নৌকাডুবি
সুন্দরবনে কার্গোর ধাক্কায় নৌকাডুবি, নিখোঁজ ১
সুন্দরবনের ভেতরে মালবাহী কার্গো জাহাজের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় নুরুল ইসলাম নামে একজন নিখোঁজ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সুন্দরবনের ভিতরে ঝপঝপিয়া নদীতে এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বনবিভাগ ও নৌ পুলিশ তার সন্ধানে এখনও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।
নুরুল ইসলাম (৪৮) খুলনার কয়রা উপজেলার বেদকাশী গ্রামের বাসিন্দা।
খুলনার কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদ হোসেন বলেন, কাঁকড়া ধরার জন্য নৌকাটি ব্যবহার করছিলেন নুরুল ইসলাম।
সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান জানান, সন্ধ্যায় কার্গো জাহাজ কাকড়া ধরা একটা নৌকাকে ধাক্কা দেয়। এতে একজন নিখোঁজ হন এবং আরেকজন সাঁতার কেটে নদীর কিনারে চলে আসেন।
১১৩ দিন আগে
মেঘনার মোহনায় নৌকাডুবি,নববধূসহ নিখোঁজ ২
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় প্রবল ঘূর্ণি স্রোতের মাঝে পড়ে নৌকা ডুবে নববধূসহ ২ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নৌকার মাঝিসহ ৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজরা হলেন- জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরমুকন্দির বাসিন্দা নববধূ উম্মে হানিয়া ফাহিমা (২১) ও চাঁদপুর শহরের নাজির পাড়ার বাসিন্দা সেতু (৩২)।
আরও পড়ুন: পাবনায় নিখোঁজ রাজমিস্ত্রির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
উদ্ধার হওয়া চারজন হলেন- নববধূর স্বামী নাঈম খান (৩৫), তার বন্ধু মো. মাজহারুল (৩৩), আত্মীয়া মুনিয়া (২৬) ও নৌকার মাঝি। তাদের চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নাঈমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম খান ইউএনবিকে বলেন, ‘দুই মাস আগে আমার ছেলে প্রবাস থেকে ফিরে বিয়ে করে। তারা নৌকা ভাড়া করে ঘুরতে বেরিয়েছিল। এরইমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। আমাদের সাজানো সংসার শেষ হয়ে গেল।
কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মনির ইউএনবিকে বলেন, ‘ওই নৌকায় মাঝিসহ ৬ জন ছিলেন। এর মধ্যে ২ জন নিখোঁজ ও ৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে চাঁদপুর কোস্টগার্ডের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
চাঁদপুর কোস্টগার্ডের পেটি অফিসার এম শফিকুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আমাদের ডুবুরি দল মেঘনার মোহনায় উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত নববধূসহ এখনও ২ জন নিখোঁজ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে খালের পানিতে ডুবে নিখোঁজ দুই শিশুর একজনের লাশ উদ্ধার
পা পিছলে গড়াই নদীতে পড়ে স্কুলছাত্র নিখোঁজ
২১৭ দিন আগে
বিলের পানিতে ঘুরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
বিলের পানিতে নৌকা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে মেডিকেলের শিক্ষার্থীসহ ২ যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ জুন) বেলা আড়াইটার দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার কান্দুলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ঝিনাইগাতীর দক্ষিণ কান্দুলি গ্রামের সোহরাব মিয়ার ছেলে রংপুর মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোশারফ হোসেন মিল্টন (২২) ও স্থানীয় সাদা মিয়ার ছেলে মো. আমানুল্লাহ (১৯)। আহতদের শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে নৌকাডুবি, ব্যবসায়ী নিখোঁজ
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইগাতীর দক্ষিণ কান্দুলি গ্রামের মিল্টন এবং তার কয়েকজন বন্ধু মিলে পাশের ধলি বিলে নৌকায় করে বেড়াতে দু’টি নৌকা ভাড়া নেন। বিলের মাঝখানে গিয়ে হঠাৎ একটি নৌকা উল্টে যায়। ওই নৌকার যাত্রীরা সাঁতার না জানার কারণে পানিতে ডুবে যায়। সঙ্গে থাকা নৌকার মাঝি এবং অন্য নৌকার যাত্রীরা ডুবে যাওয়াদের উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের শেরপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিল্টন ও আমানুল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।
শেরপুর জেলা হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আএমও) ডা. খাইরুল কবীর সুমন জানান, ঝিনাইগাতীর বিলে নৌকাডুবির ঘটনায় কয়েকজনকে জেলা হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই দুইজনের মৃত্যু হয়।
ঝিনাইগাতীর ধানশাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ধলি বিলে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইস্কান্দার হাবীব জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি জানার পর পরই ঘটনাস্থলে ডিউটি অফিসার পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তায় নৌকাডুবি: শিশুর লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ৭
বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি: আরও একজনের লাশ উদ্ধার
২৭১ দিন আগে
নৌকাডুবিতে নিখোঁজ অভিবাসীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ইতালির কোস্টগার্ড
চলতি সপ্তাহে ক্যালাব্রিয়ান উপকূল থেকে ১৯৫ কিলোমিটার (১২০ মাইল) দূরে বিপজ্জনক মধ্য ভূমধ্যসাগরে একটি নৌকাডুবিতে নিখোঁজ কয়েক ডজন অভিবাসন প্রত্যাশীর সন্ধানে সমুদ্র পথে ইতালির কোস্টগার্ড অনুসন্ধান চালানোর পর বৃহিস্পতিবার থেকে আকাশ থেকেও অনুসন্ধান শুরু করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
অনুসন্ধান অভিযানের কমান্ডার বলেছেন, আংশিক ডুবে যাওয়া নৌকাটি এখনও দৃশ্যমান, তবে সেখানে কোনও মৃতদেহ দেখা যাচ্ছে না।
সোমবার নৌকাডুবির পর একটি মাছ ধরার নৌকা সেখান থেকে ১১ জনকে উদ্ধার করেছিল। যদিও উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে একজন পরে মারা যান। এছাড়া ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা বলছেন, আরও ৬০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
বেঁচে যাওয়া আরোহীদের বরাতে ইউএন শরণার্থী সংস্থা এবং জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা বলছে, ইরান, সিরিয়া ও ইরাকের প্রায় ৭৫ জন আরোহী নিয়ে তুরস্ক থেকে রওনা হওয়ার আট দিন পর নৌকার মোটরটিতে আগুন ধরে যাওয়ায় এটি ইতালির উপকূলে ডুবে যায়। এদের মধ্যে ২০ জনেরও বেশি শিশু রয়েছে।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারের এক মুখপাত্র বলেন, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা মানসিক ও শারীরিক উভয় ধরনের আঘাতের শিকার হয়েছেন এবং 'খুবই বিভ্রান্ত' রয়েছেন।
গোষ্ঠীটির মানবিক বিষয়ক দায়িত্বে থাকা সিসিলিয়া মোমি বলেছেন, ‘তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ... এবং এখনও জানি না তাদের পরিবারের মধ্যে কে বেঁচে আছেন এবং কে সমুদ্রে মারা গেছেন।’
আরও পড়ুন: তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ আজ দুপুরে ঢাকায় পৌঁছাবে
তিনি বলেন, ‘অনেকের পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। কেউ হারিয়েছেন স্ত্রীকে, কেউ হারিয়েছেন সন্তানকে, আবার হারিয়েছেন স্বামীকে, বন্ধুকে এবং ভাতিজাকে।’
সোমবার আরেকটি ঘটনায় দাতব্য উদ্ধারকারী জাহাজ নাদির সিরিয়া, মিশর, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা ৫১ জনকে উদ্ধার করে ল্যাম্পেদুসা বন্দরে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার শিকার ওই পাচারকারী নৌকার নিচের ডেক থেকে আরও ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যারা সেখানে শ্বাসরোধে মারা যান।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো জানিয়েছে, এই মৃত্যুর ফলে ৮০০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে চলতি বছরে মধ্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় তারা মারা গেছেন। সেই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে পাঁচজন মারা গেছেন।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস বলেছে, এই ঘটনাগুলো ‘অভিবাসন এবং আশ্রয়ের ক্ষেত্রে ইউরোপের ব্যর্থ দৃষ্টিভঙ্গির আরেকটি প্রমাণ। যা মানবিক অভ্যর্থনার চেয়ে বাধাদান এবং প্রতিরোধকে অগ্রাধিকার দেয়।’
আরও পড়ুন: ভূমধ্যসাগরে দুটি নৌকাডুবিতে ১১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৬৪
২৭৩ দিন আগে
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নৌকাডুবিতে নিহত ৬
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একটি নদীতে নৌকাডুবিতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নৌকাটিতে থাকা ১৫ জন যাত্রীর মধ্যে নিখোঁজ আরও তিনজনের সন্ধানে উদ্ধারকর্মীরা অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
বেসামরিক প্রশাসক বিলাল মহিউদ্দিন ভাট জানান, যাত্রীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু ছিল। এ পর্যন্ত ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই অঞ্চলের প্রধান শহর শ্রীনগরের ঝিলাম নদীতে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটে। পানির তীব্র স্রোতের মধ্যে নদী পার হওয়ার সময় একটি দড়ি ছিঁড়ে যাওয়ায় নৌকাটি ডুবে যায়। গত কয়েকদিন ধরে এই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীতে পানি বেড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ফিরদৌস আহমেদ লোন জানান, তিনি সাহায্যের জন্য মানুষের চিৎকার শুনে তাদের বাঁচাতে ছুটে যান।
লোন বলেন, ‘আমি তাদের চারজনকে নদী থেকে টেনে তুলেছিলাম, কিন্তু তার আগেই তারা মারা গিয়েছে।’
অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবে ভারতে নৌ দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত বছর ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যের একটি সমুদ্র সৈকতে ৩০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে একটি দোতলা নৌকাডুবিতে ২২ জনের মৃত্যু হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের মে মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশে গোদাবরী নদীতে নৌকাডুবিতে ৩০ জনের মৃত্যু হয়।
৩৩৭ দিন আগে
বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি: আরও একজনের লাশ উদ্ধার
ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে দুই লঞ্চের মাঝে পড়ে যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় সাদেক মিয়া নামে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের বড়ভাই শফিক মিয়া তার লাশ শনাক্ত করেছেন। এনিয়ে পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নৌকাডুবির ঘটনার পর থেকে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সেলিম শিকদার ও আতাউর রহমান নিখোঁজ ছিলেন। ঠিক দুইদিন পর শনিবার তাদের লাশ ভেসে উঠার পর রবিবার বিকালে আগানগর এলাকা থেকে সাদেক মিয়ার লাশটি বুড়িগঙ্গা নদীতে ভেসে উঠে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে নৌকাডুবি: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
ঢাকার সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সোবাহান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সদরঘাট এলাকা থেকে একটি নৌকায় চড়ে পাঁচ যাত্রীহ কেরানীগঞ্জ যাওয়ার পথে এমভি এমআর খান ও এমভি কুয়াকাটা-১ লঞ্চের মাঝে চাপা পড়ে নৌকা ডুবে যায়।
এ সময় মাঝিসহ তিন যাত্রী পাড়ে উঠতে সক্ষম হয়। তবে সেলিম ও আতাউরসহ সাদেক মিয়া নিখোঁজ থাকে। সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার দিনভর অনেক চেষ্টা ও খোঁজাখুঁজি করেও নিখোঁজদের উদ্ধার করতে পারেনি।
শনিবার প্রথমে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার রহমান ডকইয়ার্ডে সামনে সেলিমের লাশ ভেসে ওঠে। পরে বিকালে একই থানার মিরেরবাগ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে আতাউরের লাশটিও ভেসে ওঠে। এরপর পর রবিবার বিকালে আগানগর এলাকা থেকে সাদেক মিয়ার লাশটি বুড়িগঙ্গা নদীতে ভেসে উঠে। নৌ পুলিশ তিনটি লাশই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম সুমন জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় প্রকাশ
কিশোরগঞ্জে নৌকাডুবিতে যাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল সাবিকুলের
৩৮৮ দিন আগে
ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় প্রকাশ
আফ্রিকার দেশ লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশে নৌকায় পাড়ি দেওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে ডুবে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৪টার দিকে। নৌকাটি লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, নৌকায় চালকহ ছিলেন ৫৩ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৯ জন। জীবিত আছেন ৪৪ জন।
জীবিতদের মধ্যে- বাংলাদেশের ২৭ জন, পাকিস্তানের ৮ জন, মিশরের ৩ জন, সিরিয়ার ৫ জন, মিশরের ১ জন। মিশরের ওই ব্যক্তি নৌকা চালাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৯৩৭০ প্রবাসী বাংলাদেশি ২৬ দেশে আটক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিহতদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশের এবং অন্যজন পাকিস্তানের।
৮ বাংলাদেশি হলেন- মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সজল, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মামুন সেখ, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কাজী মিজানুরের ছেলে কাজি সজীব, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কায়সার, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দাদনের ছেলে রিফাত, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাসেল ও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মো. পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নিহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশিদের মধ্যে ৭ জন পাসপোর্ট ছাড়া ভ্রমণ করছিলেন।
আরও পড়ুন: ২৩ বাংলাদেশির ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে ভারতের আদালতে
২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
৩৯৪ দিন আগে
চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে নৌকাডুবি, ব্যবসায়ী নিখোঁজ
চট্টগ্রামের রাউজানে নিজের খামার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বন্যার পানিতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন এক ব্যবসায়ী।
সোমবার (৭ আগস্ট) রাতে উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হালদা নদীর একটি শাখা খালে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
নিখোঁজ চট্টগ্রামের তরুণ ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা সাহেদ(৩৫) রাউজানের এস এম ইউসুফের ছেলে।
নৌকাডুবির সময় সঙ্গে থাকা ৪জন সাঁতার কেটে পাড়ে উঠতে পারলেও বাবু উঠতে পারেনি। তীব্র স্রোত তাকে টেনে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কাউসার-উল-আলম বলেন, নিজ বসতঘর থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নিজস্ব প্রজেক্ট খামার বাড়িতে (মাছের খামার, গরুর খামার) যান সাহেদ।
রাত ৮টার দিকে সেখান থেকে ফেরার পথে রাউজান হাটহাজারী মধ্যবর্তী বাড়িঘোনা ব্রিজ এলাকায় নৌকা উল্টে যায়। নৌকায় থাকা আরও ৪জনসহ সাঁতার কেটে উঠতে পারলেও সাহেদ পানির স্রোতে ভেসে যান।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ, রাউজান থানা ও হাটহাজারী থানা পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন বাবুর খোঁজ পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল, জোয়ারের পানিতে উরকিরচরসহ আশপাশের গ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে।
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ জানান, উরকিরচরে সাহেদের গরু ও মুরগীর খামার আছে। যেখানে হালদা নদীর একটি শাখা খাল পেড়িয়ে যেতে হয়।
তিনি আরও বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে সোমবার খামারে পানি উঠে যায়। তাই সাহেদ সহ আরও ৩ জন খামার দেখে ফেরার পথে নৌকা উল্টে পানিতে পড়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল জানান, রাত ১২টা পর্যন্ত সাহেদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। বন্যায় পানি বেশি থাকায় হালদা নদীতে ভেসে যেতে পারে। তার সন্ধানে হালদা নদী ও শাখা খালে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা-ভূমিধস মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন
চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে কলেজছাত্রীর মৃত্যু
৫৮৯ দিন আগে
ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে নৌকাডুবিতে নিহত ১৫, নিখোঁজ ১৯
ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে নৌকা ডুবে অন্তত ১৫ জন নিহত ও ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সোমবার উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা বিষয়টি জানিয়েছেন।
স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ আরাফাহ বলেন যে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশের বুটন সেন্ট্রাল রিজেন্সির লান্টো গ্রাম থেকে নিকটবর্তী লাগিলি গ্রামে যাওয়ার সময় সোমবার মধ্যরাতে নৌযানটি ডুবে যায়।
মোটামুটি ২০ জন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন কাঠের নৌকাটি ৪০ জন যাত্রী বহন করছিল।
আরাফাহ বলেন, উদ্ধারকারীরা সোমবার উত্তাল সমুদ্রে নিখোঁজ ১৯ জনকে খুঁজছিল। ১৫টি লাশ এবং ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে নিখোঁজদের সন্ধানে তিনটি ইনফ্ল্যাটেবল নৌকা, দু’টি মাছ ধরার নৌকা এবং ছয়জন ডুবুরি মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় স্পিডবোট ডুবে ১১ জন নিহত, নিখোঁজ ১
রবিবার রিজেন্সির নবম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য হাজার হাজার বাসিন্দা তাদের গ্রামে ভ্রমণ করেছিলেন এবং এজন্য অনেক মানুষ মাছ ধরা বা যাত্রীবাহী নৌকা ব্যবহার করেছিলেন।
টেলিভিশনের খবরে দেখা গেছে, মাছ ধরার নৌকায় করে লোকজন রাতের অন্ধকারে লাশ উদ্ধার করছে এবং শোকাহত স্বজনরা বন্দর ও স্থানীয় একটি হাসপাতালে তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছে।
ইন্দোনেশিয়া ১৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপ নিয়ে একটি গঠিত এবং এখানে নৌকা বা ফেরির ব্যবহার খুব সাধারণ একটি বিষয়। নিরাপত্তার মানে ঘটতি এবং ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী পরিবহনে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
ইন্দোনেশিয়ায় জ্বালানি ডিপোতে আগুনে নিহত ১৯, নিখোঁজ ৩
৬০৫ দিন আগে
কিশোরগঞ্জে নৌকাডুবিতে যাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল সাবিকুলের
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে সাতজন যাত্রী ও গবাদিপশু নিয়ে ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল সাবিকুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবকের।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের ভাতশালা গ্রামের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা ইউনিয়নের কাকুরিয়া গ্রাম থেকে ছোট ডিঙি নৌকা করে পাঁচ নারী-পুরুষ ও দুই শিশু এবং একটি গরু নিয়ে বাজিতপুর উপজেলার হাছানপুর গ্রামে যাওয়ার পথে অষ্টগ্রামের কাস্তুল ইউনিয়নের ভাতশালা এলাকায় স্রোতের টানে নৌকাটি ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিহত ১, নিখোঁজ ৩
এ সময়, ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কে ঘুরতে আসা পর্যটক সাবিকুল ইসলাম তাদের উদ্ধার করতে পানিতে ঝাপিয়ে পড়েন। তিনি এক শিশু ও এক নারীকে উদ্ধার করে সড়কে উঠতে গিয়ে হঠাৎ নিজেই হাওরের পানিতে তলিয়ে যান।
পরে, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় সাবিকুলের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সাবিকুল ইসলাম অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের বরাগীরকান্দি গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে।
অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের অধিনায়ক সাব-অফিসার কবির আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা দুপুর দেড়টায় নৌ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসি। পরে, বাজিতপুর হতে ডুবুরিরা এলে উদ্ধার কাজ শুরু করি ও লাশ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করি।’
অষ্টগ্রাম থানার উপপরিদর্শক ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে নৌকাডুবি: নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
৬১৮ দিন আগে