অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার বাকি তিন আসামি পলিক্যাম ল্যাবরেটরিজের ব্যবস্থাপক এএমএম গোলাম কাদের এবং ফার্মাসিস্ট মো. মাহবুবুল আলম ও দেলোয়ার হোসেন খালাস পেয়েছেন।
মামলার আরেক আসামি পলিক্যামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুন-অর-রশিদ মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ড্রাগ আদালতের বিচারক সৈয়দ কামাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
জামিনে থাকা আবদুর রব রায় ঘোষণার আগে আদালতে উপস্থিত হন। তিনি রায়ের পর আপিল করার শর্তে জামিন চাইলে আদালত এক মাসের জামিন মঞ্জুর করে।
খালাস পাওয়া আসামিদের মধ্যে মাহবুবুল ও দেলোয়ারও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর খালাসপ্রাপ্ত আসামি কাদের পলাতক রয়েছেন।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, প্যারাসিটামল সিরাপে বিষাক্ত উপাদান থাকায় ১৯৮৯ থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে বহু শিশু মারা যায়। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে ১৯৯২ সালের ২৩ নভেম্বর কামরাঙ্গীরচরে পলিক্যামের কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্যারাসিটালের নমুনা সংগ্রহ করে ওষুধ প্রশাসন। পরে পরীক্ষায় প্যারাসিটামলের মধ্যে ক্ষতিকর ডাই-ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়ায় মামলা করা হয়।
বিষয়টি উদঘাটন হওয়ার পর পলিক্যামসহ পাঁচ কোম্পানির তৈরি প্যারাসিটামল সিরাপে ডাই-ইথিলিন গ্লাইকলের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
এ ঘটনায় ওষুধ প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়ক মো. আবুর খায়ের চৌধুরী ১৯৯২ সালের ১৯ ডিসেম্বর পলিক্যামের পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। ১৯৯৪ সালের ৬ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে আসামি হারুন হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন করেন। দীর্ঘ ১৮ বছর মামলাটি হাইকোর্টে স্থগিত থাকার পর ২০১২ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট ফৌজদারি রিভিশন খারিজ করে দেয়। পরে ২০১৫ সালের ৫ নভেম্বর পুনরায় মামলার কার্যক্রম শুরু এবং গত ২৪ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শেষ হয়।