তিনি আরও বলেন, নাইমুল আবরার হত্যা মামলা গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের জন্য (প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে) মামলা হয়নি, ফৌজদারি অপরাধের কারণে হয়েছে এবং আদালত সেখানে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
‘আদালত স্বাধীন, (তারা) কোথায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করবে, কোথায় করবে না, সেটা আদালতের এখতিয়ার। এটির সাথে কোনভাবেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সম্পর্ক নেই,’ উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
রবিবার তথ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মোহাম্মদপুর রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিরুদ্ধে দেশের ৪৭ জন বিশিষ্টজনের বিবৃতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। বাংলাদেশের ৪৭ জন বিশিষ্টজন যে বিবৃতি দিয়েছে এটা বড় কোন বিষয় নয়। বাংলাদেশের এই ৪৭ জন ছাড়াও আরও হাজার হাজার বিশিষ্টজন রয়েছে। তারা তাদের বিবৃতি দিতেই পারে।’
‘তবে কোনো অবহেলাজনিত মৃত্যু হওয়ার পর সেটা যদি লুকানোর অপচেষ্টা করা হয় বা একই সাথে পোস্টমর্টেম ছাড়া তা যদি দাফন করা হয়, এগুলো তো নিশ্চয়ই অপরাধ,’ যোগ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘প্রথমত অবহেলাজনিত মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত পর্যায়ে আছে। এরপর সেটিকে লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক যারা ছিল, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। অভিযোগ সত্য মিথ্যা সেটি ভিন্ন বিষয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আছে আর যারা দায়ী তাদের যাতে সঠিক বিচার হয় সেজন্য আমি আশা করি এই ৪৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি আরেকটা বিবৃতি দেবেন।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধের ব্যাপারে চেষ্টা করেছে। তাদের বিবৃতি গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নয়। ফিলিস্তিনে যেখানে পাখি শিকারের মতো যখন মানুষ হত্যা করা হয়, তখন তারা কোন বিবৃতি দেয় না। ফলে তাদের বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন আছে ‘
ভারত সফর প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি ছিল মূলত বাংলাদেশ বেতারের সম্প্রচার কার্যক্রম উদ্বোধন সংশ্লিষ্ট। আমরাও একই সাথে বিশেষ চ্যানেলের মাধ্যমে আকাশবাণী সম্প্রচার করছি।’