বুধবার আন্তর্জাতিক মানবপাচার বিরোধী দিবস-২০২০ উপলক্ষ্যে অনলাইনে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশনের (এসডিসি) সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও উইনরক ইন্টারন্যাশনালের আশ্বাস প্রকল্প যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মানবাধিকার কমিশনার বলেন, মানবপাচার একটি জঘন্যতম অপরাধ। এই অপরাধ নির্মূলের বিকল্প নেই। এজন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। সরকারের স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কার্যকরী উদ্যোগই পারে মানবপাচার কমিয়ে আনতে।
বিদেশ গমনেচ্ছুদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়ে নাসিমা বেগম বলেন, ‘যারা বিদেশ যেতে চায় তদের প্রশিক্ষণটা খুব জরুরি। কারণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষ সহজে পাচারের শিকারের হয় না।’
‘যারা পাচারের শিকার হন তারা বিভিন্ন নির্যাতনের ফলে মানসিকভাবে ট্রামাটাইজড হয়ে যান। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নজর দিতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
মানবপাচার বিষয়ক জাতীয় কমিটির দায়িত্বে থাকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু বকর সিদ্দিক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মোজাফফর আহমেদ, ইনসিডিনের পরিচালক একেএম মাসুদ আলী, জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের কান্ট্রি ডিরেক্টর তরিকুল ইসলাম, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান, এনজিও ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন ও উইনরক ইন্টারন্যাশনালের আশ্বাস প্রকল্পের টিম লিডার দীপ্ত রক্ষিত বক্তব্য রাখেন।
এছাড়ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইশরাত শামীম, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষক কামাল চৌধুরী, সুইস এজেন্সী ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশনের (এসডিসি) ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার নাদিম রহমান ও মানবপাচার প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসকরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।