চাকরির খবর বা ভর্তি পরীক্ষা বা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলে মিষ্টির দোকানগুলোতে ভিড় লেগে যায়। কিন্তু একবার ভাবুন তো, যদি মিষ্টির প্যাকেটের ওজনই ১৯২ গ্রাম হয় তাহলে বিষয়টা কেমন হবে!
ধরুন আপনি ১৯২ গ্রামের প্যাকেটে ৬০০ টাকা কেজি দরে এক কেজি মিষ্টি কিনলেন। তাহলে আপনার পকেট থেকে প্রায় ১২০ টাকা এমন চলে গেল। তার মানে হলো-শুধু আপনি ওই মিষ্টির প্যাকেটটিই কিনলেন ১২০ টাকা দিয়ে।
আর এভাবেই লোক ঠকিয়ে, ওজনে কারচুপি করে ব্যবসা করছিলেন শরিয়তপুরের এক মিষ্টি ব্যবসায়ী।
বুধবার দুপুরে জাজিরা উপজেলার ব্রাক সমবায় বাজার, বিকে নগর আনন্দ বাজার ও নাওডোবা বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শরীয়তপুর জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা।
এসময় অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য প্রস্তুত ও সংরক্ষণ, ওজনে কারচুপি, মেয়াদোত্তীর্ণ পন্য বিক্রি এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ইত্যাদি অপরাধে প্রশাসনিক প্রতিকার হিসেবে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনার সময় দেখা যায়, ভাই ভাই মিষ্টির দোকানের একটি প্যাকেটের ওজনই ছিল ১৯২ গ্রাম।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শরীয়তপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুজন কাজী জানান, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শরীয়তপুর জেলা কার্যালয়ের নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে জাজিরা উপজেলার ব্রাক সমবায় বাজার, বিকে নগর আনন্দ বাজার ও নাওডোবা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় বাজারের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ব্রাক সমবায় বাজারে টমেটোসহ অন্যান্য সবজিতে ক্ষতিকর রাসয়নিক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের নির্দেশনা দেয়া হয়।
অভিযান শেষে নাওডোবা বাজারে ব্যবসায়ীদেরকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর আলোকে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয় এবং এ সংশ্লিষ্ট লিফলেট বিতরণ করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন জেলা বাজার কর্মকর্তা মো. ইউসুফ হোসেন ও শরীয়তপুর জেলা পুলিশের একটি টিম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন নাওডোবা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বেপারী।