মঙ্গলবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ফারুক মোল্লা।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আজ ডা. আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও পুলিশ।
এদিকে, মাইন্ড এইড হাসপাতালের আরও দুজন এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট মো. তানভীর হাসান ও ওয়ার্ড বয় মো. তানিম মোল্লা।
এর আগে, হাসপাতালের কিচেন শেফ মাসুদ খান, ওয়ার্ড বয় অসীম চন্দ্র পাল, মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় ও সজিব চৌধুরী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মানসিক সমস্যার কারণে ৯ নভেম্বর মাইন্ড এইড হাসপাতালে আসেন এএসপি আনিসুল। অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই মারা যান তিনি। আর হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমে তাকে মারধরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন মাধ্যমে।
অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘক্ষণ অচেতন থাকা অবস্থায়ও তাকে ভর্তি নেয়ার কার্যক্রম করা হয়নি। কিছুক্ষণ পর ১২টার দিকে তাকে হাসপাতালের লোকজন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয় এএসপি আনিসুলের।
এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে রাজধানীর আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন।