ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন সোমবার দুপুরে মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকা থেকে এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত নুর উদ্দিন সুমন ওরফে নুরুজ্জামান অপুকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পরে তার দেয়া তথ্যে মিলনের মোটরসাইকেল ও মোবাইল উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
মিলন হত্যায় নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে সুমন, বলেন বাতেন।
হত্যার বিষয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নির্জন ফ্লাইওভার দিয়ে না গেলে হয়তো বা মিলন খুন হতেন না।
ঘটনার দিন সুমন মালিবাগ থেকে গুলিস্তান যাওয়ার জন্য মিলনের সাথে ৫০ টাকায় চুক্তি করে। গন্তব্যে যাওয়ার পথে মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভারে ওঠার পর সুমন সিগারেট ধরানোর জন্য মোটরসাইকেল থামাতে বলে।
সেখানে মোটরসাইকেল থামাতে রাজি না হলে মিলনের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে সুমন। একপর্যায়ে সুমন অ্যান্টি কাটার দিয়ে মিলনের গলাকেটে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
সুমনের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সে যখন মোটরসাইকেল নিয়ে শাহজাহানপুরের দিকে যাচ্ছিল তখন মিলন ‘আমাকে বাঁচাও’ বলেও চিৎকার করছিল। কিন্তু সে (সুমন) জানতো না যে মিলন মারা গেছে।
মতিঝিল অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার আতিকুর রহমান বলেন, মোটরসাইকেল ছিনতাই ছাড়া সুমনের আর কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। মোটারসাইকেলের পাশাপাশি সে মিলনের মোবাইল ফোনও নিয়ে যায়। পরে নিরাপত্তাকর্মী মোশাররফ হোসেনের কাছে আড়াই হাজার টাকায় সেটি বিক্রি করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইএমইআই নাম্বার দিয়ে মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে মোশাররফকে আটক করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শাহজাহানপুরের গুলবাগ এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুমনের নিজের কোনো মোটরসাইকেল না থাকলেও তার কাছ থেকে ৯টি হেলমেট উদ্ধার করা হয়।
ফ্লাইওভারে নিরাপত্তা নিশ্চিতে নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে বাতেন বলেন, ফ্লাইওভারের শেষে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছে ডিএমপি। ‘এছাড়া ফ্লাইওভার তদারকির দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। সুতরাং, এটি তাদের ওপর নির্ভর করে।’