বৃহস্পতিবার মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত অথবা সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বই মেলায় থাকবে না। এমন বই কোনো দোকানে পাওয়া গেলে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’
এ ধরনের বই প্রকাশ বন্ধে গোয়েন্দা বাহিনী তৎপর থাকবে বলে জানান তিনি।
আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, কোনো লেখক, প্রকাশক, ব্লগার যদি মনে করে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রয়োজন তাহলে তাদের অনুরোধে পুলিশ আলাদাভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।
বই মেলায় এবং চারপাশে অস্থায়ী দোকান স্থাপনে এবং বিক্রেতাদের প্রবেশ রোধে পুলিশ পদক্ষেপ নেবে বলে জানান তিনি।
ডিএমপি প্রধান বলেন, নারী দর্শনার্থীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সেজন্য মেলায় পুলিশের বিশেষ টিম দায়িত্ব পালন করবে। অপরাধীদের শাস্তি দিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি অথবা জঙ্গি হামলা মোকাবেলায় সোয়াট টিম সতর্ক থাকবে বলে জানান তিনি।
পাশাপাশি বই মেলার ভেতরে ও বাইরে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পুলিশের বিশেষ টিম থাকবে বলে জানান ডিএমপি প্রধান।
সাদা পোশাকের পুলিশ, ডিবি ও এসবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মেলার ভেতরে ও বাইরে কাজ করবে, যোগ করেন তিনি।
আগের বছরগুলোর মতো এবারও আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীদের মেলায় প্রবেশ করতে হবে এবং ওয়াচটাওয়ারের মাধ্যমে তাদের চলাচল পর্যবেক্ষণ করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বাংলা একাডেমি, দোয়েল চত্বর এবং রাজু ভাস্কর্যসহ পুরো এলাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।