প্রথম আলো
রংপুরে প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
কুড়িগ্রামের রাজারহাট এলাকার নালাকে নদ বানানো এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর ইউনুস আলীকে হেয় করে খবর প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তা শেয়ারের ঘটনায় প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলার আবেদন করেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর ইউনুস আলী।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন
মামলার আসামিরা হলেন-প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, বার্তা সম্পাদক রাজিব বসুনিয়া, রিপোর্টার জহির রায়হান এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ।
মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. আব্দুল মজিদ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সামছুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর বীরমুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী একজন সম্মানিত ব্যক্তি ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে একজন সম্মানিত ব্যক্তির সম্মানহানি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পাবো।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১০, ১২ ও ১৮ জানুয়ারি রাজারহাট এলাকার চাকির পশার নামে নালাকে নদ বানিয়ে তিনটি সংবাদ প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়।
এছাড়া মামলার বাদী অবসরপ্রাপ্ত মেজর ইউনুস আলীকে হেয় প্রতিপন্ন করে সংবাদ প্রকাশ এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করা হয়। এসব ঘটনায় প্রথম আলোর সম্পাদকসহ চারজনের বিরুদ্ধে রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার রায়: আদালত চত্বরে বিক্ষোভ, ছাত্রদল নেতা আটক
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
১ বছর আগে
প্রথম আলো আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও জনগণের শত্রু: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম আলো পত্রিকার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, বাংলা ভাষার এই দৈনিকটি তার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের শত্রু।
তিনি সংসদে বলেন, ‘পত্রিকাটির নাম প্রথম আলো (প্রথম আলো), কিন্তু বাস করে অন্ধকারে। প্রথম আলো আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্র ও দেশের জনগণের শত্রু।’
সোমবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর (সুবর্ণজয়ন্তী) উপলক্ষ্যে সংসদে তার দেওয়া প্রস্তাবের আলোচনায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভাত, মাছ-মাংসের স্বাধীনতা চাই’-পত্রিকাটি একটি ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে ১০ টাকা দিয়ে এমন মিথ্যা কথা বলালো। আর এই মন্তব্যটি রেকর্ড করে প্রচার করা হলো।
তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই যে তারা কখনই চায় না যে এই দেশে স্থিতিশীলতা থাকুক।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৭ সালে যখন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় তখন পত্রিকাটি খুবই আনন্দিত হয় এবং সেই সময় দুটি সংবাদপত্র আন্তরিকভাবে কাজ করে।
নাম উল্লেখ না করে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন যে দেশটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, কিন্তু তারা দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের পক্ষে ওকালতি করে আসছে।
১ বছর আগে
আরেকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস।
ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের বিরোধীতা করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর থেকে কেরাণীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর
দুইপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ও প্রশান্ত কর্মকার।
আসামির আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৯ মার্চ সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামে এক যুবলীগ নেতা বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।
এদিকে গত ২৯ মার্চ রাজধানীর রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অ্যাডভোকেট আবদুল মশিউর মালেক নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর ৩০ মার্চ শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর ৩ এপ্রিল ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় মতিউর রহমান হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান জামিনে মুক্ত
জামিন পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
১ বছর আগে
প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান জামিনে মুক্ত
কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে তিনি কেরাণীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, আমরা বিকাল ৪টার দিকে জামিনের আদেশ পাই এবং সন্ধ্যায় তিনি কারাগার থেকে বের হন। শামসুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা তাকে জেল গেট থেকে অভ্যর্থনা জানান।
এরআগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় শামসুজ্জামানকে জামিন দেন ঢাকার একটি আদালত।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সম্পাদকের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
অন্যদিকে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর ২০ হাজার টাকার মুচলেকায় এই জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ৩০ মার্চ ঢাকার একটি আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। পরে তার জামিন চেয়ে আরেকটি আবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ ওই প্রতিবেদকে কেরাণীগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে গত ১ এপ্রিল কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে ফের কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ২৯ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে সাদা পোশাকের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা শামসকে তুলে নিয়ে যায়। একই দিন প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন’ প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন যুবলীগ নেতা।
২৯শে মার্চ আব্দুল মালেক (মশিউর মালেক) নামে একজন আইনজীবী প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, একজন সহকারী ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করার অভিযোগে একটি এফআইআর করেন।
এফআইআর-এ আইনজীবী আরও উল্লেখ করেছেন যে অভিযুক্তরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছিল।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রবিবার প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আগাম জামিন আবেদন প্রথম আলোর সম্পাদকের
১ বছর আগে
জামিন পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে জামিন দিয়েছেন আদালত। রবিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর ২০ হাজার টাকার মুচলেকায় এই জামিন মঞ্জুর করেন।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। এরপর সোমবার তার জামিন চেয়ে আরেকটি আবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, পরে ৩১ মার্চ সাংবাদিককে কেরাণীগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এদিকে ০১ এপ্রিল কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আগাম জামিন আবেদন প্রথম আলোর সম্পাদকের
গত ২৯ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে সাদা পোশাকের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা শামসকে তুলে নিয়ে যায়।
একই দিন প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন’ প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এক যুবলীগ নেতা।
২৯শে মার্চ আব্দুল মালেক (মশিউর মালেক) নামে একজন আইনজীবী প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী ক্যামেরাম্যান এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্যদের বিরুদ্ধে প্রিন্ট, অনলাইন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করার অভিযোগে একটি এফআইআর করেন।
এফআইআরে এই আইনজীবী আরও উল্লেখ করেছেন যে অভিযুক্তরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছিল।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রবিবার প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর প্রতিবেদককে গ্রেপ্তার নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে: মন্ত্রী
প্রথম আলোর সম্পাদকের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
১ বছর আগে
প্রথম আলোর প্রতিবেদককে গ্রেপ্তার নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে: মন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রথম আলোতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে লেখার কারণে সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, সংবাদপত্রটির প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে দেশের সব মানুষের প্রতিবাদ প্রতিবাদ সত্ত্বেও, সংশ্লিষ্ট পত্রিকা ক্ষমা চায়নি; বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গণে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক: তথ্যমন্ত্রী
রবিবার (০২ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের (বিএসপি) সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ ও দেশের বাইরের কিছু মানুষ বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে নিয়ে কটাক্ষ করে।
তিনি বলেন, কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
মন্ত্রী প্রথম আলোর এই বিশেষ প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেন, শিশুটি মন্তব্য করেনি, তবে তার জন্য ১০ টাকা পেমেন্ট পেয়েছে।
তিনি বলেন, উক্তিটি যেমন দেশের স্বাধীনতাকে উপহাস করেছে এবং তেমনি সেই ছেলেটিকেও নিগ্রহ করা হয়েছে। কারণ সংবাদের পাশাপাশি তার ছবি প্রকাশিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সব গণমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে, তবে এর জন্য কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনটি জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ লঙ্ঘন করেছে এবং দেশের স্বাধীনতাকে উপহাস করেছে।
আরও পড়ুন: অপরাধ-অপপ্রচারের সঙ্গে সাংবাদিকতাকে না মেলানোর আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা ও বিএনপি একজোট হয়ে ষড়যন্ত্র করছে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
প্রথম আলোর সম্পাদকের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (০২ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
এর আগে সকালে হাজির হয়ে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন মতিউর রহমান।
গত ২৯ মার্চ ঢাকার রমনা থানায় মামলাটি করা হয়।
গত ২৯শে মার্চ আব্দুল মালেক (মশিউর মালেক) নামে একজন আইনজীবী প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, একজন ‘সহকারী ক্যামেরাম্যান’ এবং অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ‘প্রিন্ট, অনলাইন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার’- অভিযোগে একটি এফআইআর দায়ের করেন।
এফআইআর-এ, আইনজীবী আরও উল্লেখ করেছেন যে অভিযুক্তরা ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছিল।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
বাদী বলেন, শামসুজ্জামান শামসের দেওয়া সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা ‘দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে এবং দেশে-বিদেশে সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।’
তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মামলার বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ৩ জনকে লিগ্যাল নোটিশ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আগাম জামিন আবেদন প্রথম আলোর সম্পাদকের
১ বছর আগে
সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর থেকে কেরাণীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর
রাজধানীর রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার প্রথম আলোর সাভার প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফের কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তায় একটি মাইক্রোবাসে তাকে কেরাণীগঞ্জে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিআইডি প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কেরাণীগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছিল।
অন্যদিকে, ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলা ছাড়াও শনিবার শামসুজ্জামানকে শিশু নির্যাতন আইনে আরও একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
কাশিমপুর কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, শুক্রবার রাতে সাংবাদিক শামসুজ্জামান কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ এ ছিলেন। শনিবার দুপুরে শামসুজ্জামানকে আবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার জেল সুপার সুভাষ কুমার জানান, শনিবার বিকালে তিনি আমাদের কারাগারে এসে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা
১ বছর আগে
বাংলাদেশকে হেয় করতে প্রথম আলো ও বিএনপি একে অপরের পরিপূরক: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি ও প্রথম আলো পত্রিকা একে অপরের পরিপূরক উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারকে হেয় করার জন্য বাংলা ভাষার এই সংবাদপত্রটি বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে হেয় করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা আরেকটি পঁচাত্তর তৈরি করতে চায়। তাদের লক্ষ্য আগামী নির্বাচনে কারচুপি করা এবং একটি অনির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা। স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর প্রকাশিত সংবাদটি এই ষড়যন্ত্রের অংশ।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতারা কখনো দেশ ছেড়ে পালাবেন না: ওবায়দুল কাদের
কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় বলে ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
যৌথসভায় ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলী ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, প্রথম আলো যা করেছে তা শুধু দেশের স্বাধীনতার প্রতি প্রশ্ন তোলা নয়, ফৌজদারি অপরাধ।
তিনি বলেন, দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য পত্রিকাটি হলুদ সাংবাদিকতা করেছে। সংবাদপত্রের সম্পাদক ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশনের দায় এড়াতে পারেন না।
তিনি বলেন, ভুল খবরের জন্য ক্ষমা না চেয়ে পত্রিকাটি চরম ঔদ্ধত্য দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের
দেশে অরাজকতা সৃষ্টির দিকে এগোচ্ছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
১ বছর আগে
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিক শামসকে ছেড়ে দেওয়া হয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, গত ২৬ মার্চ প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে ছেড়ে দেয়।
তিনি বলেন, ‘এরপর বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি মামলা হওয়ার পর তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও মামলা হচ্ছে বলে আমরা শুনেছি।’
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাংবাদিককে আটক রাখা এবং ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কোনো তথ্য না পাওয়া সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গতকাল স্পষ্ট করে বলেছি, একটা সংবাদের ভিত্তিতে দুই-একটা মামলা হচ্ছে বলে আমি শুনেছি। কিন্তু মামলাগুলো কোথায়-কখন হচ্ছে সেটার বিস্তারিত তথ্য আমার কাছে এখন পর্যন্ত নেই।’
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠালেন আদালত
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব সাংবাদিক সত্য তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ করেন, তাদের ভয় পাওয়ার দরকার নেই।’
গত ২৯ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে শামসকে সাদা পোশাকে সিআইডি তুলে নিয়ে যায়।
বিকালে দৈনিক প্রথম আলোতে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন’ প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন যুবলীগ নেতা।
বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত শামসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস আদালতে
প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
১ বছর আগে