দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র প্রথম আলোর সম্পাদকসহ অন্য কর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ১৯ মিনিটে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।
যেখানে বলা হয় যে প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, অজ্ঞাতনামা 'সহকারী ক্যামেরাম্যান' সহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে রমনা থানায় ওই দিন রাত দেড়টায় মামলাটি দায়ের করেন আবদুল মালেক (মশিউর মালেক) নামে এক আইনজীবী।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বাসা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সদস্যরা তুলে নেওয়ার প্রায় ১০ ঘণ্টা পর বুধবার বিকালে পত্রিকাটির সাভার প্রতিনিধি শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক একটি মামলা দায়ের করা হয়।
রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে শামসের বিরুদ্ধে দেশের স্বাধীনতা দিবসে ভুয়া ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন, যেমনটা ইউএনবির গতদিনের (বুধবার) প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা
প্রথম আলো সর্বশেষ মামলার বাদী আবদুল মালেকের সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হয়েছে। যিনি বলেন, ‘মামলাটার আমি এজাহার দায়ের করেছি, হয়েছে (মামলা) কি না, জানি না। হয়েছে কি না, ওরা (পুলিশ) যোগাযোগ করেছে কোথায় কোথায়, পুলিশের ব্যাপার তো, বোঝেন না।’
তবে রমনা থানা পুলিশ পত্রিকাটিকে কোনো তথ্য দিতে রাজি হয়নি। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, রাত সাড়ে ১২টার দিকে গণমাধ্যমটির দুই সাংবাদিক থানায় যান। কিন্তু দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করেও থানায় ঢুকতে পারেননি।
তাদের এফআইআরের একটি অনুলিপি সংগ্রহ করতে সকালের ফিরে যেতে বলা হয়।
এ বিষয়ে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: সিআইডি প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী