নৌকাডুবি
চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে নৌকাডুবি, ব্যবসায়ী নিখোঁজ
চট্টগ্রামের রাউজানে নিজের খামার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বন্যার পানিতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন এক ব্যবসায়ী।
সোমবার (৭ আগস্ট) রাতে উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হালদা নদীর একটি শাখা খালে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
নিখোঁজ চট্টগ্রামের তরুণ ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা সাহেদ(৩৫) রাউজানের এস এম ইউসুফের ছেলে।
নৌকাডুবির সময় সঙ্গে থাকা ৪জন সাঁতার কেটে পাড়ে উঠতে পারলেও বাবু উঠতে পারেনি। তীব্র স্রোত তাকে টেনে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কাউসার-উল-আলম বলেন, নিজ বসতঘর থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নিজস্ব প্রজেক্ট খামার বাড়িতে (মাছের খামার, গরুর খামার) যান সাহেদ।
রাত ৮টার দিকে সেখান থেকে ফেরার পথে রাউজান হাটহাজারী মধ্যবর্তী বাড়িঘোনা ব্রিজ এলাকায় নৌকা উল্টে যায়। নৌকায় থাকা আরও ৪জনসহ সাঁতার কেটে উঠতে পারলেও সাহেদ পানির স্রোতে ভেসে যান।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ, রাউজান থানা ও হাটহাজারী থানা পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন বাবুর খোঁজ পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল, জোয়ারের পানিতে উরকিরচরসহ আশপাশের গ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে।
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ জানান, উরকিরচরে সাহেদের গরু ও মুরগীর খামার আছে। যেখানে হালদা নদীর একটি শাখা খাল পেড়িয়ে যেতে হয়।
তিনি আরও বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে সোমবার খামারে পানি উঠে যায়। তাই সাহেদ সহ আরও ৩ জন খামার দেখে ফেরার পথে নৌকা উল্টে পানিতে পড়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল জানান, রাত ১২টা পর্যন্ত সাহেদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। বন্যায় পানি বেশি থাকায় হালদা নদীতে ভেসে যেতে পারে। তার সন্ধানে হালদা নদী ও শাখা খালে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা-ভূমিধস মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন
চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে কলেজছাত্রীর মৃত্যু
ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে নৌকাডুবিতে নিহত ১৫, নিখোঁজ ১৯
ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে নৌকা ডুবে অন্তত ১৫ জন নিহত ও ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সোমবার উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা বিষয়টি জানিয়েছেন।
স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ আরাফাহ বলেন যে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশের বুটন সেন্ট্রাল রিজেন্সির লান্টো গ্রাম থেকে নিকটবর্তী লাগিলি গ্রামে যাওয়ার সময় সোমবার মধ্যরাতে নৌযানটি ডুবে যায়।
মোটামুটি ২০ জন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন কাঠের নৌকাটি ৪০ জন যাত্রী বহন করছিল।
আরাফাহ বলেন, উদ্ধারকারীরা সোমবার উত্তাল সমুদ্রে নিখোঁজ ১৯ জনকে খুঁজছিল। ১৫টি লাশ এবং ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে নিখোঁজদের সন্ধানে তিনটি ইনফ্ল্যাটেবল নৌকা, দু’টি মাছ ধরার নৌকা এবং ছয়জন ডুবুরি মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় স্পিডবোট ডুবে ১১ জন নিহত, নিখোঁজ ১
রবিবার রিজেন্সির নবম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য হাজার হাজার বাসিন্দা তাদের গ্রামে ভ্রমণ করেছিলেন এবং এজন্য অনেক মানুষ মাছ ধরা বা যাত্রীবাহী নৌকা ব্যবহার করেছিলেন।
টেলিভিশনের খবরে দেখা গেছে, মাছ ধরার নৌকায় করে লোকজন রাতের অন্ধকারে লাশ উদ্ধার করছে এবং শোকাহত স্বজনরা বন্দর ও স্থানীয় একটি হাসপাতালে তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছে।
ইন্দোনেশিয়া ১৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপ নিয়ে একটি গঠিত এবং এখানে নৌকা বা ফেরির ব্যবহার খুব সাধারণ একটি বিষয়। নিরাপত্তার মানে ঘটতি এবং ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী পরিবহনে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
ইন্দোনেশিয়ায় জ্বালানি ডিপোতে আগুনে নিহত ১৯, নিখোঁজ ৩
কিশোরগঞ্জে নৌকাডুবিতে যাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল সাবিকুলের
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে সাতজন যাত্রী ও গবাদিপশু নিয়ে ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল সাবিকুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবকের।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের ভাতশালা গ্রামের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা ইউনিয়নের কাকুরিয়া গ্রাম থেকে ছোট ডিঙি নৌকা করে পাঁচ নারী-পুরুষ ও দুই শিশু এবং একটি গরু নিয়ে বাজিতপুর উপজেলার হাছানপুর গ্রামে যাওয়ার পথে অষ্টগ্রামের কাস্তুল ইউনিয়নের ভাতশালা এলাকায় স্রোতের টানে নৌকাটি ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিহত ১, নিখোঁজ ৩
এ সময়, ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কে ঘুরতে আসা পর্যটক সাবিকুল ইসলাম তাদের উদ্ধার করতে পানিতে ঝাপিয়ে পড়েন। তিনি এক শিশু ও এক নারীকে উদ্ধার করে সড়কে উঠতে গিয়ে হঠাৎ নিজেই হাওরের পানিতে তলিয়ে যান।
পরে, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় সাবিকুলের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত সাবিকুল ইসলাম অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের বরাগীরকান্দি গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে।
অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের অধিনায়ক সাব-অফিসার কবির আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা দুপুর দেড়টায় নৌ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসি। পরে, বাজিতপুর হতে ডুবুরিরা এলে উদ্ধার কাজ শুরু করি ও লাশ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করি।’
অষ্টগ্রাম থানার উপপরিদর্শক ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে নৌকাডুবি: নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
কোম্পানীগঞ্জে নৌকাডুবি: নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ভোলাগঞ্জ ধলাই নদীতে পাথরবোঝাই নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়া শ্রমিক নিহত অফিক মিয়ার (৪৩) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার ভোলাগঞ্জ রেলওয়ে বাংকারের মসজিদের পূর্ব দিকে নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ী গ্রামের মৃত মইবুর রহমানের ছেলে অফিক মিয়া।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৬ মাস বয়সী অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার
কোম্পানীগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাহফুজুর রহমান বলেন, অফিকের পরিবারের লোকজন লাশ শনাক্ত করেছেন। লাশটি উদ্ধার করে ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে আনা হয়েছে।
পুলশি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৭ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে টহলরত পুলিশের অগোচরে ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্টে ১২৫১ পিলারের পাশে চিপ স্টোন বা গুঁড়া পাথর তুলতে যান অফিক মিয়াসহ ৪ শ্রমকি। পাথর ভর্তি করার পর নদীতে প্রবল স্রোত থাকার কারণে এবং তাড়াহুড়া করতে গিয়ে ১২৫১ পিলারের পাশেই নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় নৌকায় রফিক, সফিক ও জজ মিয়া নামে আরও তিন শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠে। কিন্তু অফিক নিখোঁজ ছিলেন। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
লালমনিরহাটে তিস্তায় নৌকাডুবি, ৩ কৃষক নিখোঁজ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় নৌকাডুবিতে তিনজন কৃষক নিখোঁজ হয়েছেন।
রবিবার (৯ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ধুবনী এলাকায় হাজীর মোড়ের পশ্চিম পাশে তিস্তা নদীতে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে নৌকাডুবিতে নিহত ১০৩
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামের ফজলু মিয়া (৬০), আহেদুল ইসলাম (৫৮) ও শফিকুল ইসলাম (৫৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১০ জন শ্রমিক একটি ডিঙি নৌকায় কাজের উদ্দেশ্যে তিস্তা নদী পাড় হওয়ার চেষ্টা করছিল। এ সময় মাঝ নদীতে প্রবল স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়।
এতে অনেকেই সাঁতরে পাড়ে উঠলেও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।
হাতীবান্ধা ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, একটি নৌকায় ১০ কৃষক তিস্তার চরে যাচ্ছিলেন। নদীর মাঝখানে প্রবল স্রোতের কারণে নৌকাটি ডুবে যায়।
তিনি আরও বলেন, সেসময় স্থানীয়রা দ্রুত অন্য একটি নৌকা নিয়ে সাতজনকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিহত ১, নিখোঁজ ৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর উপজেলার আলাতুলি এলাকায় পদ্মা নদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা। বুধবার বিকালে লাশগুলো উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এ নিয়ে এ ঘটনায় চারজন মারা গেল।
উদ্ধাররা হলেন - আলাতুলির ছয়রশিয়া এলাকার হযরত আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন (৫৭), একই এলাকার মৃত সহোরাব আলীর ছেলে আব্দুর রহমান (৬২) ও চর দেবীনগর এলাকার সুমন আলীর ছেলে পাখি (১৪)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন ও আলাতুলি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিহত ১, নিখোঁজ ৩
তারা জানান, আজ বুধবার বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে জেলার হড়মা ও পার্শ্ববর্তী রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সারেংপুর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার আলাতুলি ইউনিয়নের মধ্যচর এলাকা থেকে চীনা ফসল নিয়ে ৭ থেকে ৮ জন একটি ছোট ডিঙ্গি নৌকায় বাড়ি ফিরছিল। দুপুর দেড়টার দিকে ছয়রশিয়া আসার পথে রাণীনগরের টিকর পাড়া এলাকার কাছাকাছি হঠাৎ করে ঝড়ো হাওয়ায় নৌকাটি নদীতে ডুবে যায়।
এ সময় অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও চারজন ডুবে যায়।
পরে স্থানীয়রা নদী থেকে এনামুল হক নামে একজনের লাশ উদ্ধার করলেও নিখোঁজ থাকে বাকি তিনজন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাতকড়া নিয়ে পালানোর ৩২ দিন পর আসামি গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিহত ১, নিখোঁজ ৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের আলাতুলি ইউনিয়নে মঙ্গলবার দুপুরে পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ দুর্ঘটনায় নিহত একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছে।
নিহত এনামুল হক (৬০) আলাতুলি ইউনিয়নের ছয়রশিয়া এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আলী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এবিষয়ে ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, আলাতুলি ইউনিয়নের মধ্যচর এলাকা থেকে চীনা ফসল নিয়ে এনামুল হকসহ আরও ৬/৭ জন একটি ছোটডিঙি নৌকা করে বাড়ি ফিরছিল। দুপুর দেড়টার দিকে ছয়রশিয়া আসার পথে রানীনগর টিকর পাড়া এলাকার কাছাকাছি হঠাৎ করে ঝড়ো হাওয়ায় নৌকাটি নদীতে ডুবে যায়। এসময় অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাকি চারজন ডুবে যায়।
পরে স্থানীয়রা নদী থেকে এনামুলের লাশ উদ্ধার করে। নিখোঁজ তিনজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি।
নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। তবে নদীতে প্রবল স্রোত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহত ও নিখোঁজদের পরিবারকে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু
দিনাজপুরে সীমান্ত এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ যুবকের লাশ উদ্ধার
নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে নৌকাডুবিতে নিহত ১০৩
নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে নৌকা ডুবে শিশুসহ অন্তত ১০৩ জন নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
পুলিশের মুখপাত্র ওকাসানমি অজয়ি জানান, কোয়ারা রাজ্যের রাজধানী ইলোরিন থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে পাতেগি জেলার নাইজার নদীতে সোমবার ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে থাকা কয়েক ডজন লোককে এখনও স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ খুঁজছে।
এ পর্যন্ত ১০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের শঙ্খ নদীতে নৌকাডুবি: নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
স্থানীয় প্রধান আব্দুল গণ লুকপাদা বলেছেন, যারা ডুবে মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগই বেশ কয়েকটি গ্রামের আত্মীয় স্বজন। সবাই একসঙ্গে বিয়েতে অংশ নিয়েছিলেন এবং গভীর রাতে পার্টি করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, তারা মোটরসাইকেলে করে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন কিন্তু বৃষ্টির কারণে সড়ক প্লাবিত হওয়ায় স্থানীয়ভাবে তৈরি নৌকায় করে রওনা দিতে হয়েছিল।
লুকপাদা বলেন, ‘নৌকাটিতে সক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ উঠেছিল, মোটামুটি ৩০০ জনের কাছাকাছি। তাদের নৌকা গন্তব্যে যাওয়ার সময় একটি গুঁড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেলে নৌকা ভেঙ্গে দুই ভাগ হয়ে যায়।’
উসমান ইব্রাহিম নামের এক বাসিন্দা বলেন, প্রতিবেশি নাইজার রাজ্যের এগবোটি গ্রামে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। দুর্ঘটনাটি রাত ৩টার দিকে ঘটায় এ সম্পর্কে অনেক পরে মানুষ জানতে পারে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতে নৌকাডুবিতে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু
উদ্ধারের প্রাথমিক প্রচেষ্টা ধীর ও খুব কঠিন ছিল উল্লেখ করে লুকপাদা বলেন, আশেপাশের গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং প্রথমে প্রায় ৫০ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
নাইজেরিয়ার অন্যতম বড় এই নদীতে সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা এখনও আরও লাশের জন্য অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।
পুলিশের মুখপাত্র অজয়ি বলেন, উদ্ধার কার্যক্রম বুধবার রাত পর্যন্ত চালানো হতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ নৌ-দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ফেরির ধাক্কায় নৌকাডুবি, জেলে নিখোঁজ
চাঁদপুরে ফেরির ধাক্কায় নৌকাডুবি, জেলে নিখোঁজ
চাঁদপুর সদরের হরিণাঘাট এলাকায় চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুটের মেঘনা নদীতে ফেরির ধাক্কায় একটি মাছ ধরার নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনায় এক জেলে নিখোঁজ হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাটি হয়েছে।
নিখোঁজ জেলে ছনু গাজী (৬০) সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
চাঁদপুর অঞ্চলের নৌপুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ইউএনবি কে জানান, মঙ্গলবার ভোরে ফেরি গোলাম মাওলার ধাক্কায় একটি মাছ ধরার নৌকা ডুবে যায়। এসময় নদীতে ঘন কুয়াশা ছিল। ওই নৌকায় থাকা সাত জেলের মধ্যে ছয়জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও একজন নিখোঁজ হন। তার সন্ধানে যৌথ অভিযানে নেমেছে নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস। বিকাল পযর্ন্ত নিখোঁজ জেলের সন্ধান মিলেনি।
দুর্ঘটনার শিকার অন্যতম জেলে ইব্রাহিম গাজী জানান, দূর থেকে তারা টর্চের আলো জ্বালিয়ে সংকেত দেয়ার পরও ফেরিটি তাদের নৌকার ওপর উঠে গেছে। এতে নৌকায় থাকা সাত জেলেই নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন। তবে সাঁতরে তিনিসহ ছয়জন তীরে উঠতে পারলেও বিকাল পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি ছনু গাজীর। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ছয়জন জেলে কম-বেশি আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নৌকাডুবি: নিখোঁজের ৫ দিন পর নারীর লাশ উদ্ধার
নড়াইলের নবগঙ্গায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আরও ১ জনের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে নৌকাডুবি: নিখোঁজের ৫ দিন পর নারীর লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার দুধকুমার নদে নৌকাডুবিতে নিখোঁজের পাঁচদিন পর ভেসে উঠেছে নারীর লাশ।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধ কিলোমিটার ভাটিতে আদর্শ বাজারসংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
নৌকাডুবিতে নিখোঁজ নালো বেগম (৪৯) উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী তেলিয়ানীকুটি গ্রামের নুর মোহাম্মদের স্ত্রী।
বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) আবেদ আলী জানান, গত সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ছোট বোনের বাড়ি ঘুরে মুড়িয়ার পূর্ব ঘাট থেকে অতিরিক্ত মাল বোঝাই একটি নৌকায় দুধকুমার নদী পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরছিল নালো বেগম। কিছু দূর এগিয়ে মালামাল ও যাত্রীসহ ডুবে যায় নৌকাটি। এর অন্য যাত্রীরা সাঁতরে তীরে পৌঁছে জীবন রক্ষা করতে পারলেও ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায় নালো বেগম।
আরও পড়ুন: সিলেটে আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে রংপুর থেকে ডুবুরি দল এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত চেষ্টা করে ফিরে যায় ডুবুরি দল।
ঘটনার পাঁচদিন পর শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে দুধকুমারের ভাটিতে আদর্শবাজার সংলগ্ন এলাকায় ভেসে উঠে নালো বেগমের লাশ। পরে সেখান থেকে তা উদ্ধার করা হয়। নিহতের ফুফাত ভাই ওছমান গণি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) তামবীরুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সেচপাম্পের ঘর থেকে স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
শেরপুরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত কৃষকের লাশ উদ্ধার