ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, বেঁচে যাওয়া শ্রমিকদের প্রায় ৫১ শতাংশ এখনো কর্মহীন রয়েছেন এবং অনেক হতাহতদের পরিবার কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি।
এদিকে রানা প্লাজা ধসের ৬ বছর পূর্তিতে সাভার বাজার বাস স্ট্যান্ড এলাকার ধসেপড়া রানা প্লাজার সামনে ১১ দফা দাবিতে মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশন কর্মসুচি পালন করছে আহত শ্রমিকরা।
রানা প্লাজার আহত শ্রমিকদের সংগঠন ‘রানা প্লাজা সার্ভাইবার এসোসিয়েশনের’ ব্যানারে আহত শ্রমিকরা এ অনশনে অংশ নিয়েছে।
শ্রমিকদের ১১ দফা দাবিগুলো হচ্ছে- রানা প্লাজার সকল ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, সকলকে পুনর্বাসন, আজীবন চিকিৎসা সেবা, ২৪ এপ্রিলকে জাতীয় রানা প্লাজা শোক দিবস ঘোষণা, আহত ও নিহত সকল শ্রমিকদের সন্তানদের লেখাপড়ার দায়িত্ব, সকল আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত, উদ্ধার কর্মীদের চিকিৎসা করাসহ আরও বেশ কয়েকটি দাবি।
রানা প্লাজা সার্ভাইবার এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহমুদুল হাসান রিদয় জানান, তাদের দাবিগুলো মানা না হলে তারা আমরণ অনশন কর্মসুচি পালন করে যাবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের ৯ তলা ভবন রানা প্লাজায় থাকা গার্মেন্টস করখানা ধসে পড়ে এক হাজার ১৭৫ জনের মৃত্যু হয়। পোশাক খাতের মর্মান্তিক এ ঘটনা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।