নিহত সন্ত্রাসী জ্ঞ্যান মংকর চাকমা (৪৫) রাঙ্গামাটি জেলার বাসিন্দা। সে ওই এলাকার সন্ত্রাসী গ্রুপের প্রধান অর্থ সংগ্রাহক বলে জানা গেছে।
সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যদের সহযোগিতায় চট্টগ্রামের র্যাব ৭ এর একটি দল এ অভিযান চালায়।
সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়নের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার শাহিদুল এমরান জানান, সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা যৌথভাবে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। এসময় তাদের সাথে যৌথবাহিনীর গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীরা সীমান্তে অবস্থান নেয়ার সংবাদে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতা উদ্দিন আহম্মদ জানান, গত ১৮ মার্চ রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর ওই সন্ত্রাসী গ্রুপটি বান্দরবান সীমান্তে গা ঢাকা দেয় এমন খবর ছিল যৌথ বাহিনীর কাছে।
সন্ত্রাসী গ্রুপটি মিয়ানমার সীমান্ত থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে বান্দরবানের লেমুছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় যৌথ বাহিনীর সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে জ্ঞ্যন মংকর চাকমা নামের এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়।
অন্য সন্ত্রাসীরা গুলির মুখে পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে ৭টি এসএমজি, ম্যাগজিন, গুলি ও চাঁদার টাকা উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১টি ৫.৫৬ এমএম এসএমজি, ৫টি ৯ এমএম এসএমজি ও ১টি একে ৩২ এসএমজি। সাথে রয়েছে ১১টি অস্ত্রের ম্যাগজিন, ৪৩৭ রাউন্ড উদ্ধারকৃত অস্ত্রের গুলি ও ৪ লাখ ৩৬ হাজার নগদ টাকা।
এ ঘটনার পর ওই এলাকাটি যৌথ বাহিনী ঘিরে রেখেছে। সীমান্তে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। সন্ত্রাসীরা যাতে সীমান্ত পার হয়ে মিয়ানমারে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে টহল বাড়ানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক থেকে নির্বাচনী কাজ শেষে প্রিসাইডিং অফিসারসহ অন্যান্যরা খাগড়াছড়ি ফেরার পথে একদল সন্ত্রসী গাড়ি বহরে ব্রাশ ফায়ার করে। এতে প্রিসাইডিং অফিসারসহ সাতজন নিহত হয়।