সিউলে অনুষ্ঠিত প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা ওই সভায় বাংলাদেশিরা পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়াবলীসহ বিভিন্ন বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে স্বতস্ফূর্তভাবে কথা বলেন।
সোমবার দূতাবাস জানায়, দক্ষিণ কোরিয়া সফররত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার সন্ধ্যায় (স্থানীয় সময়) দক্ষিণ কোরিয়াস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় মন্ত্রী মন দিয়ে প্রবাসীদের কথা শোনেন এবং নতুন পাসপোর্ট তৈরি, পাসপোর্ট নবায়ন, ই-পাসপোর্ট, দ্বৈত নাগরিকত্ব, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, প্রবাসীদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল, বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা, দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রমবাজার ও রেমিটেন্স প্রেরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেন।
এ সময় মন্ত্রীর সাথে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সোহেল হোসেন খান, পিএসসিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্টমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে অধিকতর সুশাসন নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করছেন। সেই সাথে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজও দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে ইতোমধ্যেই কার্যক্রম গ্রহণ করেছে যা যথাসময়ে চালু হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
তাছাড়া, প্রধানমন্ত্রী বৈধ পথে নিয়মিত রেমিটেন্স প্রেরণকারীদের জন্যেও অধিকতর সুযোগ সুবিধা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করছেন। তিনি উপস্থিত প্রবাসীদের বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে উৎসাহিত করেন।
জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের দোর গোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন সেবামূলক পদক্ষেপের বিস্তারিত বিবরণ দেন।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আগে আসাদুজ্জামান খান বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলার শাখা পরিদর্শন করেন এবং দূতাবাসের কনস্যুলার কার্যক্রম সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন।