এছাড়া মাদরাসার অধ্যক্ষ ওলিয়ার রহমানকে (৫৫) উপজেলার ফয়লা এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মামলার অপর দুই আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে বলে পুলিশ জানায়।
নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী যে মাদরাসা থেকে পড়ালেখা করে ওলিয়ার রহমান সেই মাদরাসার অধ্যক্ষ। ওলিয়ার রহমানের বাড়ি বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান জানান, ১১ বছর বসয়ী ওই মেয়েটির বাড়ি নওগাঁ জেলায়। সে রামপালে একটি মাদরাসার হোস্টেলে থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। পাশ্ববর্তী মুদি দোকানি ফেরদৌস শেখ গত ১১ এপ্রিল রাতে কৌশলে ওই মাদরাসায় ঢুকে মেয়েটিকে তুলে একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি ঘটনা সহপাঠিদের জানায়। এরপর মাদরাসা অধ্যক্ষ এবং হোস্টেল সুপারসহ অন্যরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
এঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই মেয়েটির মামা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে শুক্রবার বিকালে রামপাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মুদি দোকানি ফেরদৌসকে ধর্ষক হিসেবে প্রধান আসামি করা হয়।
এছাড়া মাদরাসা অধ্যক্ষ ওলিয়ার রহমান, তার স্ত্রী এবং মাদরাসার হোস্টেল সুপারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ওই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অপর দুই আসামিকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে ওসি জানান।