কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পান্টি-বাঁশগ্রাম সড়কের পাশ থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকা মূল্যের ১৯টি গাছ চুরির মামলায় করাতকল মালিক নাসির উদ্দিনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের আদাশে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কুসলিবাসা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- প্রধান আসামি উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কুসলিবাসা গ্রামের নাসির উদ্দিন এবং ইমরান মোল্লা ও সজল খন্দকার।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সরকারি সড়কের গাছ কাটার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ।
আরও পড়ুন: বগুড়া কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কাঁচিকাটা সেতু ও ভাদুরমোড় থেকে আদাবাড়িয়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের অন্তত ৫৪টি গাছ কেটে নেয় দুর্বৃত্তরা। এই গাছগুলোর মধ্যে প্রায় ৩০-৪০ বছর বয়সী মেহগনি ও শিশু গাছ ছিল। দুর্বৃত্তরা এই গাছগুলো প্রায় ১০-১২ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে। এতদিন ধরে গাছ কাটা চললেও প্রশাসন জানত না। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
শনিবার বিকালে চাঁদপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বাদী হয়ে সরকারি গাছ চুরির অভিযোগে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় করাতকল মালিক নাসিরকে প্রধানসহ মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ১৫-২০ জনকে।
ওসি সোলায়মান শেখ বলেন, অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।