তিনি বলেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এ হটলাইন পরিচালনা করবে।
পোশাক শিল্পের শ্রম পরিস্থিতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে মঙ্গলবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মালিক, শ্রমিক ও সরকারের মধ্যে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত মজুরি কাঠামো সমন্বয়ের পর শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন।
শ্রম আইন সবার জন্য প্রযোজ্য জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো শ্রমিক কার্ড পাঞ্চ করে হাজিরা দিয়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে গেলে তিনি ওই দিনের মজুরি পাবেন না।
‘এখন থেকে পোশাক শিল্প সংক্রান্ত ত্রিপক্ষীয় কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পোশাক শিল্পের যেকোনো সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে,’ যোগ করেন তিনি।
শ্রমবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে অত্যন্ত আন্তরিক জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী ঘোষিত মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নে মালিক-শ্রমিক সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় অংশ নেয়া পোশাক কারখানার মালিক প্রতিনিধিরা নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, পোশাক কারখানায় গত কয়েকদিনের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে কোনো নিরীহ শ্রমিক হয়রানির শিকার হবেন না। মালিক প্রতিনিধিরা কাজে যোগ দেয়ার জন্য শ্রমিকদের ধন্যবাদ জানান।
সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব আফরোজা খান, এফবিসিসিআই সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, হামিম গ্রুপের চেয়ারম্যান একে আজাদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপন, শ্রমিক নেতা মন্টু ঘোষ, সিরাজুল ইসলাম রনি, বাবুল আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।