মানবপাচার
মানবপাচার রোধে শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মানবপাচার রোধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠাসহ শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রস্তুত করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। মানবপাচারে বন্ধ করতে বাংলাদেশ তার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রবিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের সুরমা হলে মানবপাচার সংক্রান্ত বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) সাব-গ্রুপের তৃতীয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা জানান, মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি করার জন্য শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পাচারের বিপদ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের সচেতন করার করার জন্য বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে বলে তথ্য দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মানবপাচার মোকাবেলায় জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, মানব পাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের দক্ষতার সাথে শনাক্তকরণ ও তাদের চাহিদা মূল্যায়ন করে যথাযথ সেবা দেওয়ার জন্য একটি জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। অনলাইনে তৈরি এই প্লাটফর্মে সেবাদাতাদের সঙ্গে ভুক্তভোগীদের সংযুক্ত করা হবে।
পাশাপাশি মানবপাচার সংশ্লিষ্ট বিচারকাজ দ্রুত শেষ করার জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মানব পাচারবিরোধী প্রচেষ্টার জন্য টিআইপি হিরো অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশি আল-আমিন নয়ন
বিমসটেক জোটের সদস্য দেশগুলোসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে মানবপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করার জন্য পারস্পরিক আইনি সহায়তা ব্যবস্থা আরও বিস্তৃত করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
এ সময় মানব পাচার বন্ধ করতে বিমসটেকের অন্যান্য দেশগুলো যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা অবগত হয়ে দেশের পাচারাবিরোধী কৌশল আরও শক্তিশালী করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘পাচার রোধে সরকারের পদক্ষেপগুলো এড়িয়ে চলতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করে পাচারকারীরা। তারা সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক সংকট ও দারিদ্র্যকে কাজে লাগায়। এ কাজে প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে তাদের গোপন কার্যকলাপ এগিয়ে নেয়ার জন্য অভিবাসন রুটগুলোকে কাজে লাগাতে থাকে।’
এই অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি সম্মিলিত ও কৌশলগত কর্মপদ্ধতি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য ও সেবাসমূহ বিনিময়ের মাধ্যমে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিমসটেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সম্মিলিত প্রয়াস আমাদের পাচার বিরোধী কৌশলকে আরও শক্তিশালী করতে সক্ষম করবে।’
আরও পড়ুন: দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এ সময় আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশকে বিমসটেকের সভাপতির দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভায় বিমসটেকভুক্ত সাত সদস্য দেশের (বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান) মানব পাচার সংক্রান্ত সাব-গ্রপের সংশ্লিষ্ট সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।
১১ দিন আগে
মানবপাচার মামলায় মিল্টন ৪ দিনের রিমান্ডে
মানবপাচারের মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অপর এক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ কামাল হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করলে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম শান্তা আক্তার এ আদেশ দেন।
মানবপাচারের মামলায় মিল্টনের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাইতুল আলম।
মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, ঢাকা মহানগর হাকিম মেহেরা মাহবুব আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: জামিন পাননি দ্বীন ইসলাম, রিমান্ড শেষে জেলে আম্মান
এর আগে গত ২ মে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতির মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বুধবার (১ মে) রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে মিল্টনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
বিভিন্ন পুরস্কারের মাধ্যমে জনসেবার স্বীকৃতি পাওয়া সমাদ্দার বড় ধরনের অনিয়মে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রোফাইলে অসহায়দের জন্য বৃদ্ধাশ্রম তৈরি এবং গৃহহীনদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে কথা প্রচার করা হলেও, তার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ সামনে এসেছে।
অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অবৈধ বাণিজ্য, বিশেষ করে কিডনি কাটা ও বিক্রি করা।
এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই এ নিয়ে মুখ খোলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠে। যার পরিণতিতে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুর বিভাগের ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ কামাল পাশা বাদী হয়ে মিরপুর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ডে
মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজি, ২ দিনের রিমান্ডে পুলিশ সদস্য
৩৪৬ দিন আগে
মানবপাচার মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার লঙ্ঘন: আন্তোনিও গুতেরেস
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মানবপাচার হলো মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, সংঘাত ও অস্থিতিশীলতার সময়ে দুর্বলতার সুযোগে মানুষ এর শিকারে পরিণত হয় এবং তখন এর মাত্রাও বৃদ্ধি পায়।
রবিবার (৩০ জুলাই) বিশ্ব মানবপাচার বিরোধী দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে জাতিসংঘ মহাসচিব এসব কথা বলেন। ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক প্রস্তাবের মাধ্যমে প্রতি বছর ৩০ জুলাই বিশ্ব মানবপাচার বিরোধী দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পালন করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়।
গুতেরেস বলেন, অসমতা বাড়ছে, জলবায়ু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাস্তুচ্যূতির হার যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি। আর এসকল কারণে অনেক বেশি মানুষ মানব পাচারকারীদের শিকারে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগীদের সিংহভাগই নারী ও শিশু। যাদের অনেকেই নৃশংস সহিংসতা, জোরপূর্বক শ্রম এবং ভয়াবহ যৌন নিপীড়ন ও শোষণের শিকার হয়।
তিনি আরও বলেন, তা সত্ত্বেও মানব পাচারকারীরা এখনো মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। তাদের অপরাধ দমনের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে না। এই বিষয়ে অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে।
আরও পড়ুন: আসুন গর্ব করে ঘোষণা করি, আমরা নারীবাদী: গুতেরেস
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমাদের অবশ্যই শনাক্তকরণ ও সুরক্ষায় আরও বিনিয়োগ করতে হবে। মানুষকে পণ্য বানানো অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে হবে এবং ভুক্তভোগীদের জীবন পুনর্গঠনে সহযোগিতা করতে আমাদের অবশ্যই আরও বেশি কিছু করতে হবে।
তিনি বলেন, এবারের এই বিশ্ব মানবপাচার বিরোধী দিবসে আসুন আমরা মানবপাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের শনাক্ত, সুরক্ষা ও সহযোগিতা দিতে এবং পাচারের শিকার কোনো ভুক্তভোগী যেন পেছনে পড়ে না থাকে, তা নিশ্চিতে আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করি।
তিনি আরও বলেন, আসুন একসঙ্গে আমরা এমন বিশ্ব গড়ে তুলি, যেখানে কাউকে কখনো বেচা-কেনা কিংবা শোষণ করা হয় না।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নির্যাতনের বিচারের আহ্বান গুতেরেসের
অভিবাসনের বৈশ্বিক চুক্তি ‘পথ দেখাচ্ছে’: গুতেরেস
৬২৬ দিন আগে
সিদ্ধিরগঞ্জে মানবপাচার চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে শুক্রবার দুপুরে মানবপাচার চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় ভুক্তভোগী তিনজনকে উদ্ধার করা হয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব ১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের হিল্লাপাড়ার তোফাজ্জল হোসেন ইরানের স্ত্রী ঝুমা আক্তার (২৮), রিপন শেখের স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৯), নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে রহমানের মেয়ে মিনারা রিনা (৩৫), সিদ্ধিরগঞ্জের মৃত রাজ্জাক মিস্ত্রির ছেলে শাহজামাল (৪০), চাঁদপুরেএ ফরিদগঞ্জের চরচন্নার শাহজামালের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার (২৭) ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজির মৃত শহিদুলের স্ত্রী কমলি খাতুন (৩২)।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ১১ এর অধিনায়ক জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকালে এক নারী ভুক্তভোগী র্যাব -১১ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে হাজির হয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন যে, মানব পাচারকারীরা তাকে বিউটি পার্লারে কাজ দেয়ার কথা বলে যশোর বেনাপোল বর্ডারে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে তারা তাকে ভারত সীমান্তের কাঁটাতার পার হয়ে যাওয়ার কথা বললে তিনি পাচারের বিষয়টি বুঝতে পারেন। এরপর তিনি যেতে রাজি না হওয়ায় পাচারকারীরা তাকে ব্যাপক মারধর করেন। এক পর্যায়ে তিনি কৌশলে পালিয়ে বাসে করে যশোর থেকে নারায়ণগঞ্জ চলে আসেন।
অভিযোগ পেয়ে র্যাব ১১ ভুক্তভোগীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া (মসজিদ রোড) এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পাঁচজন নারী ও একজন পুরুষ পাচারকারীকে আটক করে।
তিনি জানান, অভিযান পরিচালনাকালে আরও দুই নারী ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয় যাদের মধ্যে একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক। ভুক্তভোগীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাদেরকেও উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচারের জন্য পাচারকারীরা ওই স্থানে নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে এবং আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ১১ বছরে ধরে পলাতক মাদক মামলার আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
উত্তরা থেকে সিরিয়াল রেপিস্টকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
৯৮৫ দিন আগে
ভারতীয় পপ গায়ক দালের মেহেন্দির ২ বছরের কারাদণ্ড
মানবপাচার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর প্রখ্যাত পপ গায়ক দালের মেহেন্দিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য পাঞ্জাবের একটি আদালত।
যুক্তরাষ্ট্রে মানবপাচারের অভিযোগে বৃহস্পতিবার পুরনো মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে তার আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
২০১৮ সালে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে দালের জামিনে ছিলেন।
আইনজীবী টিএস ভার্গব স্থানীয় মিডিয়াকে বলেছেন, ‘আদালত সাজার বিরুদ্ধে আপিল খারিজ করার পর এবং জামিন বাতিল করার পর গায়ককে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছিল। তাকে এখন কারাগারে যেতে হবে।’
২০০৩ সালে পাঞ্জাব পুলিশ এই মামলাটি দায়ের করে। পরে তদন্তে জানা যায়, মেহেন্দি নিজের দলের সদস্য হিসেবে ১০ জন ভারতীয়কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যান এবং বেআইনিভাবে তাদের ছেড়ে দিয়ে আসেন।
৫৪ বছর বয়সী এই গায়ক ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে এবং ২০০০ সালের প্রথম দিকে পাঞ্জাবের লোকনৃত্য ভাংড়া সংগীতকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করতে সহায়তা করেন। তিনি বেশ কয়েকটি বলিউড ফ্লিকেও গান গেয়েছেন। দালের একজন ভারতীয় পপ ব্যক্তিত্ব যিনি অবিরাম নেচে নেচে গান গাওয়া, স্বাতন্ত্র্যসূচক কন্ঠস্বর,পাগড়ি এবং দীর্ঘ আলখাল্লার জন্য পরিচিত।
পড়ুন: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে পালাতে সাহায্য করার কথা অস্বীকার ভারতের
সিঙ্গাপুর পৌঁছেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
১০০৭ দিন আগে
প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে আসা ভারতীয় সেই তরুণীকে ফিরতেই হলো
প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা এক ভারতীয় তরুণীকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে হস্তান্তর করা হয়ছে। দীর্ঘ ৮ মাস বাংলাদেশের সেফহোমে থাকার পর মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টার দিকে দর্শনা স্থলবন্দর দিয়ে প্রীতি পন্ডিত নামের ওই তরুণীকে ভারতীয় থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ পুলিশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের পক্ষে বিএসএফ’র গেঁদে কোম্পানী কমান্ডার অশোক মেহি, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ গোপাল চন্দ্র দে, কাস্টমস ইন্সপেক্টর অজয় নারায়ণ, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর বাপিন মূর্খাজি, ডিআইও সাধন মণ্ডল ও মানবাধিকার কর্মী চিত্তরঞ্জন দে। বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন বিজিবির আইসিপি কমান্ডার সুবেদার শহিদুল ইসলাম, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আব্দুল আলিম, দর্শনা থানার (উপপরিদর্শক) এসআই হারুন অর রশীদ, রংপুর সিআইডি ইন্সপেক্টর এনায়েতুর রহমান ও এসআই রাব্বি।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় তরুণী
জানা যায়, প্রেমের টানে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল প্রীতি পন্ডিত। প্রেমিক মিলনের বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলায়। তারপর তার পরিবার কৃষ্ণনগর থানায় জিডি করে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। অবশেষে সন্ধান মেলে প্রীতির। রংপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ প্রীতিকে উদ্ধার করে রংপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখে। সেখানেই ৮ মাস ছিল প্রীতি।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা ও কৃষ্ণনগর মিলনীনি গার্লস হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। তার বাবা মণ্টু পন্ডিত ও মা ইতি পন্ডিত থাকতেন কৃষ্ণনগর শহরের ভাতজংলা এলাকায়।
রংপুরের সিআইডি ইন্সপেক্টর এনায়েতুর রহমান জানান, ২৬ জুন সকালে রংপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ উদ্ধার করে প্রীতিকে। সেই থেকে তাকে রাখা হয় রংপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে। প্রেমিক মিলনের সঙ্গে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছিল প্রীতি। প্রীতিকে উদ্ধারের পর তার প্রেমিক মিলন (২২) ও তার সহযোগী হাবিবুরের (২৩) বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা করে পুলিশ। পরে তাদের আটক করা হলে জামিনে মুক্তি পায় তারা।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় কিশোরীকে ফেরত
১১৪৯ দিন আগে
মানবপাচার প্রতিরোধে সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ‘মানবপাচার একটি মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে এবং এই ভয়াবহ অপরাধের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে। অভিবাসীদের পাচার এবং চোরাচালানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সব পক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহন প্রয়োজন।’
পররাষ্ট্র সচিব বুধবার ‘বিশ্ব মানবপাচার বিরোধী দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে এক ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে আলোচনায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইউনাইটেড নেশনস নেটওয়ার্ক অন মাইগ্রেশনের (বিডিইউএনএনএম) অধীনে কাউন্টার ট্রাফিকিং ইন পার্সন টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপ (সিটিআইপিটিডব্লিউজি) এই ওয়েবিনারটির আয়োজন করে। যাতে সহযোগিতা করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত এবং ইউএনওডিসি ও আইওএম কর্তৃক বাস্তাবায়িত গ্লো-অ্যাকট বাংলাদেশ প্রকল্প। বাংলাদেশ সরকার, বিডিইউএনএনএম, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা এই ওয়েবিনারে আলোচনায় যোগ দেন।
বিশ্ব মানবপাচার বিরোধী দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য `ক্ষতিগ্রস্তদের কণ্ঠস্বর পথ দেখায়’ (ভিক্টিমস ভয়েজেস লিড দ্য ওয়ে) যা মানব পাচারের শিকার হয়ে ফিরে আসাদের ক্যাম্পেইনের কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে, তাদের বক্তব্য শোনা এবং সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণের ওপর বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। এ ওয়েবিনারে মানবপাচারের শিকার হয়ে বেঁচে ফেরাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি প্রতিবছর আনুমানিক ৭ লাখ বাংলাদেশি বিদেশে অভিবাসনকালে যে ঝুঁকির সম্মুখীন হন, তার ওপর আলোকপাত করা হয়। বিপদে থাকা অভিবাসীরা প্রায়শই পাচারকারীদের টার্গেট হয়ে থাকে। অনেকেই পাচারের শিকার হয়ে ঋণের জালে আবদ্ধ, জোরপূর্বক শ্রম, যৌন শোষণ, জোরপূর্বক বিবাহ এবং আধুনিক দাসত্বের মত পরিস্থিতির শিকার হয়।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘ করোনা অভিবাসীদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হচ্ছে। এই মহামারি কিশোর-কিশোরীসহ, নারী-পুরুষ এবং শিশুদের ওপর বিভিন্নভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবাইকে হাতে হাত রেখে এক হয়ে কাজ করতে হবে। চলমান মহামারির সংক্রমণ কমাতে চলাচলের ওপর আরোপিত বিধি-নিষেধ মানবপাচারের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং বাংলাদেশি অভিবাসীদের গমনাগমনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ফলে এ বছর বিশ্ব মানবপাচার বিরোধী দিবস বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
দালিলিক প্রমাণে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ মানবপাচারের শিকার পুরুষ, নারী এবং শিশুদের জন্য একটি উৎস, ট্রানজিট এবং গন্তব্য দেশ। বাংলাদেশ সরকার নীতিমালা প্রণয়ন ও টাস্কফোর্সকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে মানবপাচার প্রতিরোধে সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জিও-এনজিও ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন কমিটি টু কমব্যাট হিউম্যান ট্রাফিকিং, কমিটি টু মনিটর দ্য ন্যাশনাল প্লান অব অ্যাকশন ফর কমব্যাটিং হিউম্যান ট্রাফিকিং ২০১৮-২০২২, দ্য রেসকিউ, রিকভারি, রিপ্যাট্রিয়েশন, অ্যান্ড ইন্ট্রিগ্রেশন (আরআরআরআই) টাস্কফোর্স, দ্য ভিজিলেন্স টাস্কফোর্স, এবং দ্য কাউন্টার ট্রাফিকিং কমিটিজ অ্যাট ডিস্ট্রিক্ট, সাব-ডিস্ট্রিক্ট, অ্যান্ড ইউনিয়ন লেভেল।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসন পদক পেল প্যারিস দূতাবাস
ওয়েবিনারে বক্তারা মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়তে সরকার, বৈশ্বিক অংশীদার, বেসরকারি খাত এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের প্রতি জোরালো এবং অধিকার ভিত্তিক পন্থা অবলম্বনের আহবান জানান, যাতে শোষণ প্রতিরোধ করা যায় এবং মানবপাচার সংগঠনের ক্ষেত্রগুলো কমিয়ে আনা যায়। কর্মসংস্থান হ্রাস, আয় হ্রাস, জীবিকা নির্বাহের সীমিত উপায় এবং দেশব্যাপী স্কুল বন্ধের ফলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যা মানবপাচারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। মানবপাচারের মূল কারণগুলো তীব্র হওয়ার পাশাপাশি, আশঙ্কা করা হচ্ছে যে বাংলাদেশে অপব্যবহার এবং শোষণ বাড়ছে। সম্প্রতি পর্যবেক্ষণ করা প্রবণতা এবং মিডিয়া শিরোনামগুলোর ওপর নজর দিলে দেখা যায় যে, পাচারকারীরা মানবপাচারের সম্ভাব্য শিকারদের প্রলুব্ধ করতে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেমন; টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের টিকা দেবে সরকার: পররাষ্ট্র সচিব
বাংলাদেশে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক নেটওয়ার্ক বিডিইউএনএনএম-এর সমন্বয়ক এবং আইওএম বাংলাদেশ-এর মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, ‘ মানবপাচার হলো এমন একটি অপরাধ যা অভিবাসী শ্রমিকদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, হয়রানি, জোরপূর্বক শ্রম, জোর করে এবং অবৈধ বিবাহ, অবৈধ বাণিজ্য এবং জীবন হারানোর মত ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। এটি বন্ধ করতে সরকার, উন্নয়ন অংশীদার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো, সুশীল সমাজ, বেসরকারি খাত এবং এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ব্যবস্থা নিতে হবে।’
জাতিসংঘে মানবপাচার বিষয়ক বিশেষ র্যাপোটিয়ার সিউবহান মুলালি তার বক্তব্যে বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর প্রভাব মানব পাচারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। শিশুপাচার বৃদ্ধির ঝুঁকি মোকাবেলা, অনলাইনে শোষণ, অভিবাসী কর্মীদের শোষণ এবং যৌন শোষণের বিশেষ ঝুঁকির বিরুদ্ধে দ্রুত ভূমিকা নিতে হবে। মানবপাচার প্রতিরোধে ‘গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর মাইগ্রেশন’ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রতিশ্রুতি অবশ্যই সরেজমিনে অর্থবহ করতে হবে। এক্ষেত্রে কার্যকারী উদ্যোগ খুবই প্রয়োজন যাতে করে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রতিশ্রুতিগুলো সঠিকভাবে পালন করে।’
আরও পড়ুন: মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব তুলে ধরলেন রাষ্ট্রদূত মিলার
১৩৫৮ দিন আগে
এমপি পাপুলের পদ বাতিল নিয়ে হাইকোর্টে রুলের শুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি
মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শহীদ ইসলাম পাপুলের পদ বাতিলের বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানির জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছে হাইকোর্ট।
১৫২৯ দিন আগে
লিবিয়ায় মানবপাচার: আপিলে আটকে গেল ৪ আসামির জামিন
লিবিয়ায় মানবপাচার ও পাচারের শিকার ২৬ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় ঢাকায় করা একটি মামলায় দুই আসামির জামিনের রায় বাতিল এবং অপর দুই আসামির জামিন রবিবার স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।
১৫২৯ দিন আগে
আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কাগজ না পাওয়া পর্যন্ত এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়: মন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন রবিবার বলেছেন, মানবপাচার, আবাসিক ভিসা বাণিজ্য ও অর্থপাচার সম্পর্কিত মামলায় বাংলাদেশি সংসদ সদস্য (এমপি) মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম ওরফে কাজী পাপুলের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়ে কুয়েত সরকার এখনও কিছু জানায়নি।
১৫৩৬ দিন আগে