রিমান্ড
পুলিশ কমিশনারের ওয়্যারলেস বার্তা ফাঁস, গ্রেপ্তার কনস্টেবল ৩ দিনের রিমান্ডে
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের ওয়্যারলেস বার্তা ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার পুলিশের কনস্টেবল অমি দাশের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার(১৯ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে গত রবিবার দিবাগত রাতে খুলশী থানা এলাকা থেকে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলায় অমি দাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার অমি দাশ, নগরীর খুলশী থানায় প্রেষণে কর্মরত ছিলেন। তিনি মূলত পুলিশ টেলিকম ইউনিটের সদস্য। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায়। বাবার নাম রাজীব দাশ।
পড়ুন: সিএমপি কমিশনারের ওয়্যারলেস বার্তা ফাঁসকারী কনস্টেবল গ্রেপ্তার
আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট রিয়াদ উদ্দীন বলেন, খুলশী থানার অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলায় গ্রেপ্তার অমি দাশের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১০৭ দিন আগে
পাঁচ দিনের রিমান্ডে মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনায় রাজধানীর ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার(৭ আগস্ট) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন।
এর আগে, মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো. জেহাদ হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীনসহ অনেকেই রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আজিজুল হক দিদার ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল কাইয়ুম নয়ন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ: মেজর সাদেকের স্ত্রী গ্রেপ্তার
এর আগে বুধবার (৬ আগস্ট) মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে সুমাইয়া জাফরিনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণে অংশ দেওয়ার সময় মেজর সাদিকের সঙ্গে অংশ নিতেন তার স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন।
এ ঘটনায় সাদিককে হেফাজতে নেয় সেনাবাহিনী। পরে তার স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। পরে ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
১১৯ দিন আগে
হিন্দুপল্লিতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজন দুই দিনের রিমান্ডে
রংপুরের গঙ্গাচড়ার আলদাতপুর ছয়আনি বালাপাড়া হিন্দুপল্লিতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকালে মামলার শুনানিতে গঙ্গাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আল এমরান আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কৃষ্ণ কমল রায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে গতকাল বুধবার বিকালে গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত আজ রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পড়ুন: গঙ্গাচড়ায় হিন্দুপল্লীতে হামলা: গ্রেপ্তার ৫ জন জেলহাজতে
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সিংগেরগাড়ি মাঝাপাড়া গ্রামের ইয়াছিন আলী (২৫), মাগুড়া শ্রীপাড়ার স্বাধীন মিয়া (২৮), দক্ষিণ চাঁদখানা মায়াপাড়ার আশরাফুল ইসলাম (২৮), উত্তর সিংগেরগাড়ি পাঠানপাড়ার এস এম আতিকুর রহমান খান আতিক (২৮) ও দক্ষিণ সিংগেরগাড়ি চওড়াপাড়ার সাদ্দাম হোসেন সেলিম (২২)।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (২৬ জুলাই) ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) কটূক্তির অভিযোগে গঙ্গাচড়ার আলদাতপুর ছয়আনি বালাপাড়া এলাকার এক হিন্দু কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই ওই কিশোরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।গত রবিবার (২৭ জুলাই) সাইবার সুরক্ষা আইনে করা মামলায় কিশোরকে আদালতে হাজির করে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তবে এরপরই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাশের নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার সিংগেরগাড়ি, মাগুড়া ও বাংলাবাজার এলাকা থেকে দফায় দফায় লোকজন মিছিল নিয়ে এসে হামলা চালান।
পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। এতে এক পুলিশ সদস্য আহত হন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় এক ভুক্তভোগী রবীন্দ্রনাথ বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া থানায় গত মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী পলাশ কান্তি নাগ বলেন, গঙ্গাচড়ার হিন্দুপল্লিতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে আদালতে তোলা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
১২৬ দিন আগে
মিটফোর্ড হত্যায় দুই আসামির চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর
রাজধানীর পুরান ঢাকায় সোহাগ নামের এক ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার আলমগীর ও মনিরের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
এর মধ্যে আলমগীর মামলার ৪ নম্বর ও মনির ৫ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি। রবিবার (১৩ জুলাই) আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন।
শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ তাদের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে এ মামলায় গত ১০ জুলাই মাহমুদুল হাসান মহিনের পাঁচদিন ও ১২ জুলাই টিটন গাজীর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: এক আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর, আরেকজনের দায় স্বীকার
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেট সংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) এলোপাতাড়িভাবে পাথর দিয়ে আঘাত করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
ওই ঘটনায় পরের দিন ১০ জুলাই নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়।
সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন।
১৪৪ দিন আগে
সাত দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব
মুন্সীগঞ্জে সজল হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ফয়সাল বিপ্লবের জামিন নামঞ্জুর করে তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে মুন্সীগঞ্জের ১ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক আশিকুর রহমান এই আদেশ দেন।
এদিন মব এড়াতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে ৮টায় আদালতে আনা হয় তাকে। আদালতে তোলা হয় ৯টা ৫ মিনিটে।
আসামির পক্ষে জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুরের আবদেন নিয়ে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট শাহিন মো. আমানুল্লাহ ও অ্যাডভোকেট হাসান মৃধা। আর রাষ্ট্রপক্ষে আদালত পরিদর্শক ছাড়াও সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম ও সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) নূর হোসেন রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। প্রায় ২০ মিনিট ধরে শুনানি হয়। এরপর তাকে ৭ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি তুহিন ও শাহে আলম মুরাদ রিমান্ডে
আদাশের পর তাকে সরাসরি জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই আদালত এলাকায় তার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেয় অর্ধ সহ্রাধিক মানুষ। ছাত্র-জনতা ব্যানারে এই বিক্ষোভ থেকে মুন্সীগঞ্জে ৪ আগস্টের সহিংসতার জন্য তাকে দায়ী করা হয়। বিক্ষোভ থেকে ফয়সাল বিপ্লবের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, সাধারণত সকাল ১০টার আগে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয় না। কিন্তু আজ এত আগে তাকে আদালতে আনা হবে, তা তারা জানতেন না।
গত ২২ জুন রাতে রাজধানীর মনিপুরী পাড়া থেকে গ্রেপ্তার হন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য। পরে ২৩ জুন তাকে ঢাকার আদালতে তোলা হয়। এরপর ৩০ জুন (সোমবার) ফয়সাল বিপ্লবকে মুন্সীগঞ্জ কারাগারে নেওয়া হয়।
মুন্সীগঞ্জে গত বছরের ৪ আগস্টের সহিংসতায় তিনজন নিহত হন। এই তিনটি হত্যা মামলা ও আরও দুইটি হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল বিপ্লব।
১৫৭ দিন আগে
সাবেক এমপি তুহিন ও শাহে আলম মুরাদ রিমান্ডে
জুলাই অভ্যুত্থানে আব্দুল মোতালেব হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য শাহে আলম মুরাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অন্যদিকে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলালীগের সাবেক সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন শাহে আলম মুরাদের পাঁচদিন ও তুহিনের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। এ সময় তুহিনের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোরশেদ আলম শাহীন এবং মুরাদের পক্ষে ওবায়দুল ইসলাম রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন।
এ ছাড়া, রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: হাবিবুল আউয়ালকে কারাগারে পাঠাল আদালত
এর আগে, গত ১৭ এপ্রিল সকালে উত্তরা এলাকা থেকে শাহে আলম মুরাদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এ ছাড়াও, গত ২২ জুন গভীর রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আওনা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে তুহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুরাদের নামে করা মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে থাকা আবদুল মোতালেব নামের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়।
অন্যদিকে তুহিনের নামে করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে যুব মহিলা লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইশরাত জাহান নাসরিনসহ অজ্ঞাতনামা ১৪ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতকারী শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও যুব মহিলালীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করেন।
আরও পড়ুন: নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির আগের আদেশ স্থগিত
পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যান। সে সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের দাবি করে স্বাধীন দেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র করেন আসামিরা।
এ ঘটনায় ৪ এপ্রিল রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
১৫৭ দিন আগে
তিন দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মোস্তফা জামান এই আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
গতকাল (বুধবার) ঢাকার মগবাজার থেকে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের একটি দল।
তার দুদিন আগে রবিবার (২২ জুন) আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার
অভিযোগে সাবেক সিইসি কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ, কেএম নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা থেকে আরেক সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকেও তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর সোমবার (২৩ জুন) তাকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার একটি আদালত।
১৬১ দিন আগে
সাবেক সিইসি নুরুল হুদার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদাকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
সোমবার (২৩ জুন) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। এর আগে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।
রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা এলাকার তার বাসা থেকে নুরুল হুদাকে আটক করে পুলিশ।
রবিবার সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার কয়েক ঘণ্টা পরই এই আটক করা হয়। মামলায় আসামি করা হয় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের। এছাড়াও অন্যান্য কর্মকর্তাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে ওই মামলায়।
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন
রবিবার জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করে।
অভিযোগে সাবেক সিইসি কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ, কেএম নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।
বিএনপির অভিযোগ, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন কারচুপি এবং দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেসময় যদিও বারবার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং ভোটগ্রহণের সময় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোতায়েনের দাবি জানানো হয়েছিল।
১৬৪ দিন আগে
ফের রিমান্ডে সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-মোশাররফ
রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
বুধবার (১৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে, আজ (বুধবার) তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তারপর ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনিরকে হত্যার অভিযোগে শাহবাগ থানায় হওয়া মামলায় আনিসুলকে গ্রেপ্তারসহ ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়।
এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদের কর্মী বদরুল ইসলাম সায়মনকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মোশাররফ হোসেন ও বাবুল সরদার চাখারীর ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশের উপপরিদর্শক বিমান তরফদার।
এরপর শুনানি শেষে আদালত আনিসুলের পাঁচ দিনের ও অপর দুজনের প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: অর্থপাচারে সাবেক ভূমিমন্ত্রীকে সহায়তা, তিনজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মনির হত্যা মামলার অভিযোগসূত্রে জানা যায়, জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানার চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনির। ওই দিন দুপুরে আসামিদের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী গত ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।
অন্যদিকে, সায়মন হত্যাচেষ্টা মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের গুম, খুন, নিপীড়ন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ আয়োজন করা হয়। দেশের সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদসহ অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দল এই মহাসমাবেশের ডাক দেয়।
সমাবেশে ভুক্তভোগী বদরুল ইসলাম সায়মনও অংশ নেন। তবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আসামিরা অতর্কিতভাবে হামলা করে। এ সময় আসামিদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে বাদী গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় গত ২৯ এপ্রিল ভুক্তভোগী বদরুল ইসলাম সায়মন বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। এতে শেখ হাসিনাসহ ২৪৫ জনকে আসামি করা হয়।
১৬৯ দিন আগে
দুই দিনের রিমান্ডে সাবেক মেয়র আইভী
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৫ মে) বিকালে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর মহসীন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে ওঠানো হলে শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: রাতভর পুলিশি অভিযানের পর সাবেক নাসিক মেয়র আইভী গ্রেপ্তার
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা মিনারুল হত্যা মামলায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে গত ৯ মে ভোরে শহরের দেওভোগ এলাকা থেকে মিনারুল হত্যা মামলায় আইভীকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।
পরে জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুদ্দিন কাদিরের আদালত আইভীকে কারাগারে পাঠান। আইভীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মোট ৬টি মামলা রয়েছে।
১৯৩ দিন আগে