, যাত্রীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু ছিল। এ পর্যন্ত ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই অঞ্চলের প্রধান শহর শ্রীনগরের ঝিলাম নদীতে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটে। পানির তীব্র স্রোতের মধ্যে নদী পার হওয়ার সময় একটি দড়ি ছিঁড়ে যাওয়ায় নৌকাটি ডুবে যায়। গত কয়েকদিন ধরে এই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীতে পানি বেড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ফিরদৌস আহমেদ লোন জানান, তিনি সাহায্যের জন্য মানুষের চিৎকার শুনে তাদের বাঁচাতে ছুটে যান।
লোন বলেন, ‘আমি তাদের চারজনকে নদী থেকে টেনে তুলেছিলাম, কিন্তু তার আগেই তারা মারা গিয়েছে।’
অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবে ভারতে নৌ দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত বছর ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যের একটি সমুদ্র সৈকতে ৩০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে একটি দোতলা নৌকাডুবিতে ২২ জনের মৃত্যু হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের মে মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশে গোদাবরী নদীতে নৌকাডুবিতে ৩০ জনের মৃত্যু হয়।
৫৯৮ দিন আগে
বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি: আরও একজনের লাশ উদ্ধার
ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে দুই লঞ্চের মাঝে পড়ে যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় সাদেক মিয়া নামে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের বড়ভাই শফিক মিয়া তার লাশ শনাক্ত করেছেন। এনিয়ে পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নৌকাডুবির ঘটনার পর থেকে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সেলিম শিকদার ও আতাউর রহমান নিখোঁজ ছিলেন। ঠিক দুইদিন পর শনিবার তাদের লাশ ভেসে উঠার পর রবিবার বিকালে আগানগর এলাকা থেকে সাদেক মিয়ার লাশটি বুড়িগঙ্গা নদীতে ভেসে উঠে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে নৌকাডুবি: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
ঢাকার সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সোবাহান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সদরঘাট এলাকা থেকে একটি নৌকায় চড়ে পাঁচ যাত্রীহ কেরানীগঞ্জ যাওয়ার পথে এমভি এমআর খান ও এমভি কুয়াকাটা-১ লঞ্চের মাঝে চাপা পড়ে নৌকা ডুবে যায়।
এ সময় মাঝিসহ তিন যাত্রী পাড়ে উঠতে সক্ষম হয়। তবে সেলিম ও আতাউরসহ সাদেক মিয়া নিখোঁজ থাকে। সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার দিনভর অনেক চেষ্টা ও খোঁজাখুঁজি করেও নিখোঁজদের উদ্ধার করতে পারেনি।
শনিবার প্রথমে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার রহমান ডকইয়ার্ডে সামনে সেলিমের লাশ ভেসে ওঠে। পরে বিকালে একই থানার মিরেরবাগ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে আতাউরের লাশটিও ভেসে ওঠে। এরপর পর রবিবার বিকালে আগানগর এলাকা থেকে সাদেক মিয়ার লাশটি বুড়িগঙ্গা নদীতে ভেসে উঠে। নৌ পুলিশ তিনটি লাশই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম সুমন জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় প্রকাশ
কিশোরগঞ্জে নৌকাডুবিতে যাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল সাবিকুলের
৬৪৯ দিন আগে
ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় প্রকাশ
আফ্রিকার দেশ লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশে নৌকায় পাড়ি দেওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে ডুবে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৪টার দিকে। নৌকাটি লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, নৌকায় চালকহ ছিলেন ৫৩ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৯ জন। জীবিত আছেন ৪৪ জন।
জীবিতদের মধ্যে- বাংলাদেশের ২৭ জন, পাকিস্তানের ৮ জন, মিশরের ৩ জন, সিরিয়ার ৫ জন, মিশরের ১ জন। মিশরের ওই ব্যক্তি নৌকা চালাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৯৩৭০ প্রবাসী বাংলাদেশি ২৬ দেশে আটক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিহতদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশের এবং অন্যজন পাকিস্তানের।
৮ বাংলাদেশি হলেন- মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সজল, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মামুন সেখ, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কাজী মিজানুরের ছেলে কাজি সজীব, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কায়সার, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দাদনের ছেলে রিফাত, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাসেল ও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মো. পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নিহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশিদের মধ্যে ৭ জন পাসপোর্ট ছাড়া ভ্রমণ করছিলেন।
আরও পড়ুন: ২৩ বাংলাদেশির ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে ভারতের আদালতে
২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
৬৫৪ দিন আগে