সোমবার সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে এর সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
তারা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে এক নজিরবিহীন সংকটের মুখোমুখি বাংলাদেশের গণমাধ্যম। ইতোমধ্যে একজন গণমাধ্যম কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরও সংকটময় এ পরিস্থিতিতে পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্যসহ গণমাধ্যমের কর্মীরা।
এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ডিআরইউ সদস্যসহ সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগও জানানো হয়।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সাংবাদিকরা। কয়েকটি গণমাধ্যম এরই মধ্যে তাদের কর্মীদের বাসায় বসে কাজ করার সুবিধা চালু করেছে। ঝুঁকি বিবেচনায় অন্যান্য গণমাধ্যমও তাদের কর্মীদের জন্য এ সুবিধা চালু করতে পারে।
ডিআরইউ নেতারা বলেন, আমরা মনে করি, মহামারি সংকটে প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা যেমন জরুরি, তেমনি সত্যনিষ্ঠ তথ্যসেবাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য অফিসে যাওয়া ছাড়া একান্তই বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করা সম্ভব না হলে গণমাধ্যমে কর্মরত সকলের জন্য সুরক্ষা পোশাকসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
একইসাথে করোনার ঝুঁকিতে থাকা গণমাধ্যমকর্মীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা, প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা বকেয়া বেতনাদি পরিশোধসহ আর্থিক সচ্ছলতার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য বলেন তারা।
এতে ডিআরইউ’র সদস্যসহ গণমাধ্যমকর্মীদের নিজের, পরিবারের ও দেশের সুরক্ষা অক্ষুন্ন রেখে পেশাগত দায়িত্ব পালনের কথাও বলা হয়।